, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

admin admin

রাঙ্গুনিয়ায় কুরবানির ঈদে কদর বেড়েছে মহিষের

প্রকাশ: ২০১৯-০৮-০৯ ২০:০৮:১৯ || আপডেট: ২০১৯-০৮-০৯ ২০:০৮:১৯

Spread the love

ইসমাঈল হোসেন নয়ন,রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের
রাঙ্গুনিয়ার পশুর বাজারে বেড়েছে মহিষের কদর। একই ওজনের মহিষের দাম গরুর চেয়ে অন্তত ১০ হাজার টাকা কম। গরুর চেয়ে দাম কম থাকায় এবং বিভিন্ন রোগবলাইয়ের কথা বিবেচনায় রেখে অনেক ক্রেতাই এবার মহিষের দিকে ঝুঁকছেন।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরু ও ছাগলের পাশাপাশি বাজারে উঠেছে প্রচুর পরিমাণে মহিষ। বেচাকেনাও হচ্ছে ভালো। কেনাবেচা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া বন্যা এবং ভারত থেকে গরু আমদানি কম হওয়াতে এবার কোরবানি গরুর দাম একটু বেশি বলে মনে করছেন ক্রেতারা। তাই অন্যান্য বছরের তুলানায় কদর বেড়েছে মহিষের। এর মধ্যে উপজেলার ব্রহ্মোত্তর এলাকায় বসেছে বিশাল মহিশের বাজার। এই বাজার ২০-২৫ জন ব্যাপারীর রয়েছে ৩০০-৪০০ মহিষ। গত ১০ দিন ধরে চলছে এই বাজার। চলবে কোরবানির আগের দিন রাত পর্যন্ত।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসমাঈল শিকদার জানান, এই বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য নিজস্ব পাহারাদার বাহিনীসহ পর্যাপ্ত আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারি কোন ইজারা না থাকলেও এখানে ক্রেতাদের কাছ থেকে নূন্যতম একটি হাছিল আদায় করে এলাকার মসজিদের কাজে ব্যবহার করা হয়।

ব্যবসায়ীরা জানান, ব্রহ্মোত্তর গ্রামের এই বাজারে সাতক্ষীরা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকারি ব্যবসায়ীরা মহিষ নিয়ে আসেন। তাদের কাছ থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে বাজারে বিক্রি করেন।

ব্যবসায়ীরা আরও জানান, চার থেকে পাঁচ মণ ওজনের গরু বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা। এই ওজনের মহিষের দাম রাখা হচ্ছে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ কারণে ক্রেতারা গরুর পাশাপাশি মহিষও পছন্দ করছেন।
কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, গরুর দাম বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন রোগবলাইয়ের কারণে মহিষ কিনছেন তারা। তাদের মধ্যে ফারুক নামে একজন ক্রেতা জানান, দাম বৃদ্ধির কারণে গত বৃহস্পতিবার গরু না কিনে বাজার থেকে চলে এসেছিলাম। আজ (শুক্রবার) এখান থেকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা দিয়ে ৫ মনি ওজনের একটি মহিষ কিনলাম। এই সমমানের গরু কিনতে গেলে দাম পড়বে ১ লক্ষ ৪০ অথবা ৫০ হাজার টাকার মতো।

মো. আবদুল গফ্ফার নামে অন্য এক ক্রেতা জানান, গরুর মাংসে বিভিন্ন ধরণের রোগ বালাই হয় শুনেছি এবং দামও বাড়তি। তাই এবার মহিষ দিয়ে কোরবান করার উদ্দেশ্যে মহিষ বাজারে এসেছি। কয়েকটা দরদামও করে ৪ মন ওজনের একটি মহিষ ৮০ হাজার টাকায় কিনেছি।

এদিকে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে শুক্রবার সকাল থেকে জমজমাট পশুর বেচাকেনা শুরু হয়েছে। এসব বাজারে প্রচুর পশুর সমাগম হয়েছে। তবে কিছু কিছু বাজার সড়কের উপর বসায় সাধারণ মানুষরা চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তবে এসব বাজারের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে। এ ছাড়া হাটে পশু চিকিৎসকেরা সক্রিয় থাকায় ক্রেতারাও আস্থা নিয়ে পশু কিনছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল বলেন, কোরবানির পশুর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য নিয়মিত চিকিৎসকদের পাশাপাশি শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের অধীনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা দলে দলে ভাগ হয়ে উপজেলার বিভিন্ন বাজারের পশু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। বাজারে স্টেরয়েড প্রয়োগকৃত কোনো পশু রাখা যাবে না, এ জন্য আমরা মনিটরিং কার্যক্রম চালাচ্ছি।’

Logo-orginal