, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

Avatar Maftun

শুধুমাত্র একটি সিদ্ধান্তেই পাল্টে যাবে বাঁশখালী সহ পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রাম!

প্রকাশ: ২০১৯-০৭-০৩ ১০:৪৭:৫২ || আপডেট: ২০১৯-০৭-০৩ ১০:৪৭:৫২

মোহাম্মদ জালাল হুসাইন চৌধুরী,  বিশেষ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম শহরের অদূরে প্রায় ৩৭ কি.মি দক্ষিণে নান্দনিক পর্যটন স্পট: বাঁশখালী’র চা-বাগান – ইকোপার্ক – সমুদ্র সৈকত।

সম্ভাবনাময়ী এই তিনটি স্পট আধুনিকায়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতকরণ করতে পারলেই দক্ষিণ  চট্টগ্রাম  পুরো বাংলাদেশের অন্যতম সাঁড়া জাগানো আকর্ষণীয় ও দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে বাঁশখালী । সাথে সাথে পিছিয়ে পড়া ঐ অঞ্চলও একটি সমৃদ্ধ ইকোনোমিক জোনে পরিণত হবে!

বাঁশখালী’র প্রবেশ দ্বারেই রয়েছে শঙ্ক নদীর উপর বিশাল ব্রীজ ৷ প্রথমেই ১ নং পুকুরিয়া ইউনিয়নে পাহাড় গেঁষে প্রায় ৩৫ হাজার একর জমিতে সুবিশাল ‘বেলগাঁও চা-বাগান’ ৷ এখানে প্রায় ৭ শতাধিক শ্রমিক কাজ করছে ৷ এ বাগানের চারিদিকে প্রোটেকশন ব্যবস্থা হিসেবে কোনো বেড়াও নেই ৷ শ্রমিকরা সবসময় বন্যপ্রাণীর আক্রমণের ভয়ে থাকে ৷ তাই শ্রমিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুরাহা করা প্রয়োজন ৷ পুকুরিয়া থেকে ৩ কি.মি পথ অতিক্রম করে ভেতরে চা বাগানে যেতে হয় ৷ বিভিন্ন সময়ে তথা ১৯১২,১৯৪৭,১৯৬৫,১৯৮৫,১৯৯২,১৯০৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্নভাবে সংস্কার করলেও যাতায়াত ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য সংস্কার হয়নি ৷ এ বাগান থেকে হয় ‘ক্লোন চা পাতা’ যা খুবই উন্নত মানের৷ এ জন্যে বাজারে এর চাহিদা খুব বেশি ৷ সরকার ১৫ % করে প্রতি বছরে এ বাগান থেকে প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব আদায় করছে ৷

এরপর ‘বাঁশখালী ইকোপার্ক’। পৌরসভা থেকে প্রায় ৫ কি.মি দূরে শীলকূপ ইউনিয়নে পাহাড়ের উঁচু- নিচু পাহাডের মাঝে রয়েছে ‘বামেরছড়া’ ও ‘ডানেরছড়া’ লেক তা হলো ইকোপার্ক ৷ এ দু’টো লেকের সংযোগ স্থলে রয়েছে  একটি ঝুলন্ত ব্রীজ ৷ এতে বন্য প্রাণী ও প্রাকৃতিক অনেকগুলি চোখ ধাঁধাঁনো দৃশ্য বিদ্যমান ৷ এখন এটির যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক ভালো ৷ তবে পূর্বের সৌন্দর্য সংরক্ষণের ব্যপারে কিছুটা প্রশ্ন রয়েছে ৷ অপার সম্ভাবনাময়ী এ প্রকল্পটি সরকার অতীব গুরুত্ব সহকারে নিলে পর্যটকরা আরো বেশি আকর্ষিত ও উৎসাহিত হবে ৷

বাঁশখালীর পূর্ব পাশে পাহাড় আৱ পশ্চিম পাশে বিশাল এলাকাজুড়ে সমুদ্রসৈকত ৷ এটি ৫ টি ইউনিয়নের একটি বিস্তীর্ণ  এলাকা ৷ বাঁশখালীর সর্ব দক্ষিণ থেকে উত্তর দিকে সাগরকূল বেয়ে চনুয়া,গন্ডামারা,সরল, বাহারছড়া ও খানখানাবাদ ইউনিয়নে শেষ হয় ৷ বিশাল চর তাতে প্যারাবন ও ঝাউ-বাগান মিলিয়ে একটি অসাধারণ সম্ভাবনাময়ী পর্যটন স্পট গড়ে উঠেছে ৷ প্রতিদিন অনেক পর্যটকদের ভীড় হচ্ছে ৷ বিশেষ করে দিন দিন বাহারছড়া ও খানখানাবাদের  এলাকাটি পর্যটকদের জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছে ৷ সরকার সুদৃষ্টি দিলে এর পাশে বেড়িবাঁধকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক জোন গড়ার পাশাপাশি মেৱিনড্রাইভ রোড নির্মাণ করলে শুধু বাঁশখালী নয় পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রামের চেহেরা পাল্টে যাবে ৷ সাগরেৱ লোনা জলের পাদদেশ থেকে দেখা যায় কুতুবদিয়া চ্যানেল ৷ এই পাশটা উন্নত হলে আশা করি এর সুফল কুতুবদিয়াবাসিও পাবে ৷

সাগরকে কেন্দ্র করে বিশাল বিশাল ঘোনা আর সাগরের তাজা মাছ আর শুকানো শুঁটকি মাছ ত আছেই ৷ তা ছাড়া সকল ধরণেৱ শাক, সবজি ও প্রাকৃতিক ফলাদি বাগানের সুযোগ কাজে লাগিয়ে এখানকার কৃষকেরা প্রতিনিয়ত এ এলাকাৱ চাহিদা মিটিয়ে বাইরেও বাজারজাত করে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য,  গুরুত্বপূর্ণ এ সম্ভাবনাময়ী বিষয় সমূহ সংশ্লিষ্ট মহল আমলে নিয়ে সরকারের কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। যা বাস্তবায়নেই পাল্টে দিতে পারে এ অঞ্চলের পুরো দৃশ্যপট ৷ এটিই হবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের জন্যে একটি অন্যতম যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ৷

Logo-orginal