jamil Ahamed
প্রকাশ: ২০১৯-০৭-২১ ১০:৫৮:১২ || আপডেট: ২০১৯-০৭-২১ ১০:৫৮:১২
ইয়েমেনের লড়াইয়ের শুরুটা হয় আরব বসন্ত দিয়ে, যার মাধ্যমে আসলে দেশটিতে স্থিতিশীলতা আসবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু ঘটেছে উল্টোটা। ২০১১ সালে দেশটির দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহকে তার ডেপুটি আবদারাবুহ মানসুর হাদির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য করে।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট হাদিকে অনেকগুলো সংকটের মুখোমুখি হতে হয়। আল কায়েদার হামলা, দক্ষিণে বিছিন্নতাবাতী আন্দোলন, মি. সালের প্রতি অনেক সামরিক কর্মকর্তার আনুগত্য। এর বাইরে দুর্নীতি, বেকারত্ব আর খাদ্য সংকট তো রয়েছেই।
আর নতুন প্রেসিডেন্টের দুর্বলতার সুযোগে ইয়েমেনের যাইডি শিয়া মুসলিম নেতৃত্বের হুতি আন্দোলনের কর্মীরা সাডা প্রদেশ এবং আশেপাশের এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এ সময় অনেক সুন্নিরাও তাদের সমর্থন যোগায়। এরপর বিদ্রোহীরা সানা অঞ্চলেরও নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নেয়। পরের মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর এডেন থেকে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট হাদি।
হুতি আর নিরাপত্তা বাহিনীগুলো সাবেক প্রেসিডেন্ট সালেহের প্রতি অনুগত। এরপর তারা পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করে। তাদের পেছনে ইরান সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হয়। এ পর্যায়ে মি. হাদি দেশের বাইরে পালিয়ে যান।
কিন্তু মি. হাদিকে ইয়েমেনে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে সৌদি আরব আর অন্য আটটি সুন্নি দেশ একজোট হয়ে ইয়েমেনে অভিযান শুরু করে। এই জোটকে লজিস্টিক আর ইন্টেলিজেন্স সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য আর ফ্রান্স।
ইয়েমেনে সামরিক আগ্রাসন চালাতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন সৌদি প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান। ইয়েমেন ইস্যুতে মোহাম্মদ বিন সালমান আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ চাপের মুখে পড়েছেন বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
একটি ছবিতে বেশ কয়েকজন জেনারেলের সঙ্গে বসে থাকতে দেখা গেছে মোহাম্মদ বিন সালমানকে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
চার বছরের বেশি সময় ধরে দারিদ্রপীড়িত ইয়েমেনের উপর সৌদি আরব জোটবদ্ধভাবে সামরিক আগ্রাসন চালাচ্ছে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনও লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি তারা। এই সামরিক আগ্রাসনের প্রধান দুটি লক্ষ্য হল- পলাতক প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মানসুর হাদিকে ক্ষমতায় ফেরান ও হুথি আসনারুল্লাহ আন্দোলনকে বিনষ্ট করা।
এমন অবস্থায় হতাশ সৌদি যুবরাজ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাড়তি সহায়তা চেয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কূটনীতিক এই তথ্য দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত সাহায্যের মধ্যে রয়েছে- গোয়েন্দাদের সহযোগিতা এবং মার্কিন স্পেশাল ফোর্স মোতায়েনের দাবি। ইয়েমেন আগ্রাসনের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে অস্ত্র ও রসদ দিয়ে সাহায্য করে আসছে।
একে/২২৭১৯