, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড হতে যাওয়া মুর্তজাককে মুক্তি দিতে সৌদি আরবের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে অ্যামনেস্টি

প্রকাশ: ২০১৯-০৬-১০ ০১:০০:৫০ || আপডেট: ২০১৯-০৬-১০ ০১:০০:৫০

Spread the love

সৌদি আরবের ইস্টার্ন প্রদেশে ১০ বছর বয়সে সরকারবিরোধী স্লোগান দেওয়ায় রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড হতে যাওয়া মুর্তজা কুরেইরিসকে মুক্তি দিতে সৌদি আরবের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

তার ফাঁসি কার্যকর হলে সৌদি আরবের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী কারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। মুর্তজাকে সৌদির দাম্মাম শহরের পূর্বে অবস্থিত একটি কিশোর কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।

আটকের পর চার বছরের মধ্যে তার সঙ্গে কোনো আইনজীবীর দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, আটকের পর কুরেইরিসের ওপর চরম নির্যাতন চালানো হয়। তাকে মিথ্যা প্রলোভন দেখানো হয় যে, যদি সে নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেয় তবে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি সৌদি সরকার।

২০১১ সালে ইসলামি গণজাগরণের উত্তাল সময়ে সৌদি রাজতন্ত্রের নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র দাবিতে সেসময় দেশজুড়ে যে গণবিক্ষোভের সূচনা হয়েছিল, তার অংশ হিসেবেই মুর্তাজা কুরেইরিস তার বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে সাইকেল রাইডে নেমেছিল।

এই অল্পবয়সী বালকদের জড়ো হওয়ার বিষয়টি সেসময় ‘পর্যবেক্ষণ’ করে সৌদি সরকার। ওই বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার কারণে তিন বছর পর মুর্তাজাকে ১৩ বছর বয়সে গ্রেফতার করে রাজতন্ত্রের বাহিনী।

পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ বাহরাইনে চলে যাওয়ার সময় সীমান্তে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সৌদি আরবের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী ‘রাজনৈতিক বন্দী’ হিসেবে মুর্তাজাকে নিয়ে যাওয়া হয় কারাগারে।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মুর্তাজার ভাই আলী কুরেইরিস মোটরসাইকেলেযোগে পূর্বাঞ্চলীয় শহর আওয়ামিয়াতে গিয়ে থানায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেন, সেসময় তার সঙ্গে ছিল মুর্তাজাও। মুর্তাজার ভাইকে পরে নির্মমভাবে হত্যা করে সৌদি নিরাপত্তা বাহিনী।

গত এপ্রিলে সৌদি আরব প্রায় ৩৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, মৃত্যুদণ্ড যাদের কার্যকর হয়েছে, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিয়া সম্প্রদায়ের। সৌদি রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে শিয়া মুসলমানদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। #সংগৃহীত।

Logo-orginal