, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

admin admin

কাশ্মীরে তল্লাশীর নামে চলছে চরম নির্যাতন ও মানবতাহীনতা

প্রকাশ: ২০১৯-০৮-২১ ০১:০৮:৫৯ || আপডেট: ২০১৯-০৮-২১ ০১:০৮:৫৯

Spread the love

দিল্লির জওহরলাল নেহরু  বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের(জেএনইউএসইউ) প্রাক্তন সহ-সভাপতি ও জম্মু-কাশ্মীর পিপলস মুভমেন্টের(জেকেপিএম) নেত্রী  শেহলা রশিদ অভিযোগ করেছেন, কাশ্মীরের একাধিক এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনী রাতে সাধারণ মানুষের বাড়িতে ঢুকে সব কিছু তছনছ করছে, খাবারদাবার নষ্ট করছে, নির্বিচারে ছেলেদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেছেন, শোপিয়ানে চার জনকে তুলে নিয়ে গিয়ে সেনাবাহিনী শুধু অত্যাচারই করেনি, মাইক লাগিয়ে তাদের আর্তনাদ এলাকাবাসীকে শুনিয়ে ত্রাসের সঞ্চার করেছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অবশ্য এই সব অভিযোগই ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

রোববার একাধিক টুইট বার্তায় এসব কথা লিখেন শেহলা রশিদ। তার এই বক্তব্যের কারণে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অলোক শ্রীবাস্তব দেশদ্রোহের অভিযোগ এনে মামলা করে অবিলম্বে শেহলাকে গ্রেপ্তার করার আর্জি জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার শেহলা রশিদ বলেছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তিনি যেসব অভিযোগ এনেছেন তার প্রমাণ দিতে তিনি প্রস্তুত।

ইন্ডিয়া টুডেকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে নিরপেক্ষ একটি তদন্ত হোক; সত্য বেরিয়ে আসবে। আমি তাদের কাছে জবানবন্দি দেব এবং সমস্ত প্রমাণ তুলে দেব।’

আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জেএনইউ-এ থাকাকালীন সাবেক ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারদের নামে যখন দেশদ্রোহের মামলা হয়েছিল, শেহলা তাদের সমর্থনে সরব হন। এ বার তার নামেও সেই একই আইনে মামলা হলো। কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতানেত্রীরা বেশির ভাগই এখন বন্দি বা গৃহবন্দি। শেহলার দলের নেতা শাহ ফয়সালকেও সম্প্রতি গৃহবন্দি করা হয়েছে। অনেকে আশঙ্কা করছেন, শেহলাকেও হয়তো ধরা হতে পারে।

শেহলা অন্য এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘আমার গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করে দয়া করে কাশ্মীর সমস্যা থেকে চোখ ঘোরাবেন না। যদি আমি গ্রেপ্তার হই, আমার এই টুইটগুলো পৃথিবীর সামনে শেয়ার করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘কাশ্মীরের এখন যা অবস্থা, সেখানে শুধু গ্রেপ্তার হলে ভাগ্য ভালো বলতে হবে।’

সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যা যা তিনি লিখেছেন, সে সব মানুষের সঙ্গে কথা বলেই লিখেছেন বলে দাবি করেছেন।

Logo-orginal