, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

নগরজুড়ে পানি আর পানি, নেই শুধু আলোচিত চাক্তাই খালে

প্রকাশ: ২০১৯-০৭-১৪ ১১:৪২:১৩ || আপডেট: ২০১৯-০৭-১৪ ১১:৪২:১৩

Spread the love

চট্টগ্রামঃ তুমুল বর্ষণে গতকাল দুপুরে থৈ থৈ করছিল পুরো নগরী। শুধু রাস্তাঘাটই নয়, বাসা বাড়িতেও যথারীতি ঢুকে পড়ে পানি। ফুলে ফেঁপে উঠা পানিতে নগরজুড়ে যখন বিপর্যয়কর পরিস্থিতি ঠিক তখনই চাক্তাই খালে পানির অভাবে আটকে গিয়েছিল নৌযান।

ভাটার টানে খালের পানি চলে গেলেও নগরীর অলি গলি রাজপথ জুড়ে দানব হয়ে উঠা পানি খালে নামেনি। পদে পদে, নালায় নালায় আটকে থাকা পানিতে নগরী ডুবে গেলেও ভরাট হয়ে যাওয়া নালা সংস্কারে কোন ধরনের পদক্ষেপ না নেয়ায় মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠে। এমন তথ্যচিত্র ও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে চট্টগ্রামের জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক আজাদীতে।

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের বহুল আলোচিত মেগা প্রকল্পের আওতায় খাল খনন, খালে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ, খালের পাড়ে রাস্তা,জলাশয় নির্মাণ, ৩০২ কিলোমিটার সেকেন্ডারি ড্রেন নির্মাণসহ নানা ধরনের কর্মকাণ্ড থাকলেও নগরজুড়ে বিস্তৃত হাজার হাজার কিলোমিটার টারসিয়ারি ড্রেন (ছোট নালা) পরিষ্কারের কোন কার্যক্রম নেই। এতে করে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হলেও শেষতক নগরী জলাবদ্ধতার সংকট কতটুকু ঘুচবে তা নিয়ে সংশয় রয়েই যায়।

অপরদিকে সাম্প্রতিক বর্ষণ এবং জলাবদ্ধতায় শহর জুড়ে ভয়াবহ বিপর্যয় তৈরি হলেও সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় পরিলক্ষিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। মাত্র একদিন আগে সমন্বিত এক উদ্যোগের সুফল কর্তৃপক্ষের চোখ খুলে দিলেও তা কাজে না পৌঁছানোর পেছনে কারো ইগো প্রবলেম কাজ করছে কিনা তা খতিয়ে দেখারও দাবি জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে নগরবাসীর সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতার অবসানও কামনা করা হয়েছে। তারা বলেছেন, জলাবদ্ধতা নগর জীবনে নারকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এর দায় কার তা নির্ণয়ের চেয়ে এর থেকে মুক্তির পথ খোঁজা জরুরি হয়ে উঠেছে।

নগরীতে গতকাল সকাল নয়টা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত অঝরে বৃষ্টি ঝরে। তিনঘণ্টা সময়ে নগরীতে সর্বমোট ৪২.৪ মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। তিন ঘণ্টার এই বৃষ্টিতে নগরজুড়ে এক ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়। সাম্প্রতিক জলাবদ্ধতার ধারাবাহিকতায় নগরী আরো পুরোপুরি ডুবে যায়। কোন কোন এলাকায় আগের দিনের চেয়ে পানি বেড়েছে। মানুষের গলা পর্যন্ত পানিও বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে। পানিতে পানিতে থৈ থৈ করা অবস্থা নগর জীবনে দুর্বিসহ অবস্থার সৃষ্টি করে। বাসা বাড়ি, অফিস আদালত, দোকান পাট, গুদাম সর্বত্র থৈ থৈ করে পানি। নগরীর বিস্তৃত এলাকার নিচতলা পরিত্যক্ত হয়ে উঠে। নগরীর দুয়েকটি এলাকা ছাড়া প্রায় পুরো শহরে চলে পানির তাণ্ডব। বিভিন্ন এলাকার নিচ তলার বাসাবাড়ির খাটের উপর দিয়েও থৈ থৈ করেছে পানি। রান্নাঘরের চুলা ভেসে গেছে। ফ্রিজের ভিতরে পানি ঢুকেছে। বিভিন্ন এলাকার বাসা বাড়ির মোটর, বৈদ্যুতিক বোর্ড সবই পানির তলায় নিমজ্জিত হয়েছে। মানুষ দোতলা কিংবা বাসার ছাদে ইটের চুলা বানিয়ে রান্নাবান্না করার চেষ্টা করেছে। নগরজীবনের বসবাস থেকে শুরু করে প্রাত্যহিক জীবনযাত্রা মুখ থুবড়ে পড়ে উপচে পড়া পানির কারণে।

