Maftun
প্রকাশ: ২০১৯-০৭-০৫ ০০:২৩:০৮ || আপডেট: ২০১৯-০৭-০৫ ০০:২৩:০৮
মোহাম্মদ রাকিব উদ্দিন, বিনোদন রিপোর্ট
চট্টগ্রাম শহরের কেন্দ্রস্থলে বাদশা মিয়া চৌধুরী সড়কে পাহাড়ে ঢালে সবুজে ঘেরা এক প্রাঙ্গন ওয়ার সিমেট্রি।
প্রথম দেখায় মনে হতে পারে যেন সাজানো গোছানো এক বাগান। প্রকৃতপক্ষে এটি ব্রিটিশ সেনাবাহিনী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এ সমাধিসৌধ প্রতিষ্ঠা করে।
প্রথম দিকে এখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত প্রায় ৪০০ সৈন্যের সমাধি ছিল। বর্তমানে আরও ১৭ অজানা ব্যক্তিসহ মোট ৭৩১টি সমাধি রয়েছে। বিশ্বযুদ্ধের পরে অতিরিক্ত মৃতদেহ লুসাই, ঢাকা, খুলনা, যশোর, কক্সবাজার, ধোয়া পালং, দোহাজারি, রাঙ্গামাটি, পটিয়া এবং অন্যান্য অস্থায়ী সমাধিস্থান থেকে এই সমাধিস্থানে স্থানান্তর করা হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-১৯৪৫) চট্টগ্রাম-বোম্বের একটি স্মারক বিদ্যামান রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চলাকালীন সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং ব্রিটিশ জেনারেল হাসপাতালের সুবিধার কারণে চট্টগ্রামে মিত্র বাহিনী চতুর্দশ সেনাবাহিনীর এই পথিকৃৎ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা ক্যাম্পাসের পাশেই ইতিহাসের সাক্ষ্য বুকে ধারণ করে দাঁড়িয়ে আছে ওয়ার সিমেট্রি।
ইট-পাথরের যান্ত্রিক জীবনে কোলাহলের মধ্যেই শ্যামল প্রকৃতি ঘেরা এক ভিন্ন জগত। গাছে গাছে ফুলের সমারোহ। এমনকি মাঝে মাঝে দেখা মিলবে পাখিদেরও। জীবনের এত আয়োজন ওয়ার সেমিট্রিতে সমাহিতদের কাছে পৌঁছায় না হয়তো। তবে ইতিহাস ও প্রকৃতিপ্রেমী যে কাউকে টানবে প্রকৃতির এই বর্ণিল আয়োজন।
চট্টগ্রাম ওয়ার সিমেট্রি প্রায় চার একর জায়গাজুড়ে। পুরো ওয়ার সিমেট্রি খুব সাজানো গোছানো অপরূপ সুন্দর দেখতে মনে হবে সবুজের চাদর বিছানো মতো এর মধ্যে রয়েছে ইতিহাসের কিছু কথামালাও।
উল্লেখ্য, প্রবেশের সময়সুচী প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পযর্ন্ত এবং বিকেলে ২টা থেকে ৫টা পযর্ন্ত সাধারণ দশর্নার্থীদের জন্য প্রবেশে উন্মুক্ত থাকে । ওয়ার সিমেট্রি মূল গেট দিয়ে ঢুকতে একটি নোটিশ বোর্ড দেখতে পাবেন। তাতে সাধারণ দর্শনার্থীদের কিছু তথ্য দিয়া আছে, ডুকার মুহুর্তে সেগুলো একটু দেখতে হবে।