, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্টের উদ্যোগে ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান

প্রকাশ: ২০১৯-০৭-২৬ ২২:০৭:৫১ || আপডেট: ২০১৯-০৭-২৬ ২২:০৭:৫১

Spread the love

ইসমাঈল হোসেন নয়ন,রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধিঃ
শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট’র ‘সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্প’র আওতায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

এসব চিকিৎসা কেন্দ্রে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও খত্না ক্যাম্পের পাশাপাশি চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় মানসম্মত ঔষধও বিতরণ করা হয়। শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার শরীফে একইভাবে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও খত্না ক্যাম্প করা হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে মাইজভাণ্ডার শরীফের হোসাইনী দাতব্য চিকিৎসালয় ও খতনা সেন্টারে ট্রাস্টটির “দারিদ্র বিমোচন প্রকল্পের” আওতায় আয়োজিত ক্যাম্প থেকে ১০ জন দরিদ্র পরিবারের শিশুকে প্রয়োজনীয় ঔষধ সহ খত্না ও ৩০ জন রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।

এদিন রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন অভিজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ও মো. জিয়াউল হাসান। চিকিৎসা সেবা প্রদান কালে কেন্দ্র পরিদর্শন করেন দারিদ্র বিমোচন প্রকল্প পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিম আল মাসুদ, মো. নাছের, আহসান উল্লাহ চৌধুরী, আবদুল হাকিম, আলী হায়দার বাবলু, মো. আলী মাসুদ, মো. আনিস, মোবারক হোসেন, আসিফুল ইসলাম, ওবাইদ জাহাঙ্গীর নাঈম, এন আলী ফাহিম, মো. শাহেদ, মো. জামশেদ, নাফিস, মো. সোহেল প্রমুখ।

চিকিৎসক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের ব্যতিক্রমী ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আমরা নিজেদের এই ভাল কাজে সম্পৃক্ত করতে পেরে আনন্দিত।”
অপর চিকিৎসক ডা. জিয়াউল হাসান বলেন, “গতানুগতিক ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্পে লোক দেখানো একশত কিংবা তারও অধিক রোগী দেখানো হয়। যেখানে মানসম্মত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু এখানে একদিনে সর্বোচ্চ ২৫ জন রোগী দেখা হয়। তাই রোগীদের সময় নিয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ দ্বারা মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দেওয়া যায়।’

মাইজভাÐার গ্রাম থেকে কোরবান আলী (৭০) নামে এক বৃদ্ধ এসেছেন তার ছোট নাতি মো. কাসেমকে (৭) খত্না করানো জন্য। তিনি বলেন, ‘আধুনিক পদ্ধতিতে আমার নাতিকে এই ক্যাম্প থেকে খত্না করেছেন। আমি নিজেও শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা নিয়েছি। আমার নাতির সুস্থ হয়ে উঠা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় ঔষধও দিয়েছেন তারা। আমিও ঔষধ পেয়েছি।’

একই গ্রাম থেকে রোকসানা আক্তার নামে অপর এক রোগী এসেছেন শরীরের বিভিন্ন অসুস্থতা নিয়ে। আগের শুক্রবার তার এক প্রতিবেশীও এসেছিলেন চিকিৎসা করাতে। তার কাছ থেকে শুনে এবার তিনিও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য এসেছেন। চিকিৎসা সেবা নিতে এসে চিকিৎসকের পরামর্শে এই কেন্দ্র থেকেই বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ পেয়ে আনন্দিত তিনি। তিনি জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীর এই উদ্যোগের ভূয়েশী প্রশংসা করেন।

দারিদ্র বিমোচন প্রকল্প পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিম আল মাসুদ জানান, সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্টের দারিদ্র বিমোচন কার্যক্রম সহ বিভিন্ন জনসেবা মূলক প্রকল্প রয়েছে। শুধু ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে নয়, সমগ্র বাংলাদেশে এই ট্রাস্টের মাধ্যমে দরিদ্রদের বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করা হয়। তারমধ্যে বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ও মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ বিতরণ করা হচ্ছে। এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে তিনি সকলের সহযোগীতা চেয়েছেন।

Logo-orginal