admin
প্রকাশ: ২০১৯-০৮-২৪ ১০:৪৮:৩৮ || আপডেট: ২০১৯-০৮-২৪ ১৭:২১:১৪
সৌদিআরবঃ মদিনায় সড়ক দুর্ঘটনায় চার রেমিট্যান্স যোদ্ধার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে।
#ইন্না-লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজীউন,।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার পথে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় এই চার বাংলাদেশী মৃত্যু হয়।
জেদ্দার ব্যবসায়ী মোঃ মুসেলম উদ্দীন তার পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহতরা মদিনা আল ফাহাদ কোম্পানিতে করতেন।
চারজনের বাড়ী নারায়ণগঞ্জ বলে যানা গেছে।
নিহতরা সবাই নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ও খাগকান্দা ইউনিয়নের বাসিন্দা। শুক্রবার বিকেলে এই খবর নিহতদের বাড়িতে পৌঁছলে শুরু হয় শোকের মাতম। স্বজন হারানোর কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ।
জানা গেছে, সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের তিন জন এবং খাগকান্দা ইউনিয়নের চম্পকনগরের একজন। নিহতদের মধ্যে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের বদলপুর গ্রামের জাব্বার মিয়ার ছেলে সুরুজ মিয়া (২৫), একই গ্রামের মোতালিব ব্যাপরীর ছেলে নুরা মিয়া (২৩), পার্শ্ববর্তী গ্রামের খালিয়ারচর গ্রামের মোকররমে ছেলে উজ্জল (২২) ও খাগকান্দা ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামের রাসেল (২৪)। নিহত রাসেলের পিতার নাম আক্রম আলী। তিনি ৩ বছর যাবত সৌদি আরবে থাকতেন।
কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপন জানান, নিহতরা সবাই মদিনার আল-ফাহাদ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার বাংলাদেশের সময় সকাল ১০টায় তারা একটি মাইক্রোবাস দিয়ে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। এদের মধ্যে বাংলাদেশের ৪জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এরা সবাই আড়াইহাজারের বাসিন্দা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নিহত চারজনের পরিবারে কান্নার রোল পড়ে গেছে। সন্তানের এভাবে চলে যাওয়া কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তারা। মৃত্যুর সংবাদ শুনে পাড়া প্রতিবেশী নিহতদের বাড়িতে আসার পর কেউই চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না। নিহত রাসেলের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপন আরো জানান, স্বজন হারানোর বেদনায় গোটা কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শান্তনা দেয়ার ভাষা নেই কারো।
আল্লাহ পাকের নিকট দোয়া করি তিনি যেন নিহতদের পরিবারের সদস্যদের ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করেন।