, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

এবার রাব্বানীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বক্তব্য ছুড়ে দিল জবি ছাত্রলীগ নেতা রাসেল

প্রকাশ: ২০১৯-০৯-১৪ ১৬:২২:১৯ || আপডেট: ২০১৯-০৯-১৪ ১৬:২২:১৯

Spread the love

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক রাব্বানীর উদ্দেশে এবার বিস্ফোরক বক্তব্য ছুড়ে দিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও শোভন-রাব্বানীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুললেন সাবেক এই নেতা।

শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই অভিযোগ তুলেছেন। তার নিজ ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া স্ট্যাটাসটি দৈনিক অধিকারের পাঠকদের উদ্দেশে তুলে ধরা হল-

“জনাব শোভন, রাব্বানী সাহেব…

কেমন আছেন? মধুচন্দ্রিমা তো শেষ, এখন তো আর পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পাবেন না। নিজেদেরকে মহাপ্রতাপশালী ভেবেছিলেন, এখন দেখেন আপনাদের খুঁটির জোর কতটুকু। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা অনেক প্রত্যাশা নিয়ে আপনাদেরকে নেতা বানিয়েছিল, আর আপনারা আপাকে কষ্ট দিলেন?? আপা আপনাদের ক্ষমতা যেভাবে দিয়েছেন, আবার নিয়েও যাচ্ছেন। ছাত্রলীগের ইতিহাসে একমাত্র সভাপতি সাধারণ সম্পাদক আপনারা যারা কিনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গনভবনে প্রবেশে নিষিদ্ধ হয়েছেন।

জনাব রাব্বানী সাহেব, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি স্থগিত করে আমাকে আর তরিকুলকে ডেকে নিয়ে মাসে কত টাকা করে যেন চেয়েছিলেন কমিটি ঠিক করে দেওয়ার জন্য?? আর জগন্নাথের নতুন ক্যাম্পাসে বালু ভরাটের কাজের জন্য যে ঠিকাদারটা পাঠিয়েছিলেন তার নাম মনে আছে?? বালু ভরাট ঘনফুট কত টাকা করে যেন বলেছিলেন?? আপনি ভুলে গেলেও আমি ভুলিনাই। সেগুলো প্রমাণসহ দেওয়া হয়েছে। আমাদের কমিটি ভেঙে যে মজাটা নিয়েছিলেন সেই মজাটা এখন আমি পাচ্ছি। আমরা বারবার বলার পর ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে না দিয়েই আমাদের কমিটি বিলুপ্ত করলেন। এখন তো মনে হচ্ছে আপনারাও আর কোনো ইউনিট কমিটি দিতে পারবেন না। আপনাদের এত ক্ষমতা তাহলে ফেব্রুয়ারিতে জগন্নাথের কমিটি বিলুপ্ত করে এখনো কমিটি দিতে পারলেন না কেন?? নাকি পোলাপাইনগুলোকে পিছনে পিছনে ঘুরিয়ে প্রটোকল নেওয়ার ধান্দা।।।

রাসেলের ফেসবুক স্ট্যাটাস

এসব ভন্ডামি ছাত্রসমাজ বুঝে গেছে।। ১ বছর ২ মাসে ১১০টি সাংগঠনিক জেলা ইউনিটের মধ্যে মাত্র ২টা কমিটি দিয়েছেন, তাও ইবি ছাত্রলীগের কমিটিতে ৪০ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে। যদিও টাকা লেনদেনের বিনিময়ে কয়েকটি উপজেলা কমিটি দিয়েছেন। বাকি ১০৮ ইউনিট কমিটি মনে হয় না আর দিতে পারবেন, যদি না দেশরত্ন আপনাদেরকে ক্ষমা করে শেষ সুযোগ না দেন।

দেশরত্নের সাথে যে অন্যায় করেছেন সবকিছুর জন্য ক্ষমা চেয়ে দেশরত্ন থেকে কয়েক মাস সময় চেয়ে নিয়ে মেয়াদ পূর্ণ করে যেন বিদায় নিতে পারেন এই কামনা করি।।।”

তবে তার এই বক্তব্যের অনেকে বিরোধিতাও করছেন। তার স্ট্যাটাসের কমেন্টে অনেকেই তাকে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সোহাগ-জাকিরের প্যানেলের বলেও দাবি করেছেন। অনেকে আবার তার এমন স্ট্যাটাসে ছাত্রলীগ সংগঠনই সমালোচিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। সুত্রঃ অধিকার।

Logo-orginal