, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

jamil Ahamed jamil Ahamed

সেই রামদা নিজেই খুঁজে বের করে দিল রিফাত ফরাজী (ভিডিও)

প্রকাশ: ২০১৯-০৭-০৮ ১৭:৩৫:৫৯ || আপডেট: ২০১৯-০৭-০৮ ১৭:৩৫:৫৯

Spread the love

বরগুনায় স্ত্রীর সামনে স্বামী রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত একটি রামদা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বরগুনার সরকারি কলেজ ক্যান্টিনের পূর্ব পাশের ডোবা থেকে রামদাটি উদ্ধার করা হয়।
এই রামদাটি দিয়েই রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কোপানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির। খবর দৈনিক যুগান্তরের ।

আজ সকালে রিফাত ফরাজীকে সঙ্গে নিয়ে তার দেখানো ডোবা থেকে রামদাটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানান হুমায়ুন কবির।

রিফাত হত্যা মামলায় ২নং আসামি রিফাত ফরাজী। ভিডিওতে নয়ন বন্ডের সঙ্গে তাকেও ধারালো রাম দা দিয়ে রিফাত শরীফকে কোপাতে দেখা গেছে। পরে ৬ জুলাই এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের আরেকটি ভিডিও প্রকাশ হয়।

নতুন সেই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রিফাত শরীফকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার পর দৌড়ে গিয়ে রামদা নিয়ে আসে রিফাত ফরাজী। এরপরই এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে সে।

রিফাত হত্যা মামলায় ২নং আসামি রিফাত ফরাজী। ভিডিওতে নয়ন বন্ডের সঙ্গে তাকেও ধারালো রামদা দিয়ে রিফাত শরীফকে কোপাতে দেখা গেছে।

গত ২ জুলাই দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রিফাত ফরাজীকে গ্রেফতার করে বরগুনা পুলিশ। তবে তদন্তের সেদিন স্বার্থে তাকে গ্রেফতারের স্থান জানাননি বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম।

পরদিন বিকালে গ্রেফতার রিফাত ফরাজীকে আদালতের মাধ্যমে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী।

এদিকে আজ (সোমবার) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রিফাত শরীফ হত্যায় জড়িত অভিযোগে আরিয়ান শ্রাবণ নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ওসি (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আরিয়ান শ্রাবণকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ তাকে আদালতে তোলা হতে পারে। আরিয়ান শ্রাবণ বরগুনার বাজার সড়ক এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম ইউনুস সোহাগ।’

এনিয়ে এ মামলায় ১১ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এদের মধ্যে প্রধান আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

রিফাত ফরাজী ধরা পড়লেও তারা আপন ভাই ৩ নম্বর আসামি রিশান ফরাজী এখনও অধরা। এছাড়া ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে ১২ আসামির মধ্যে ৩, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ১০ নম্বর আসামি।

প্রসঙ্গত নিহত রিফাত শরীফের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামে। তার বাবার নাম আ. হালিম দুলাল শরীফ। মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন রিফাত।

২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী মিন্নিকে বরগুনা সরকারি কলেজে নিয়ে যান রিফাত। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে নয়ন, রিফাত ফরাজীসহ আরও দুই যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালান। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তারা।

রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নি দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই হামলাকারীদের থামানো যায়নি। তারা রিফাত শরীফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন রিফাত শরীফকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়।

স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদেই রিফাত শরীফকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র।

রিফাত হত্যা_ দৌড়ে গিয়ে রামদা নিয়ে আসে রিফাত ফরাজী।

রিফাত হত্যা_ দৌড়ে গিয়ে রামদা নিয়ে আসে রিফাত ফরাজী।

Posted by Azad Hossain on Monday, 8 July 2019

Logo-orginal