, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

jamil Ahamed jamil Ahamed

কুয়েতে বাংলাদেশ দুতাবাস স্টাফদের অনৈতিক আচরণের ক্ষুব্ধ প্রবাসীরা”

প্রকাশ: ২০১৯-০৯-০৯ ১৮:১৭:৩৮ || আপডেট: ২০১৯-০৯-০৯ ১৮:১৭:৩৮

Spread the love

বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েতের স্টাফদের অনৈতিক আচরণের ক্ষুব্ধ প্রবাসীরা। গত ২ সেপ্টেম্বর কুয়েতের মিসিলায় স্থানান্তরিত নতুন দূতাবাসের গার্ড শাহিন কবিরের অনৈতিক আচরণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

খবরটি বাংলাদেশ প্রতিদিন, জাগো নিউজসহ দেশের সবকটি নিউজে সংবাদ শিরোনাম হয়েছে । ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে প্রবাসীরা ।

কঠোর শাস্তি দাবী রেমিটেন্স যোদ্ধাদের ।

ভিডিওতে দেখা যায়, গরমে অতিষ্ঠ হয়ে দূতাবাসের ভেতরে মসজিদে পানি খেতে যাওয়ায় একজন কুয়েত প্রবাসীর কাগজপত্র ও মোবাইল কেড়ে নেয়া হয় এবং ধাক্কা দিয়ে দূতাবাস থেকে বের করে দেয় ও গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করে দূতাবাসের গার্ড শাহিন কবির। পরে ফের তাকে দূতাবাসে এক কর্মকর্তার কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে কুয়েত প্রবাসীদের মাঝে এটি এখন টক অব দ্য টাউন।

প্রশ্ন উঠেছে, চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মচারী হয়ে প্রবাসীর সঙ্গে এ ধরনের অনৈতিক আচরণ কোনোভাবে কাম্য নয়। এ গার্ডের সঙ্গে ক্লিনার জাহিদও ওই প্রবাসীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। থাপ্পড় দিয়ে বের করে দেয়ার হুমকিও দেন ওই গার্ড। এ আচরণে প্রবাসীরা হতবাক।

এর আগেও খালেদিয়ায় দূতাবাস থাকার সময় একই গার্ডের অনিয়মের ভিডিও এবং দূতাবাসের আরেক স্টাফ জসিমের অনৈতিক আচরণের ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয় ফেসবুকে। প্রবাসীদের সঙ্গে বারবার এ ধরনের অনিয়ম ও অনৈতিক আচরণের বিচার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ কুয়েত প্রবাসীরা। অনেক সময় কেউ বিচার দিলে ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বস্ত করলেও বিচার মিলে না।

দুর্নীতির বিচার না হওয়ার কারণে প্রবাসীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে দ্বিধাবোধ করেন না দূতাবাসের স্টাফরা। এই ধরনের রূঢ় আচরণে বৈদেশিক মিশনে একজন কর্মচারী কাজ করতে পারেন কি-না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে প্রবাসী মহলে। এভাবে চলতে থাকলে দূতাবাসের সম্মান থাকে না প্রবাসীদের কাছে। এই দুটি ঘটনাকে গুরুত্ব সহকারে তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার দাবী জানান প্রবাসীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রবাসী অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন সময় দূতাবাসে স্টাফদের দ্বারা অনৈতিক আচরণের শিকার হতে হয়। কেউ কেউ অভিযোগ করলেও বিচার না পেয়ে কর্মস্থলে ফিরে যান। বিষয়টি প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন প্রবাসীরা।

Logo-orginal