, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

এসআই আনোয়ার যেভাবে ৭৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিল এক অসহায় পরিবারের” নারায়ণগঞ্জে তোলপাড়

প্রকাশ: ২০১৯-০৮-২৬ ১৮:০০:৪৯ || আপডেট: ২০১৯-০৮-২৬ ১৮:০০:৪৯

Spread the love

নারায়ণগঞ্জের  বন্দরে দুই দিন হাজতে আটকে রেখে হলুদ মরিচ ভাঙ্গানোর এক যুবকের কাছ ৭৫ হাজার টাকা আদায় করে গ্রেফতার বানিজ্যের    অভিযোগ উঠেছে  এসআই আনোয়ার হোসাইনের বিরুদ্ধে। এসআই আনোয়ার হোসাইন বন্দর থানাধিন  কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ। ভুক্তভোগী  ওই যুবকের নাম আবু হানিফ (৩০)।

শনিবার (২৪শে আগষ্ট) দুপুরে জাঙ্গাল এলাকা থেকে তাকে তুলে এনে হাজতে আটক রাখার পর এনজিও থেকেউত্তোলনের কিস্তির টাকায় ও গহনা বন্ধক রেখে রবিবার সন্ধ্যায় স্বামীকে মুক্ত করে নেন স্ত্রী নাজমা আক্তার ইতি।ভুক্তভোগী আবু হানিফ চিড়ইপাড়া গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে।

ভুক্তভোগী আবু হানিফ জানান, নিজ বাড়িতে হলুদ, মরিচ ও চাউল ভাঙ্গানোর মেশিন বসিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে এক সপ্তাহ আগে একটি বৈদ্যুতিক মোটর মেশিন বিকল হয়ে পড়ে। নতুন মেশিনকেনার জন্য গত ২১ আগস্ট সাপ্তাহিক কিস্তি হিসাবে টিএমএসএস এনজিও সংস্থা মদনপুর শাখা থেকে স্ত্রী নাজমা আক্তার ইতিকে দিয়ে ৩৫ হাজার টাকা লোনউত্তোলন করেন। একটি পুরাতন মেশিন সন্ধান পেয়ে শনিবার দুপুরে তিনি কুড়িপাড়া এলাকায় যায়।  রাতন মোটর ভাল না হওয়ায় ওই রিকশায় ফের বাড়িতে রওনা হন। এসময় জাঙ্গাল ব্রিজের সামনে পৌঁছালে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আনোয়ার হোসাইন সাদা পোশাকে সঙ্গিয় কনেষ্টবল খলিলকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে রিকশা নামিয়ে দেহ তল্লাসি করে । তল্লাসি কালে প্যান্টের পকেটে উত্তোলনের কিস্তির ৩৫ হাজার টাকা পেয়ে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে মাইক্রোবাসে তুলে এনে হাজতে আটকে রাখে। রাতে মারধর করে এবং দুই লাখ টাকা দাবি করে। দুই লাখ না দিলে ৫শ ইয়াবা দিয়ে চালান করে দেয়ার হুমকি দেয় এবং বিভিন্নভয়ভীতি দেখায় দারোগা আনোয়ার। রবিবার সকালে স্ত্রীকে খবর দিয়ে এনে দুই লাখ টাকা দাবি করে । পরে নিরুপায় হয়ে কিস্তির উত্তোলনের ৩৫ হাজার টাকা বাদে রবিবার সন্ধ্যায় স্ত্রীর গহনা বন্ধকের ২০ হাজার এবং আ স্বজনদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকাসহ মোট ৭৫ হাজার টাকা আনোয়ারকে দেয়া হয়েছে। 

এসআই আনোয়ার হোসাইন স্ত্রীর গহনা বন্ধক রেখে টাকা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন,  সন্দেহভাজন হিসাবে আবু হানিফকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ তার কাছ থেকে কোনো কিছু না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।এই লোকটিকে ছেড়ে দিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ অনুরোধ করেছেন। একজন নিরপরাধ লোককে রাস্তা থেকে তুলে এনে ১ দিন হাজতে আটকে রাখবেন আবার ৭৫ হাজার টাকার বিনিময়ে একজন চেয়ারম্যানের কথায় ছেড়ে দিবেন এই অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আনোয়ার কোন জবাব দিতে পারেননি।

এসআই আনোয়ারের গ্রেফতার বাণিজ্যের বিষয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা,তবে আমি তাৎক্ষণিক কথা বলে ব্যবস্থা নেবো।  এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ-খ অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম বলেন ”এ বিষয়টি আমি তদন্ত করে দেখবো,তদন্ত শেষে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুত্রঃ সোনারগাঁ নিউজ।

Logo-orginal