, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

বান্দরবানে বাঙালীর অধিকারের কথা বলায় চাকুরি হারালো স্কুল শিক্ষক”

প্রকাশ: ২০১৯-০৮-২৫ ০১:১৬:৪৯ || আপডেট: ২০১৯-০৮-২৫ ০১:১৬:৪৯

Spread the love

বান্দরবানঃ পার্বত্য অঞ্চলে বাঙ্গালীদের অধিকারের কথা বলায়,চাকুরি হারিয়েছে বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের ভাগ্যকুল কদুখোলা উচ্চ বিদ্যালয় এর ইংরেজি শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান আকন্দ।

শনিবার ( ২৪ আগস্ট) সকাল ১০টায় স্কুলের দ্বিতীয় তলা উদ্বোধনের সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং উদ্বোধন শেষে একটি শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করেন।

কক্ষে পূর্ব থেকে উপস্থিত, বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য জনাব মোজাম্মেল হক বাহাদুর , পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ বান্দরবান জেলার-সভাপতি মিজানুর রহমান আকন্দ কে স্কুল শিক্ষককে হিসাবে দেখে রুষ্ট হয়।

নেতিবাচকভাবে মন্ত্রীর সামনে শিক্ষককে উপস্থাপন করে, বলেন সব কলকাঠি এবং নাটের গুরু হলো এই শিক্ষক এই শিক্ষককে এই স্কুলে চাকুরি করতে দেয়া যাবে না।

জেলা পরিষদের সদস্য কথা শুনে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় জানিয়ে দেন বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ করলে এই শিক্ষক এখানে চাকরি করতে পারবে না এবং আমি একে এখানে চাকরি করতে দিবোনা এরকম অনেক স্কুলের অনেক জনের এমপিও আমি বন্ধ করে দিয়েছি এটা সাম্প্রদায়িকতা।

এসময় আওয়ামি লীগের জেলা, উপজেলা নেতৃবৃন্দ এবং বান্দরবান জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার

সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে, ছাত্রনেতা মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, আমি পাহাড়ে সম্প্রীতি রক্ষা এবং পাহাড়ের সন্ত্রাস বিরুদ্ধে কথা বলি। মানুষে অধিকার লড়াইয়ে মানুষের পাশে থাকি। গত কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের পৌরসভার নেতা চথোয়ায় মং মারমাকে গুলি করে হত্যা করার ঘটনায়। আমি বান্দরবান প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন করে প্রতিবাদ করেছি এবং বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সদা প্রতিবাদ করে আসছি।

মানবতার সেবায় বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম । আমার কাছে কখন পাহাড়ি-বাঙালি পার্থক্য নেই সবাই আমরা একই রক্তে মাংসে মানুষ। তিনি আরো বলেন চাকরি কোন বিষয় নয় মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলতেছি কথা বলব এবং সত্য সবার সামনে উপস্থাপন করে পার্বত্যভূমিতে অধিকার লড়াই সামিল থাকবো এর জন্য শুধু চাকরি নয় জীবনও দিতে হতে পারে, নির্দিষ্ট একটা সম্প্রদায় সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে বাকিরা বঞ্চিত হবে তা হতে পারে না।

এ বিষয়ে এলাকাবাসী বলেন, শিক্ষক মিজান আমাদের মধ্যে সম্প্রীতি রক্ষায় কথা বলে সুখে দুঃখে আমাদের পাশে থাকে তার সাথে এমন আচরণ মোটেও কাম্য নয়। আমরা শিক্ষক মিজানের,পাশে ছিলাম আছি থাকবো। পাহাড়ের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সবাই মিজানের নেতৃত্বে কাজ করে যাবো এতে করে কোন রকমের প্রতিবন্ধকতা আমরা মানবো না। #সংগৃহীত ফেইচবুক থেকে।

Logo-orginal