, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

হযরত ওমর(রাঃ) নীলনদে কুমারী বলি দেওয়ার কুসংস্কার বন্ধ করেছিল যেভাবে

প্রকাশ: ২০১৯-০৭-২৫ ০০:৫৩:৫৮ || আপডেট: ২০১৯-০৭-২৫ ০০:৫৩:৫৮

Spread the love

হিজরি ২০ সনে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রাঃ) এর শাসনামলে বিখ্যাত সাহাবি হযরত আমর বিন আস (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) এর নেতৃত্বে সর্ব প্রথম মুসলমানরা মিশর বিজয় করেন। মিশরে তখন চলছিল প্রবল খরা। তখন “বুনা” মাস (তৎকালীন মিসরীয় ক্যালেন্ডারের ১টি মাস) আসার পর দেশবাসী তাঁকে জানালো-“আমীর!! আমাদের ১টি প্রথা আছে, এই মাসের ১২ তারিখের রাত শেষ হলে আমরা ১টি কুমারী মেয়েকে অলংকার ও পোশাকে সাজিয়ে নীল নদে ফেলে দেই । এটি পালন না করলে নীল নদ প্রবাহিত হয় না।।”শুনে আমর বিন আস (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) বললেনঃ

“এটা ইসলাম! এসব চলবে না, ইসলাম সকল কুসংস্কারকে নির্মূল করে দিয়েছে।”এরপর পরপর ৩ মাস বুনা, আবীব ও মাসরা তারা কাটিয়ে দেয় কিন্তু নীল নদ আর প্রবাহিত হয় না।। ফলে দেশবাসী দেশ ত্যাগ করতে মনস্থ করে।
তখন আমর বিন আস (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) এ বিষয়ে জানিয়ে তৎকালীন আমীরুল মূ’মিনীন হযরত উমর (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) এর নিকট চিঠি পাঠান।। উত্তরে জানানো হয়-
“তুমি যা করেছ ঠিক করেছ। এই চিঠির সাথে ১টা কাগজ রয়েছে তা তুমি নীল নদে ফেলে দাও।”
খলিফা ওমর (রাঃ) নীল নদের কাছে লেখা তার পত্রে লিখেছিলেন:
من عبد الله عمر أمير المؤمنين إلى نيل مصر أما بعد: فان كنت تجري من قبلك ومن أمرك فلا تجر فلا حاجة لنا فيك وإن كان الله الواحد القهار هو الذي يجريك فنسأل الله أن يجريك فألقى عمرو البطاقة في النيل فجرى أفضل مما كان

“আল্লাহর বান্দা আমীরুল মুমিনীন ওমর (রাঃ) এর পক্ষ হতে মিশরের নীল নদের প্রতি প্রেরিত এই পত্র। অতঃপর হে নীল নদ! তুমি যদি নিজের ক্ষমতা বলে ও নিজের পক্ষ হতে প্রবাহিত হয়ে থাক, তাহলে তুমি আজ হতে আর প্রবাহিত হয়ো না। তোমার কাছে আমাদের কোন প্রয়োজন নেই। আর তুমি যদি মহা পরাক্রমশালী এক আল্লাহর হুকুমে প্রবাহিত হয়ে থাক, তাহলে আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন তোমাকে প্রবাহিত করেন”।
হযরত আমর বিন আস (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) চিঠিটি নীল নদ-এ ফেলে দিলে, সকাল-এ দেখা গেল আল্লাহ এর ইচ্ছায় নীল নদের পানি এক রাতের ভেতর ১৬ হাত বৃদ্ধি পেয়ে প্রবাহিত হল তারপর নীল নদ চকচকে ঝকঝকে পানিতে ভরে উঠেছিল এবং আজ পর্যন্ত এক মিনিটের জন্যও নীল নদের পানি আর শুকিয়ে যায়নি। সুবাহান’আল্লাহ!!!
এভাবেই আল্লাহ ইসলামের মাধ্যমে মিসরীয়দের এই কুপ্রথা চিরতরে বন্ধ করে দেন।
সূত্রঃ ইবনে কাছির-আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া,ইবনে আসাকির- তারিখে দামেস্ক,আল্লামা তাফ্তাজানি-শরহে আকায়েদে নাসাফিয়াহ,শরহে ফিকহে আকবর।

আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে আজকে আমরা বছরের বারটি মাসেই নীল নদে পরিষ্কার ঝকঝকে পানি দেখতে পাই, কিন্তু শান্ত নিবিড় নীল নদ এক সময় এমন ছিল না। একসময় নীল নদে বছরের সব সময় পানি থাকতো না বরং বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে পানি থাকতো আবার নির্দিষ্ট সময়ে শুকিয়ে যেত। হযরত ওমর (রাঃ) এর সময় থেকে নীল নদের পানি এখন পর্যন্ত একদিনের জন্যেও বন্ধ হয় নাই।

ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি ওমুক বিল্ডিং বানাতে শিশুর মাথা লাগবে, ওমুক ব্রীজ বানাতে মানুষের লাশ লাগবে। মুসলমান হিসেবে এসব বিশ্বাস করাও কবিরা গুণাহ। এগুল শিরকের পর্যায়ে পড়ে।
তারপরেও এ ধরনের ঘটনা ঘটে। এদেশে অনেক আগে থেকেই শিশু বলি দেয়া হতো। এসব শিরকি প্রথা আমরা উপমহাদেশের অন্ধ যুগ থেকে পেয়েছি।

আশা করি কেউ এসবে বিশ্বাস করবেন না ও এগুলোর প্রচারও করবেন না।
তবে দেশে শিশু পাচারের ঘটনা ঘটছে ও কাটা মাথা সহ বেশ কয়েক জায়গায় ধরা খেয়েছে। সেটা আসলে চিন্তার বিষয়। হয়তো কেউ পরিস্থিতি খারাপ করতে চাইছে। অথবা কেউ অন্ধ বিশ্বাসেও কাজগুলো করাতে পারে।
তাই, নিজের শিশুদের সাবধানে রাখুন।
নিজেরাও সাবধানে চলুন। ছেলেধরা হিসেবে কাউকে সন্দেহ হলে তাকে ধরে পুলিশে দিন। জানি আপনাদের পুলিশের উপর বিশ্বাস নেই, তবুও পুলিশে দিন। ভুলেও কাউকে মার ধোর করবেন না। আপনার একটা সামান্য চড় দেয়ার ছবি ভিডিও হয়ে ভাইরাল হয়ে যেতে পারে। হয়তো আপনি চড় দিয়েই চলে এসেছেন। এরপরের লোকগুলো তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। কিন্তু ভাইরাল হওয়ার কারণে আপনার যাবজজীবন জেল কিংবা ফাসি হয়ে যেতে পারে। পুলিশে দেয়ার আগে তার ছবি তুলে রাখুন। সেই লোক খারাপ হলে ঐ এলাকায় আর জীবনেও আসবে না। অবশ্য ভাল হলেও ঐ এলাকায় আর আসবে না।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

Logo-orginal