, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

jamil Ahamed jamil Ahamed

আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচে যা করতে হবে বাংলাদেশকে

প্রকাশ: ২০১৯-০৯-০৭ ২০:০৫:৩৪ || আপডেট: ২০১৯-০৯-০৭ ২০:০৫:৩৪

Spread the love

বাংলাদেশ কী পারবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি নিজেদের করে নিতে? জিততে হলে রেকর্ডসংখ্যক রান পাড়ি দিতে হবে বাংলাদেশ দলকে।

প্রথম ইনিংসে ১৩৭ রানে এগিয়ে থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসেও আফগান ব্যাটসম্যানরা ভালোই ব্যাট করছে টাইগার স্পিনদের বিপক্ষে। তৃতীয় দিন শেষে ৮৩.৩ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৭ রান সংগ্রহ করেছে আফগানরা।

প্রথম ইনিংসের লিড পাওয়া রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসের রান মিলিয়ে ৩৭৪ রানের বড় লিড ইতোমধ্যে তারা পেয়ে গেছে। রোববার টেস্টের চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নামবে আফগানরা। লক্ষ্য ইনিংস আরো বড় করা। চতুর্থ দিন খেলা শুরু হবে ২০ মিনিট আগে থেকে।

এই মুহূর্তে আফগানরা ইনিংস ছেড়ে দিলে বাংলাদেশকে জিততে হলে করতে হবে ৩৭৫ রান। ১৪২ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার ঘটনা আছে আর মাত্র ৭টি। নিশ্চিতভাবেই এই লিড আরও বেড়ে বাংলাদেশের লক্ষ্য আরও বড় হওয়ার কথা।

আর বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড লিডের ধারেকাছেও নেই। ২০০৯ সালে গ্রানাডায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২১৭ রান তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ।

যদি পরিসংখ্যানটা মেলাতে হয় চট্টগ্রামের মাঠ নিয়ে, তাহলে আরও হতাশার খবর আছে সাকিবদের জন্য। চট্টগ্রামে কখনোই রান তাড়া করে টেস্ট জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এমনকি চতুর্থ ইনিংসে ৩৩১ রানের বেশি করতেও পারেনি। অর্থাৎ আফগানিস্তানকে হারাতে হলে রেকর্ড বই রীতিমতো ওলটপালট করতে হবে সাকিবদের।

দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুতেই সাকিব এবং নাঈম হাসানের ঘূর্ণিতে ২৮ রানে ৩ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। চতুর্থ উইকেটে আসগর আফগান ও ওপেনার ইবরাহিম জাদরানের ১০৮ রানের জুটিতে সে চাপ সামলিয়ে ওঠে আফগান।

প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও দারুণ এক ফিফটি হাঁকান আসগর। হাফসেঞ্চুরি করার পর বেশিদূর আর যেতে পারেননি তিনি। তাইজুলের বলে সাকিবকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আসগর।

সেঞ্চুরির পথে থাকা ইবরাহিম জাদরান ১৩ রানের ব্যর্থতায় তিন ফিগারে পৌঁছাতে পারেননি তিনি। নাঈম হাসানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৮৭ রানে ফেরেন এই ওপেনার।

রশিদ খানের ২৪ ও কায়েস আহমেদের ১৪ রান আফগানদের আরো কিছুদূর এগিয়ে দেয়।

দিন শেষে আফসার জাজাই ৩৪ ও ইয়ামিন আহমাদজাঈ ০ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।

বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে সাকিব আল হাসান ৩টি, নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলাম ২টি এবং মেহেদি হাসান একটি উইকেট শিকার করেন।

এর আগে তৃতীয় দিনের শুরুতেই দলীয় ১১ রান যোগ করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২০৫ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। আগের দিনের ৮ উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে খেলতে নেমে কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই আউট হন তাইজুল ইসলাম। দলীয় ২০৫ রানে ব্যক্তিগত ৭ রান করে রশিদ খানের পঞ্চম শিকার হন নাঈম হাসান।

আফগানিস্তানের প্রথম ইনিংস

চট্টগ্রামে সিরিজের একমাত্র টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৪২ রানে অলআউট হয়েছে আফগানিস্তান। ৫ উইকেটে ২৭১ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করে সফরকারী আফগানিস্তান। দ্বিতীয় সকালে তারা আবার ব্যাট করতে নেমে খুব বেশি দূর যেতে পারেনি।

সফরকারীদের পক্ষে রহমত শাহ ১০২, আসগর আফগান ৯২ ও রশিদ খান ৫১ রান করেছেন। বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে তাইজুল ইসলাম ৪ উইকেট নিয়েছেন। এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দলীয় শূন্য রানের সাদমান ইসলামের উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।

আগের দিন ৮৮ রানে অপরাজিত ছিলেন আসগর আফগান। সেঞ্চুরিয়ান রহমত শাহর সাথে ১২০ রানের জুটি গড়েছিলেন। এরপর শেষ বিকেলে ৬ষ্ঠ উইকেটে আফসার জাজাইয়ের সাথে গড়েছিলেন অবিচ্ছিন্ন ৭৪ রানের জুটি। এই জুটি বাংলাদেশর জন্য ছিলো দুশ্চিন্তার। দ্বিতীয় দিন সকালে আসগর-আফসার জুটি শুরু করেন ধীরে সুস্থে; কিন্তু ৮৮ রান নিয়ে শুরু করা আসগরকে সেঞ্চুরির স্বাদ পেতে দিলেন না তাইজুল ইসলাম। সেই সাথে বাংলাদেশ দলকে এনে দিলেন স্বস্তি। ব্যক্তিগত রানের খাতায় মাত্র ৪ রান যোগ করে ইনিংসের ১০০তম ওভারের শেষ বলে তাইজুলকে সুইপ করতে গিয়ে বল আকাশে তুলে দেন আসগর। উইকেটরক্ষক মুশফিকের সেই বল গ্লাভস বন্দী করতে কোন কষ্টই হয়নি। আসগরের ব্যক্তিগত রান তখন ৯২। সেই সাথে আফগানিস্তানের রান হয়ে যায় ৬ উইকেটে ২৭৮।

এর কিছুপর আফসারকে(৪১) বোল্ড করেন তাইজুল। তাইজুরের পর জোড়া উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। কায়েস আহমেদ ও ইয়ামিন আহমদজাইকে আউট করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তবে অধিনায়ক রশিদ খান কিছুটা ভুগিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাদের। অনেকটা ওয়ানডে মেজাজে খেলে ৬১ বলে ৫১ রান করেন রশিদ। তাকে নিজের বলে ফিরতি ক্যাচে ফিরিয়েছে মেহেদী মিরাজ। আর এতেই শেষ হয়েছে সফরকারীদের ইনিংস। আফগানদের দলীয় রান তখন ৩৪২।

বাংলাদেশী বোলাদের মধ্যে তাইজুল ৪টি, সাকিব ও নাইম ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। উৎসঃ নয়া দিগন্ত ।

Logo-orginal