, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

admin admin

হোটেল কক্ষে থাকা লোকেদের টার্গেট ৩ ভয়ংকর ছিনতাকারী

প্রকাশ: ২০১৯-০৯-২৪ ১৪:০৪:৫৩ || আপডেট: ২০১৯-০৯-২৪ ১৪:০৪:৫৩

Spread the love

চট্টগ্রামঃ ওরা ভাসমান ছিনতাইকারী। হোটেল কক্ষে থাকা লোকেরাই তাদের টার্গেট। গভীর রাত কিংবা একেবারে ভোরে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায় বল প্রয়োগ করে। দরজা নক করে ঢুকে পড়ে হোটেল কক্ষে। এরপর কক্ষে থাকাদের জিম্মি করে ছিনিয়ে নেয়া হয় সবকিছু। খবর আজাদীর।

এ ধরনের একটি ভাসমান ছিনতাইকারী চক্রের এক সদস্যের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে উঠে এসেছে এ তথ্য। এ চক্রের তিন সদস্য কর্তৃক রেয়াজুদ্দিন বাজারস্থ ইউনিক হোটেলের এক কক্ষে ছিনতাইয়ের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে গতকাল সোমবার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতে।

স্বীকারোক্তিমূলক এ জবানবন্দি দিয়েছেন চক্রের প্রধান মোহাম্মদ শাহেদ (২২)। তার বাড়ি লোহাগাড়ার চুনতি এলাকায়।

জবানবন্দিতে শাহেদ আরো জানান, তিনজনে মিলে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টার দিকে রেয়াজুদ্দিন বাজারের ভেতরে ইউনিক হোটেলের ৩য় তলায় একটি কক্ষের দরজা নক করে। এসময় কক্ষের ভেতরে থাকা দুই শিক্ষার্থী দরজা খুলে দিলে অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে তিন ছিনতাইকারী। এরপর ছিনিয়ে নেয়া হয় তিনটি মোবাইল ও নগদ ৭ হাজার টাকা।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার এসআই (তদন্ত কর্মকর্তা) মোহাম্মদ আইয়ুব উদ্দিন জানান, ছিনতাইয়ের শিকার ব্রাক্ষ্নণবাড়িয়া থেকে আসা শিক্ষার্থী শরীফুল ইসলাম কোতোয়ালি থানায় ওইদিনই মামলা দায়ের করেন। আমরা আসামিদের ধরতে অভিযানে নেমে মোহাম্মদ শাহেদকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে আসি। গতকাল শাহেদ জবানবন্দি দিয়েছে।

এদিকে জবানবন্দিতে শাহেদ বাকি দুইজনের নাম করে আদালতকে জানায়, তার সহযোগী হিসেবে আকতার ও শাহাদাত নামের দুইজন ছিল। এর মধ্যে আকতার ও শাহাদাতের বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলায়। এ বিষয়ে এসআই মোহাম্মদ আইয়ুব উদ্দিন জানান, মামলার বাদী শরীফ ও তার মামাতো ভাই ঘটনার দিনই ট্রেনযোগে এসে ঐ হোটেলে উঠেন। ছিনতাইকারীরা দুইজনের গতিবিধি লক্ষ্য করে তাদের টার্গেট করে। তিনি আরো জানান, জবানবন্দিতে নাম আসা দুইজনের খোঁজে অভিযান চালানো হচ্ছে। যেকোন মুল্যে তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

Logo-orginal