আজব ব্যাপার হচ্ছে, নগরজুড়ে যখন থৈ থৈ করছে পানি তখন নগরীর পানি নিষ্কাশনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম চাক্তাই খালে পানির অভাবে আটকে গিয়েছিল নৌযান। নগরীতে পানি উপচে পড়লেও খালে পানি ছিল না। ভাটার টানে খালের পানি নেমে যাওয়ার পর নৌযানগুলো ঘাটে ঘাটে আটকা পড়ে। বিষয়টি নিয়ে ব্যক্তিগত অনুসন্ধানে দেখা গেছে খালে পানি নামার পথ পুরোপুরি রুদ্ধ হয়ে রয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। মাটি,বালি, পলিথিন, প্লাস্টিক, বোতল, ক্যান, বাসা বাড়ির বর্জ্য,ছেঁড়া জুতা থেকে শুরু করে ভাঙ্গাচোরা হাড়ি পাতিল পর্যন্ত নানা কিছুতেই ভরাট হয়ে রয়েছে নগরীর হাজার হাজার কিলোমিটার নালা ও ড্রেন। শহরের পানি খালে নামার জন্য এসব নালা ও ড্রেনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও বিভিন্ন এলাকার রাস্তার পাশ্বস্ত সবগুলো নালা ভরাট হয়ে থাকায় পানি বড় ড্রেনে যেতে পারছে না। আবার বড় ড্রেনগুলো ভরাট হয়ে থাকায় সেই পানি খালে নামতে পারছে না। লোকালয়ের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল দখল এবং নানা ধরনের জঞ্জালে ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে নগরীতে পানি থৈ থৈ করলেও খালে পানি নামতে পারছিল না। চাক্তাই খালে পানির অভাবে নৌকা আটকে থাকতে দেখা গেছে।

হালিশহর এলাকা সরজমিনে পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে একজন নগর পরিকল্পনাবিদ বলেন, হালিশহরে থৈ থৈ করছিল পানি। হালিশহর এ ব্লকের স্কুল থেকে শুরু করে আবাসিক এলাকা পুরো জনপদে পানি থাকলেও মাত্র একশ’ গজ দূরের মহেশখালে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল অন্তত তিন ফুট নিচ দিয়ে। কিন্তু লোকালয়ের পানি খালে যাওয়ার জন্য কোন ধরনের ড্রেন না থাকায় পুরো এলাকাটি ভাসছে। এলাকায় রাস্তা নির্মাণ করা হলেও কোন ড্রেন রাখা হয়নি। আবার কোন কোন এলাকায় ড্রেন থাকলেও তা ভরাট হয়ে রয়েছে। এতে করে খালে পানি যেতে পারছে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বিশেষজ্ঞ গতকাল দৈনিক আজাদীর সাথে আলাপকালে বলেছেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের বহুল আলোচিত মেগা প্রকল্পে নগরীর ছোট নালা বা ড্রেন পরিষ্কারের কোন কার্যক্রম নেই। খাল খনন করা হবে, খালের পাড়ে রিটেইনিং ওয়াল করা হবে, খাল পাড়ে রাস্তা করা হবে, ব্রিজ উঁচু করা হবে, ৩০২ কিলোমিটার বড় ড্রেন খনন এবং সংস্কার করা হবে, কয়েকটি জলাশয় নির্মাণ করা হবে, স্লুইচ গেট নির্মিত হবে কিন্তু ছোট ড্রেন বা নালা পরিষ্কার, কিংবা যেসব রাস্তার পাশে ড্রেন নেই সেখানে কোন ড্রেন নির্মাণ বা খনন করা হবে না। বিভিন্ন এলাকায় মানুষের বসতি বেড়েছে। রাস্তা এবং ড্রেনের ব্যবহার বেড়েছে। কিন্তু ড্রেন সম্প্রসারণের কোন উদ্যোগও নেই। এতে করে নগরীতে আটকে থাকা পানি খাল পর্যন্ত যাওয়ার যেই মাধ্যম সেই নালা যদি ভরাট হয়ে থাকে তাহলে মেগা প্রকল্পের সুফল পুরোপুরি পাওয়া থেকে নগরবাসী বঞ্ছিত হবে। রাস্তার পাশে যদি ড্রেন বা নালা না থাকে তাহলে রাস্তাগুলোই নালা হয়ে উঠবে। নগরী ডুববে বলেও তারা মন্তব্য করেন।

