, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

সাতকানিয়ায় যুবলীগ কর্মী জসীমের লাঠির আঘাতে প্রাণ গেল আরেক কর্মী জিয়াবুলের

প্রকাশ: ২০১৯-০৬-২৯ ০১:১৭:১০ || আপডেট: ২০১৯-০৬-২৯ ০১:১৭:১০

Spread the love

চট্টগ্রামঃ (ছবি, নিহত জিয়াবুল) অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বন্ধুর লাঠির আঘাতে আহত জসিম।

সাতকানিয়ায় মসজিদের পুকুরের মাছ চুরির প্রতিবাদ করায় যুবলীগ কর্মী বন্ধুর লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত অপর যুবলীগ কর্মী আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার ৭দিন পর মারা গেছেন। নিহত যুবলীগ কর্মী হলেন, মো. জিয়াবুল হক (৩০)।

আজ শুক্রবার সকালে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত জিয়াবুল হক সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড করইয়ানগর নুর পাড়ার আবদুছ ছবুরের ছেলে। জিয়াবুল ও জসিম উভয়েই সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের কর্মী।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২০ জুন রাতে করইয়ানগর এলাকার একটি মসজিদের পুকুর থেকে মাছ চুরির ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় লোকজন মাছ চুরির জন্য করইয়ানগরের সুরতির বর বাড়ির রিক্সা চালক নুরুল ইসলামের পুত্র জসিম উদ্দিনকে সন্দেহ করে। চুরির ঘটনায় জসিম জড়িত থাকার বিষয়টি জিয়াবুলও অবগত হয়। মাছ চুরির ঘটনার পরের দিন (২১জুন) বিকালে ঠাকুর দীঘির পশ্চিম পার্শ্বে নেজাম উদ্দিনের চায়ের দোকানে যুবলীগ কর্মী জিয়াবুল হোসেন ও জসীম উদ্দিনসহ কয়েকজন বন্ধু মিলে আড্ডা দিচ্ছিলেন। তখন দোকানে এলাকার কিছু লোকজনও উপস্থিত ছিল। দোকানে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে কেউ একজন আগের দিন রাতে মসজিদের পুকুরের মাছ চুরির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। যুবলীগ কর্মী জিয়াবুল হোসেনও মাছ চুরির বিষয়ে কথা বলেন এবং এ ঘটনায় জসিম জড়িত থাকার কথা জানান।

এ সময় জসিম ও জিয়াবুলের মধ্যে তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে। পরে জসিমকে দোকানে থাকা লোকজন ধরে পার্শ্ববর্তী একটি দোকানে ঢুকিয়ে তালাবদ্ধ করে দেয়। কিছুক্ষণ পর জসিম ওই দোকানের পেছন দিকে বের হয়ে লাঠি নিয়ে জিয়াবুলকে মাথায় আঘাত করলে জিয়াবুল মাঠিতে লুটিয়ে পড়ে।

পরে আরও কয়েকটি আঘাত করা হয়। তখন জসিম দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে উপস্থিত লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় জিয়াবুলকে উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগাড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গত এক সপ্তাহ ধরে আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আজ সকালে জিয়াবুল মারা যায়।

নিহত জিয়াবুল হোসেনের বাবা আবদুছ ছবুর বলেন, মাছ চুরির প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমার ছেলেকে জীবন দিতে হলো। আমি কিছু বুঝিনা, আমার ছেলে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিউল কবীর বলেন, মূলত মাছ চুরির প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে জসিম জিয়াবুলকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। ঘটনার পর দিন জিয়াবুলের পিতা বাদী হয়ে জসিমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ঘটনার পর থেকে জসিমসহ তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সুত্রঃ পুর্বকোণ।

Logo-orginal