, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

jamil Ahamed jamil Ahamed

জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন ভিপি নুর (ভিডিও)

প্রকাশ: ২০১৯-০৮-১৯ ১৭:২০:৫৫ || আপডেট: ২০১৯-০৮-১৯ ১৭:২০:৫৫

Spread the love

জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর। গত বছরের ৩০ জুন থেকে গত ১৪ আগস্টের হামলাসহ এ পর্যন্ত মোট আটবার ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাঁর ওপর হামলা করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এই হামলা থেকে তাঁকে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই রক্ষা করতে পারেন বলে মনে করেন তিনি। এজন্য হামলায় জড়িতদের বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে ন্যায় বিচার চেয়েছেন ভিপি নুর। সংবাদ এন টিভির ।

আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চান ডাকসুর ভিপি নুর।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে নুরুল হক নুর বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীদের অযথা হয়রানি বন্ধ করুন এবং যারা হামলার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে অতিদ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিন। কারণ অন্যায়ভাবে কাউকে হয়রানি করে তার মুখ বন্ধ রাখা যায় না।’

ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় হামলায় নিজের প্রাণনাশের শঙ্কাবোধ করছেন উল্লেখ করে নুর বলেন, ‘প্রতিবার প্রকাশ্যে ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটলে ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও পাওয়া যায়নি। পুলিশের নীরব ভূমিকা ছিল সন্ত্রাসীদের সহায়ক।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ডাকসুর ভিপি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ, কিছুদিন আগেও বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আপনি নিজেই বলেছেন, ‘সরকারের সমালোচনা করতে বাধা নেই, দেশে ভিন্ন মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। তাই আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ, ভিন্নমতের মানুষের ওপর দমনপীড়ন বন্ধ করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে আপনার দলের নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন। দেশে শাসন প্রতিষ্ঠায় দলীয় প্রভাবমুক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কার্যকর করুন।”

গত ১৪ আগস্টের ঘটনার দিন হামলার আশঙ্কায় গলাচিপা পুলিশের সহযোগিতা চাইলেও গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাঁকে কোনো ধরনের সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ করেন নুর। তিনি বলেন, ‘গত ১৪ আগস্ট পুলিশের উপস্থিতি সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা চালায় এবং পুলিশ আমার আত্মীয়-সমর্থকদের গ্রেপ্তারের হুমকিও দেয়। সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে নগ্ন হামলা চালালেও ওসি হামলার কথা অস্বীকার করেন। এমতাবস্থায় আমি আমার প্রাণনাশের শঙ্কাবোধ করছি।’

অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ছাত্রসমাজ তথা দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করে নুর বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হোন। আমি কোনো অন্যায় অপরাধ করিনি। শুধু অন্যায়-অনিয়মের প্রতিবাদ করার কারণেই আমি ও ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীরা বার বার ক্ষমতাসীন দলের রোষানলের শিকার হয়েছি।’

ক্ষমতাসীন দলের নেতা ছাড়াও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের কাছ থেকেও প্রতিনিয়ত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন নুর।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেন, ‘গত ১৪ আগস্ট চর বিশ্বাস থেকে আমার বোনের বাড়ি দশমিনা যাওয়ার পথে উলানিয়া বাজারে পটুয়াখালী-৩ আসনের সাংসদ এস এম শাহজাদা সাজুর (প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার ভাগ্নে) নির্দেশে চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী, গলাচিপা উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন শাহের নেতৃত্বে তাঁর ভাই নুরে আলম, লিটু পেদা, আব্বাস পেদা, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল ইসলাম রণো, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উলানিয়া যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল, যুবলীগ নেতা ইদ্রিস, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ফরিদ আহসান কচিন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ আসিফ, ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ তূর্য্যসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের শতাধিক নেতাকর্মী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে রড, স্টিলের পাইপ ও চাপাতি নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় প্রায় ২০-২৫ জনকে আহত, ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর, দুটি ডিএসএলআর ও ৮৯ হাজার টাকা ছিনতাই হয়।

‘আহতদের মধ্যে অমি নিজে, রবিউল, ইব্রাহিম, জাহিদ ও রিয়াজসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হই।’

‘সন্ত্রাসীরা শুধু হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি আমাকে চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত করেছে। ডাক্তার সিটি স্ক্যান ও ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করার জন্য বরিশাল মেডিকেলে রেফার করলেও সন্ত্রাসীরা এবং পুলিশ আমাকে জোর করে বাসায় পাঠিয়ে দেয় এবং এ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য আমাকে ও আমার পরিবারকে নিয়মিত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

ভিডিও এনটিভির সৌজন্য,

Logo-orginal