চট্টগ্রাম মহানগরী গত ৪ জুলাই থেকে প্রতিদিনই কমবেশি ডুবছে। এরমধ্যে কয়েকদিন ডোবার মাত্রা চরমে উঠে। কিন্তু বিপর্যয়কর এই পরিস্থিতিতেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন,চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কিংবা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কোন সমন্বয় সভা করেনি। নিজেদের মধ্যে একটি বৈঠক করে কি করে নগরীকে এই ভয়াল অবস্থা থেকে রক্ষা করা যায় তার পন্থা খোঁজা হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে একাধিক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, বিমানবন্দর সড়কের রুবি সিমেন্টের সামনের অংশটি তিনদিন ধরে পানি থৈ থৈ করেছিল। বিমানবন্দর রোড বন্ধ হয়ে থাকায় যানজট এসে ঠেকেছিল নগরীর আগ্রাবাদ এবং মাদারবাড়িতে। শত শত বিমানযাত্রীর দুর্ভোগ চরমে উঠেছিল। ফ্লাইট মিস করেছিলেন বহু হজযাত্রীসহ সাধারণ যাত্রী। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক এবং মেগাপ্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী মিলে একটি দেয়াল ভেঙ্গে দেয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে রাস্তার পানি নেমে গেছে। সংশ্লিষ্ট সেবাসংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগে বিমানবন্দর সড়কের বেহাল দশার অবসান হওয়ায় নগরবাসী সাধুবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু নগরীর সার্বিক জলাবদ্ধতা নিরসনে এই ধরনের কোন উদ্যোগ কোন মহল থেকে না নেয়ায় বিশেষজ্ঞ সূত্রগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মেগা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন দৈনিক আজাদীকে জানান, নগরীর নালা ও ড্রেনগুলোতে সুষ্ঠু পানি প্রবাহ নেই। সবগুলো নালাই ভরাট হয়ে গেছে। পলিথিন,প্লাস্টিক, বালি মাটিসহ নানা ধরনের জিনিসে নানাগুলো ভর্তি হয়ে রয়েছে। কোথাও কোথাও নালার অস্থিত্বই নেই। আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেলা যাবে না। টারসিয়ারি ড্রেনগুলো যথাযথভাবে পরিষ্কার করা না হলে নগরীর জলাবদ্ধতা সংকটের সুরাহা পুরোপুরি হবে না। তবে খাল কিংবা সেকেন্ডারি ড্রেন (বড় ড্রেন) খনন করা হলে নগরী থেকে পানি প্রবাহ বাড়বে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন,এখন নগরীর বিভিন্ন স্থানে খাল ভরাট হয়ে রয়েছে। এগুলো পরিষ্কার করা হলেও পানি প্রবাহ বাড়বে। আর খালে পানি প্রবাহ বাড়লে জলাবদ্ধতা কমবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা ব্যাপক সমীক্ষা চালিয়েছি। কোথায় কোথায় পানি আটকা পড়েছে তা দেখেছি। আমরা ওয়ার্কআউট করেছি। তিনি বলেন, সবগুলো খালের অনেক নিচ দিয়ে পানি প্রবাহ। অথচ নগরীতে ফুলে–ফেঁপে থাকছে পানি। রাস্তার পাশের একটি ড্রেনও পরিষ্কার নেই। বিভিন্ন এলাকায় কোন ড্রেনই নেই। সিটি কর্পোরেশন রাস্তা করছে। অথচ ড্রেনের কোন কিছু নেই। মহেশখালের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, খালের অনেক নিচ দিয়ে পানি যাচ্ছে। অথচ হালিশহরে রাস্তার উপর পানি থৈ থৈ করছে। লে.কর্নেল শাহ আলী বলেন, আমরা এসব চিহ্নিত করেছি। আমাদের বহু লোক মাঠে কাজ করছে। আমরাও মাঠে কাজ করছি। আমাদের কার্যক্রমের ফলেই বেশিক্ষণ পানি আটকে থাকছে না। এই পানি যাতে আরো দ্রুত নামতে পারে আমরা সেই পথ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা একটি ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নিচ্ছি। যেখানে পানি আটকা পড়ছে সেখানেই আমরা দ্রুত খাল বা ড্রেন খনন করে দেবো। রাস্তায় যেন পানি আটকে না থাকে সেই ব্যবস্থা করবো।

বিষয়টি নিয়ে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। গত দুই বছর ধরে তারা কাজ করছে। বর্তমানে এর সাথে সিটি কর্পোরেশনের কোন সম্পর্ক নেই। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সহায়তা করা। কোথাও সহায়তার প্রয়োজন পড়লে আমরা করছি। নগরীতে ড্রেনেজ সিস্টেম না থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে টারসিয়ারি ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা। সেগুলো আমরা রাতে দিনে করছি। কিন্তু যেখানে টারসিয়ারি ড্রেনই নেই সেখানে আমাদের কীই বা করার আছে? তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহিত প্রকল্পের আওতায় ৩০২ কিলোমিটার সেকেন্ডারি ড্রেন সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজ রয়েছে। আমরা গত দুই বছর ধরে অনেকবার চিঠি দিয়েও সেই ৩০২ কিলোমিটার ড্রেনগুলো চিহ্নিত করাতে পারিনি। আমরা জানি না যে, কোন বড় নালাটি মেগা প্রকল্পের আওতায় চলে গেছে। কোনটি আমাদের করতে হবে। নগরপিতা হিসেবে তাঁর দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি বলেন, আমার দায়িত্ব আছে। আমি অস্বীকার করছি না। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা করছি। মেগা প্রকল্পের বাইরে গিয়ে কিছু করার সুযোগতো আমাদের নেই। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের উপায় খুঁজতে একটি বিস্তারিত সমীক্ষা পরিচালনার উপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, কোন খাল খনন করতে হবে, কোন খাল থেকে কতটুকু মাটি তুলতে হবে, কোন নালা বড় করতে হবে ইত্যাদি সমীক্ষা করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

Logo-orginal