admin
প্রকাশ: ২০১৯-০৯-১৫ ১২:৪৪:০৪ || আপডেট: ২০১৯-০৯-১৫ ১২:৪৪:০৪
চট্টগ্রামঃ সাতকানিয়ায় ডোবার পানিতে ভাসমান অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম শফিউল আলম (৩২) বলে জানা গেছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের জনার কেঁওচিয়া পাল পাড়া এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, কেঁওচিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের জনার কেঁওচিয়া ব্যবসায়ী পাড়ার মৃত নুরুল হকের পুত্র শফিউল আলম গত শুক্রবার দুপুরে সাতকানিয়া পৌরসভার ভোয়ালিয়া পাড়া মাঝের মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে ওইদিন আর ফিরে আসেননি।
ফলে পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ খবর নেয় কিন্তু কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এদিকে, শনিবার সন্ধ্যার দিকে জনার কেঁওচিয়া পাল পাড়া এলাকায় সড়কের উপর কিছু শিশু ফুটবল খেলা করছিল। এসময় তাদের বলটি ডোবায় পড়ে যায়। এরপর এক শিশু বল নেয়ার জন্য গেলে ডোবায় কচুরিপানার ফাঁকে একটি লাশ ভেসে থাকতে দেখে।
শিশুদের মুখে শোনার পর স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখার পর লাশটি শফিউল আলমের বলে শনাক্ত করেন।
পরে খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে সাতকানিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। এসময় সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্যা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নিহত শফিউল আলমের বড় ভাই কেরানীহাট প্রগতিশীল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাস্টার জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘আমার ভাই একজন শ্রমজীবী মানুষ। আমার জানা মতে কারো সাথে তার কোনো বিরোধ নাই। এরপরও কেন আমার ভাইকে হত্যা করা হলো বুঝে উঠতে পারছি না। প্রশাসনের কাছে আমার অনুরোধ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীদেরকে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’
সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্যা বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলেছি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। লাশের কোথাও আঘাতের তেমন কোনো চিহ্ন নাই। শুধু নাক ও কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। মনে হচ্ছে অভ্যন্তরীন আঘাতের কারণে নাক ও কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে হত্যার পেছনে কারা জড়িত থাকতে পারে সেটি উৎঘটনের জন্য পুলিশ ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। সুত্র আজাদী।