, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

শিল্পকলায় ‘কিষাণকাব্য’ ও ‘পান্তা বুড়ি’ মঞ্চস্থ হলো

প্রকাশ: ২০১৯-০৯-১৮ ১৪:১৫:০৪ || আপডেট: ২০১৯-০৯-১৮ ১৪:১৫:০৪

Spread the love

রাকিব উদ্দীন বিনোদন ডেস্কঃ বাঁশির করুণ সুরে এভাবেই বোধন আবৃত্তি পরিষদের শিল্পীরা শুরু করে কাব্যনাট্য ‘কিষাণকাব্য’। আর তুলে ধরে বাংলার কৃষকের দৈন্য-অনাহার-ভূমিহীনতা বংশানুক্রমে ক্রমশ দাসত্বের শৃঙ্খলা বাধা পড়ে যাওয়ার কাহিনী।

বাংলার ‘জন্মদাস’ কৃষকের সাধ-আহ্লাদ, অপসৃয়মান স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে ছোট ছোট ঘটনায় এগিয়েছে কিষাণকাব্য। সরকারি খাস জমি ভূমিহীনদের বণ্টনের কথা থাকলেও প্রশাসনের সঙ্গে যোগসাজসে জোতদার-প্রভাবশালী মহল তা ভোগ করতে থাকে। আর জমি পাওয়ার স্বপ্নে বিভোর ভূমিহীনরা জমি দখলের প্রতিবাদে গোপনে জোতদারদের বিরুদ্ধে সংগঠিত হতে থাকে। তাদের সাথে যোগ দেন এক স্কুলশিক্ষক।

কিষাণকাব্যটির শেষ পর্যায়ে দেখা যায় প্রায় দুই হাজার ভূমিহীন কৃষক জোতদার বাহিনীর তিনশ’ লাঠিয়ালকে পরাস্ত করে বিলের দখল নেয়। এভাবে শিল্পীরা ফুটিয়ে তোলেন কৃষক ও জমি দখলকারীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব।

এ কাব্যনাট্যে পান্ডুলিপি ও নির্দেশনা দিয়েছেন সোহেল আনোয়ার। সহ-নির্দেশনায় ছিলেন সুমন বিশ্বাস।

অনুষ্ঠানের মূল পর্বের শুরুতে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রাম এর সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্দুল আজিজ।

বোধনের সহ-সভাপতি সুবর্ণা চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন নাট্যকার ও নির্দেশক সাংবাদিক প্রদীপ দেওয়ানজী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ‘র উপসচিব আবুল হাশেম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’র অধ্যাপক উদিতি দত্ত এবং বি.এড কলেজের অধ্যাপক শামসুূদ্দিন শিশির।

বড়দের প্রযোজনা শেষে অনুষ্ঠানের অনন্য আবহের মঞ্চায়ন শুরু হয় বোধনের শিশুবিভাগ প্রযোজনা ‘পান্তা বুড়ি’।পান্তা বুড়ি প্রযোজনাটি নির্দেশনায় ছিলেন সঞ্জয় পাল ও মিথিলা চৌধুরী। তবে লেখক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর ”পান্তা বুড়ির গল্প” অবলম্বনে ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটনের ছড়া রূপান্তরকে শ্রুতি নাট্যরূপ দিয়েছেন সঞ্জয় পাল।

Logo-orginal