, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

সফল হতে ভারসাম্য থাকা চাই- চট্টগ্রামে তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ২০১৯-০৮-০৮ ২৩:৩৫:৫৭ || আপডেট: ২০১৯-০৮-০৮ ২৩:৪০:৩৬

Spread the love

ইসমাঈল হোসেন নয়ন, রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধিঃ
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জীবন হচ্ছে বাইসাইকেল চালানোর মতো। সাইকেল চালাতে যেমন ভারসাম্য রাখতে হয়, জীবনে সফল হতে হলেও তেমনি সবকিছুতে ভারসাম্য থাকা চাই। চলার পথে জীবনকে যুদ্ধক্ষেত্র মনে করবে। নিজের স্বপ্ন ঠিক করে তা বাস্তবায়নে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাবে। সফলতা একদিন ধরা দেবেই।’

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইম্যান (এইউডব্লিউ) আয়োজিত ম্যাথ অ্যান্ড সায়েন্স সামার স্কুলের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইম্যান বাংলাদেশের গর্ব উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নে অবিশ্বাস্য কাজ করছে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইম্যান। যারা এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো বিশ্বমানের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছো তোমরা সত্যিই ভাগ্যবান। আমরা আশা করবো, তোমরা একদিন স্বপ্নের চেয়েও বড় হবে। নারীর ক্ষমতায়নে আরও বেশি ভূমিকা রাখবে।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান, শেভরনের পরিচালক-কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ইসমাইল চৌধুরী, বুয়েটের প্রফেসর ড. সেলিয়া শাহনাজ, এইউডব্লিও’র রেজিস্ট্রার ড. ডেভ ডল্যান্ড, প্রফেসর এ কে এম মুনিরুজ্জামান মোল্ল্যা প্রমুখ।

মাসব্যাপী এইউডব্লিউতে ম্যাথ অ্যান্ড সায়েন্স সামার স্কুলের কার্যক্রমে ক্ল্যাসিক্যাল ম্যাকানিকস, ইলেকট্রিসিটি অ্যান্ড ম্যাগনিটিজম, বায়োইনফরম্যাটিকস, ম্যাথমেটিক্স, এলজেব্রা ও ক্যালকুলাস, স্যাট পরীক্ষা প্রস্তুতির বিষয় সমূহের ওপর পড়ানো হয়।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এখন অনেক সন্তানেরা বাবা-মাকে অবহেলা করে। তাদের সেবা করে না। নির্যাতন করে। ফলে পারিবারিক বন্ধন নষ্ট হচ্ছে। সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। এসব বন্ধ করতে হবে। তবেই শান্তি ফিরে আসবে। এ বিষয়ে সরকার ইতোমধ্যে সংসদে আইন পাস করেছে। আইনের বাস্তবায়নও আমরা করবো।

বড় হয়ে বাবা-মাকে ভুলে না যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তোমরা যখন ছোট ছিলে বাবা-মায়েরা সন্তানের স্নেহ দিয়ে তোমাদের সেবা করতো। এখন তোমরা বড় হয়েছো। পড়াশোনা করছো। একদিন আরও বড় হবে। বড় হয়ে বাবা-মাকে ভুলে যাবে না। তাদের সেবা করবে। কারণ বয়স বাড়লে বাবা-মায়েরা হয়ে যায় ছোট সন্তানের মতো।’

অনুষ্ঠান শেষে সংবাদপত্রে নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সংবাদপত্রে কর্মরতদের জন্য নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আদালতে সরকারের বক্তব্য উপস্থাপন করা হবে। আমরা আশা করছি আদালতের বিবেচ্য দৃষ্টি নিশ্চয়ই সাংবাদিকদের স্বার্থে বিবেচনা হবে। তবে যেহেতু এটি বিচারাধীন বিষয় আমি এর চেয়ে বেশি বলতে পারিনা। শুধু আশা প্রকাশ করতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে নবম ওয়েজবোর্ড প্রজ্ঞাপন জারী করার জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছিল। মন্ত্রীসভা কমিটি চুড়ান্ত করে সেটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কেবিনেটে পাঠানোর জন্য আমরা সমস্ত কাগজপত্র তৈরী করে ফেলেছি। সেই পর্যায়ে আদালত থেকে স্থিতাবস্থার একটি রায় এসেছে। সংবাদপত্র মালিকদের পক্ষ থেকে আদালতে গেছে। সংবাদপত্র মালিকদের যে মামলা সেটাতে সরকার এবং ওয়েজবোর্ডকে বিবাদী করা হয়েছে। যেহেতু তারা আদালতে গেছে, আদালতে আমরা এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের বক্তব্য অবশ্যই উপস্থাপন করবো। যাতে করে এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব পর হয়। আদালত স্থিতাঅবস্থা ও যেসব ব্যাখ্যা চেয়েছে সেগুলো আইনজীবির মাধ্যমে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।’

ডেঙ্গুর কারণে সারাদেশে উদ্বেগজনক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এমতাবস্থায় ডেঙ্গু নিয়ে সরকারের মন্ত্রীদের প্রতিকী কর্মসূচি নিয়ে কেউ কেউ নানা সমালোচনা ও প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন ‘কিছু লোক আছে যারা কোন কাজ করেননা, অন্য কেউ কাজ করলে সমালোচনা করে। বিএনপি’রও একই দশা হয়েছে। এখন কি দেশের মানুষ নির্বাচন দাবীর দিশায় আছে!’ – প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী।

‘যেখানে ডেঙ্গু মোকাবেলা করার জন্য সমস্ত বাংলাদেশের মানুষ আজকে উদ্বিগ্ন সেখানে দেখলাম মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কয়েকদিন আগে নতুন নির্বাচনের দাবী নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। সবাই আত্মপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা পাশে না দাঁড়িয়ে বরং সমালোচনা করছে, আবার নতুন নির্বাচন দাবী করছে। এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপি আসলে জনগণের জন্য রাজনীতি করেনা।’

Logo-orginal