, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

আবু দাবীর মর্গে পড়ে আছে প্রবাসী ছেলের লাশ” হতভাগী মায়ের আহাজারি”

প্রকাশ: ২০১৯-০৮-২৬ ২৩:৪৮:০৫ || আপডেট: ২০১৯-০৮-২৬ ২৩:৪৮:০৫

Spread the love

আরব আমিরাতের আবু দাবী মর্গে পড়ে আছে ছেলের লাশ, দেশে জনমদুখিনী মায়ের আহাজারিতে বাতাস ভারী হচ্ছে!

এমন একটি সংবাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, নানা মন্তব্য দেশে ও প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের।

সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে সহযোগিতা কামনা করছেন মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীরা।

সুত্রে প্রকাশ, আবুধাবিতে গত ২৫ জুলাই থেকে মর্গে পড়ে আছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আজাদ মিয়ার লাশ!

একজন রেমিট্যান্স যুদ্ধার লাশের দায়িত্ব নিতে বাংলাদেশ দূতাবাস অস্বীকৃতি জানাচ্ছে! আশ্চর্যের বিষয় আজাদ মিয়া একজন বৈধ কাগজ পত্র ও সে দেশের আইডি ধারী একজন বাংলাদেশী রেমিট্যান্স যোদ্ধা হওয়ার পরও বাংলাদেশ দূতাবাস কতৃক তার লাশ দরিদ্র ও বিধবা মায়ের কাছে পাঠানো হচ্ছেনা।

দীর্ঘ একমাসের উপরে আবুধাবির খলিফা হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে অসহায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম যুবকের লাশটি।
ইউ এ ই’র বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের প্রতি আকূল আবেদন জানাচ্ছেন আজাদের বৃদ্ধা মা তার মৃত ছেলের লাশটি একনজর দেখার জন্য।

দেশের সকল সাংবাদিক,সরকার ও প্রশাসনের সকল দায়িত্বশীল ব্যাক্তির কাছে আজাদের মায়ের আকুতি যেনো তার ছেলের লাশটি দেশে পাঠানোর ব্যবস্হা করা হয়। আজাদের মা অভিযোগ করে বলেন আবুধাবির বাংলাদেশ হাই কমিশনের কর্মকর্তারা আমার ছেলের সাথে অমানবিক আচরণ করছেন তিনি বলেন আমার ছেলের সকল বৈধ কাগজ-পত্র ছিলো তার পরও সরকারের নিয়োগকৃত কর্মকর্তারা কেনো আমার ছেলের লাশের সাথে এমন নিষ্ঠুরের মতো আচরণ করছে?

উল্লেখ্য আজাদ মিয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে বৈধ ভিজিট ভিসায় গিয়ে সে দেশের চলমান আইন অনুযায়ী বিজনেস ভিসা অর্থাৎ ইনভেস্টার পার্টনার প্রফেশনে (এক্বামা) আই ডি লাগান এবং কাজ করছিলেন।
গত ২৫ জুলাই আলাইন শহরের এক কাজের সাইডে তিনি ডিউটিতে ছিলেন এবং সে সময় একটি শেওল গাড়ি স্টিলের একটি রেডিমেট ঘরে ধাক্কা দিলে ঘরটি সাথে সাথে বিদ্ধস্ত হয়ে আজাদের উপরে পড়ে যায় এবং আজাদের মাথা ও শরীর থেতলে যায়, প্রচন্ড আঘাতে ঘটনাস্থলেই আজাদের মৃত্যু হয়! অথচ আজাদের মেডিকেল রিপোর্টে বলা হয়েছে সে নাকি স্টোক করে মারা গেছে? যা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট।
কর্মস্হলের যারা কতৃপক্ষ তারা ক্ষতিপূরণ আদায় না করতে এমন মিথ্যা ও ঘৃণিত বানোয়াট রিপোর্ট করিয়েছে, একটি অসহায় পরিবারকে তার মরণোত্তর ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত করার জন্য।

এই মর্মান্তিক বিষয়টির সঠিক তদারকি করার ও পতিকার প্রপ্তির একমাত্র মাধ্যম ছিলো সে দেশে অবস্হিত বাংলাদেশ হাই কমিশনের লেবার কাউন্সিল কর্মকর্তারা, কিন্তু তারা সে দায়িত্ব পালন না করে উল্টো বলছে যারা ইনভেস্টার ভিসায় আছেন তাদের দায়িত্ব নাকি দূতাবাস কতৃপক্ষ নেবেনা যা সম্পূর্ণ বে-আইনি কথা।
একজন বৈধ কাগজধারী প্রবাসে নিজ দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা পাওয়ার কথা এবং মৃত্যুবরণ করলে নিজের লাশ দূতাবাস কতৃক দেশে পাঠানোর সার্ভিস সে পাওয়ার কথা।

কিন্তু আমরা অবাক হচ্ছি আজাদ মিয়ার ব্যাপারে! আবুধাবিতে অবস্হিত দূতাবাস/হাই কমিশন কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীন কথা বার্তা ও আচরণে মনে হয় তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী নয় বরং সৈর শাসক । বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকের নজরে আনার জন্য এবং তড়িৎ বিহীত ব্যবস্হা গ্রহনের জন্য আজাদ মিয়ার বৃদ্ধা মাতা সকলের সহযোগিতা কামনা করছেন।

Logo-orginal