jamil Ahamed
প্রকাশ: ২০১৯-০৯-১৫ ১৯:৪০:০৮ || আপডেট: ২০১৯-০৯-১৫ ১৯:৪০:০৮
বৈশ্বিক জ্বালানি ব্যাহত করতে সৌদির তেল স্থাপনায় হামলায় ইরানের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে ইরান রোববার যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধের হুমকি দিয়ে বলেছে, এ অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটি ও তাদের বিমানবাহী রণতরী তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে। খবর রয়টার্সের।
শনিবার সৌদিতে তেল স্থাপনায় হামলার দায় স্বীকার করেছে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতিরা। এতে সৌদির তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে। সারা বিশ্বে তেল চাহিদার ৫ শতাংশের বেশি সৌদি আরব যোগান দিয়ে থাকে। বিশ্বের জ্বালানি সরবরাহে হামলা করেছে ইরান এমন অভিযোগ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
প্রতিবেনে বলা হয়, ড্রোন হামলায় সৌদির তেল শিল্পে মারাত্মক আঘাত হেনেছে। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যে এ হামলার কারণে সোমবার থেকে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি তিন ডলার থেকে ৫ ডলার বেড়ে যেতে পারে।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র আব্বাস মোসাভি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে মার্কিন দাবিকে বাতিল করে এটিকে অর্থহীন বলে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া ইরানের বিপ্লবী বাহিনীর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, ইসলামিক রিপাবলিক পুরোপুরি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
কমান্ডার আমিরালি হাজিজাদেহের বরাত দিয়ে আধা-সরকারি বার্তাসংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, সবার জানা উচিত আমেরিকান ঘাঁটি এবং তাদের বিমানবাহী রণতরী ২ হাজার কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে যা-কিনা আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায়।
সৌদির রাষ্ট্রীয় তেল উৎপাদন কোম্পানি আরামকো বলছে, হামলার কারণে প্রতিদিন ৫৭ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানো হয়েছে। যা দেশটির উৎপাদনের অর্ধেক। এমন সময়ে হামলা হয়েছে যখন আরামকো নিজেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শেয়ার বিক্রয়ক হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করার চেষ্টা করছে। সুত্রঃ যুগান্তর ।