, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

কুরবানি নিয়ে ব্যঙ্গ করে আটক হলেন সে সুজন দাশ, কঠোর শাস্তি চায় লোহাগাড়াবাসী

প্রকাশ: ২০১৯-০৮-২৪ ১১:৪৪:১৯ || আপডেট: ২০১৯-০৮-২৪ ১৭:২৭:৫৪

Spread the love

লোহাগাড়াঃ অবশেষে আটক হলেন লোহাগাড়ায় কুরবানি নিয়ে ব্যঙ্গ করে আটক হলেন সুজন দাস।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকালে সুখছড়ির নিজ বাড়িতে পুলিশ তাকে আটক করে।

লোহাগাড়া থানা সুত্রে প্রকাশ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জনাব সালাউদ্দীন হিরুর অভিযোগে কট্টরপন্থী হিন্দু যুবক কথিত শিক্ষক ও লেখক সুজনকে আটক করে থানা পুলিশ।

শুক্রবার সকালে আমিরাবাদ ইউনয়নের সুখছড়ি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ওই এলাকার মৃত সুনীল দাশের পুত্র।

শনিবার সকালে গ্রেফতারকৃত সুজন দাশকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সুত্রে প্রকাশ, গত ঈদুল আজহার কদিন আগে থেকে অভিযুক্ত সুজন পশু কুরবানি নিয়ে ব্যঙ্গ করে আসছিল, এবং সে নিয়মিত মুসলিম জাতি তথা ইসলামকে হেয় প্রতিপন্ন করে পোস্ট করে আসছিল।

গত ১৮ আগস্ট মোঃ ফারুক নামের সুখছড়ির এক যুবক বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরলে লোহাগাড়া জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে।

বিষয়টি স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা জনাব হিরুর নজরে আসলে তিনি বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন।

তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে লোহাগাড়া থানা পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে।

তার আটকের সংবাদে জনাব সালাউদ্দীন হিরু ও পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে লোহাগাড়াবাসী সুজনের কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।

এরআগে সুজনের পোস্ট নিয়ে লেখা একটি পোস্ট ফেইচবুকে ভাইরাল হয়। নীচে তাহা হুবুহু তুলে ধরা হল।


*দক্ষিণ চট্টগ্রামের একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম ‘সুখছড়ী’। যেখানে ইসলাম ধর্মালম্বী জনসাধারণের পাশাপাশি সমসংখ্যক সনাতন ধর্মালম্বী জনসাধারণের বসবাস। দীর্ঘদিন ধরে উভয় ধর্মালম্বী মানুষ সুখছড়ীর “সুখের নীড়ে” পরস্পর কোন হিংসা-বিদ্বেশ ছাড়াই বসবাস করে আসছে। এখানে পুকুরের এক পাড়ে মসজিদ তো অন্য পাড়ে মন্দির দেখা যায়। এখানে এইটাও দেখা যায় সামাজিক/ধর্মীয় যেকোন প্রোগ্রামে সকলের সরব উপস্থিতি ও সহযোগিতা। এক কথায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য নজির।

-কিন্তু সব সম্প্রদায়ের মধ্যেই কিছু দুষ্টু লোক থাকে, যারা তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করতে চায়।

-এরকমই একজন সুখছড়ী গ্রামের মৃত সুনিলের পুত্র সুজন দাশ বেশ কয়েক বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ঠ করতে ওঠে পড়ে লেগেছে। শুধু তাই নয়, সুখছড়ীর অভ্যন্তরীন অনেক বিষয় নিয়ে সে মিথ্যা, বানোয়াট ও বির্তকৃত পোস্ট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ইতিমধ্যে তার এরূপ কার্যকলাপ সুখছড়ীসহ বিদেশে বসবাসরত সুখছড়ীর অধিবাসীদের নজর পড়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগে এ নিয়ে তূমল আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। বর্তমানে বিষয়টা এ পর্যায়ে চলে গেছে যেকোন সময় তার কারণে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রোল মডেল খ্যাত “সুখছড়ী”তে যেকোন অঘটন ঘটতে পারে (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ব্যাক্তিগত উপলব্ধি)।

-তাই সুখছড়ীর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনে যারা দীর্ঘদিন ধরে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন তাঁদের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ সম্মলিত প্রচেষ্ঠায় এই উগ্রবাদী, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনিষ্ঠকারী সুজন দাশের এরূপ কার্যকলাপ বন্ধের জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্ঠায় আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জন্য।

(উল্লেখ্য যে, তাহার কর্তৃক প্রচারকৃত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনিষ্ঠ জনিত সকল ফেইজবুক পোস্ট সংগৃহিত আছে)

👉এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা, পরামর্শ ও কমেন্টস বক্সে তার কর্তৃক পোস্ট সংগ্রহ থাকলে সেন্ড করুন।

Logo-orginal