, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

বাঁশখালীতে দাফনের প্রায় আড়াই মাস পর তরুণীর লাশ উত্তোলন

প্রকাশ: ২০১৯-০৭-০১ ২২:৪৭:০২ || আপডেট: ২০১৯-০৭-০১ ২২:৪৭:০২

Spread the love

সাখাওয়াত হোসাইন ফরহাদ, বাঁশখালীঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব বড়ঘোনা গ্রামের এক তরুণীর লাশ দাফনের প্রায় আড়াই মাস পরে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।গত ৯ এপ্রিল রুমা আক্তার (১৬) এর লাশ দাফনের পর আজ সোমবার (১ জুলাই) সকাল ১০ টায় নিহতের পিতা বাদি নুরুল আমিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গত ৯ এপ্রিল সি.আর ২০৭/১৯ (বাঁশখালী) নং মামলার ভিকটিম রুমা আক্তারের মৃত্যু হয়।আজ সোমবার(১ জুলাই) সকাল ১০ টার দিকে দীর্ঘ আড়াই মাস পর রুমা আক্তারের লাশ উত্তোলন করে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আল বশিরুল ইসলাম,মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সি.আইডি উপ-পরিদর্শক মো: আনিছুর রহমান,ইউপি সদস্য আলী হোসেন ও আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা,বাঁশখালী থানার এস.আই রুবেল আফরাদ এর নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা।লাশ উত্তোলনের পর লাশের ময়না তদন্ত ও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য চমেকে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়,গন্ডামারা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব বড়ঘোনা গ্রামের নুরুল আমিনের কন্যা রুমা আক্তারের সাথে একই এলাকার ১নং আসামি তৌহিদুল ইসলাম বিবাহ করার প্রলোভনে অবৈধভাবে মেলামেশা করার অভিযোগ উঠে।পরবর্তীতে রুমা আকতার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ আরো গুরুতর হয়।মৃত্যুর ৩ দিন পূর্বে ৮ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত রুমা আক্তারকে বিভিন্ন কৌশলে ঘর থেকে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পাশ্ববর্তী বাড়ির পুকুর পাড়ে গাছের সাথে ঝুঁলিয়ে রাখে।এদিকে আসামিপক্ষের লোকজন লাশটি জ্বীনে মেরেছে বলে প্রচার করে।পরে মূল ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে আইনের আশ্রয় নেয় নিহতের পিতা নুরুল আমিন।

উল্লেখ্য, মামলার বাদি নুরুল আমিন বাঁশখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩০২/৩৪ দন্ডবিধিতে নালিশী দরখাস্তে তৌহিদুল ইসলাম (৩০), আক্তার হোসেন (৪৫), নজরুল ইসলাম (৩২), ফৌজুল কবির (৩৮), রুজিনা আক্তার (২৮), ইয়াছমিন আক্তর (৩৩), খতিজা বেগম (৪২) এর নাম উল্লেখ করে আরো কিছু অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে। বাদির আবেদনের প্রেক্ষিতে বাঁশখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুল ইসলাম আদালত মামলাটি সি.আইডি কে তদন্তের নির্দেশ দেয়।সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বিজ্ঞ আদালত রুমা আক্তারের লাশ কবর থেকে উত্তোলন পূর্বক ময়না তদন্ত এবং ফরেনসিক পরীক্ষা করার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অনুমতি দেন।এরই প্রেক্ষিতে আজ লাশ উত্তোলন করা হয়।

গন্ডামারা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা বলেন,’লাশ কবর থেকে তুলে ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।এ সময় বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সহ বাদিপক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত কামাল উদ্দিন বলেন,’গন্ডামারার পূর্ব বড়ঘোনা থেকে রুমা আক্তারের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বাঁশখালী থানা পুলিশ এ সময় সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। আদালতের নির্দেশে এই লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ফরেনসিক পরিক্ষায় মৃত্যুর আসল রহস্য উদঘাটিত হবে।

Logo-orginal