admin
প্রকাশ: ২০১৯-০৮-১০ ২২:৩২:০১ || আপডেট: ২০১৯-০৮-১০ ২২:৩২:০১
ইসমাঈল হোসেন নয়ন,রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের
রাঙ্গুনিয়ায় কাপ্তাই সড়ক সহ বিভিন্ন সড়ককে কেন্দ্র করে বসানো হয়েছে কোরবানি পশুর বাজার। সরকারি ইজারা ও ইজারা বহির্ভুত বাজার ছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু অস্থায়ী পশুর হাট। এসব বাজারের ফলে সড়ক জুড়ে তীব্র ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ যাত্রীরা। সড়কে পশুর বাজার না বসাতে প্রশাসনের স্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও তা মানছেন না বাজারের ইজারাদার থেকে শুরু করে গরু বিক্রেতারাও। তবে সড়কে পশুর হাটে যানজট নিরসনে মাঠ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সরে জমিনে দেখা যায়, কাপ্তাই সড়কের গোডাউন, মরিয়মনগরে সড়ককে কেন্দ্র করে বসেছে গরুর হাট। এরমধ্যে গোডাউন বাজার সরকারি ভাবে ইজারা থাকলেও মরিয়মনগর বাজার পরিচালিত হচ্ছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের অধিনে। এরবাইরে এই সড়কের শান্তিরহাট থেকে চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান পর্যন্ত অন্তত ১০টি স্পটে বিভিন্ন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ৫০-১০০টি পশু নিয়ে বসিয়েছে বিভিন্ন অস্থায়ী পশুর বাজার। অন্যদিকে চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট সহ উপজেলার বিভিন্ন আভ্যন্তরিণ সড়কেও বসেছে গরুর বাজার। এরফলে সড়কে সড়কে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। শনিবার সকালে গোডাউন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পাশে সারি সারি গরু বেঁধে রাখা হয়েছে। এসব পশু রাস্তায় এনে বিক্রেতাদের দেখানো হচ্ছে। এছাড়াও সড়কের উপর দিয়েই গরু কেনাবেচার জন্য আনা নেওয়া করা হচ্ছে। এরফলে সড়কে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। একই চিত্র দেখা গেছে কাপ্তাই সড়কের মরিয়মনগর চৌমুহনী ও চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটের পশুর হাটে। এরফলে গাড়ি চলাচল ব্যাহত হয়ে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে এবং স্থানীয় বাসিন্দা ও সড়কের পথচারীরা পড়েছেন বিপাকে।
চট্টগ্রাম শহর থেকে সিএনজি অটোরিকশা যোগে রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা আসছেন মো. ইকবাল হোসেন নামে এক যাত্রী। তিনি জানান, শহর থেকে পাহাড়তলি পর্যন্ত আসতে যে সময় ব্যয় হয়নি তার থেকেও বেশি সময় লেগেছে গোডাউন ও মরিয়মনগর পশুর হাট পাড় হতে। প্রশাসনের নির্দেশনা থাকলেও মাঠ পর্যায়ে তদারকির অভাবে এই সমস্যা বলে মনে করছেন তিনি।
তৌহিদ হোসেন নামে একজন দোকানী জানান, গরু বিক্রির জন্য মূলত গোডাউনে নির্দিষ্ট কোন স্থান নেই। যেই যেদিকে পাড়ছে গরু বেঁধে বিক্রি করছেন। বড় বাজার বুঝাতে পরিকল্পিত ভাবে যানজট তৈরি করছে বাজার কমিটি। রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ভোবানিমীল থেকে ইছাখালী সিএনজি পাম্প স্টেশন পর্যন্ত যানজট তৈরি হয় গরু বাজারের কারণে।
তবে গোডাউন গরুর বাজারের ইজারাদার মো. আবু তৈয়ব বলেন, সড়কে পশুর বাজার বসানো হয়নি। সড়কে যাতে পশু না রাখা হয় সেজন্য আমাদের নিজেদের স্বেচ্ছাসেবকদলের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরাও কাজ করছেন। এছাড়া মাইকিং করে সড়কে গরু না আনতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ মো. আহসানুল কাদের ভূঞা বলেন, সড়কে পশুর হাটে যাতে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে না পড়ে সেজন্য পুলিশের বিশেষ দল মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন।’