, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

৯ ব্যাক্তি জনগণের এতবড় ক্ষতি করতে পারে না” সাতকানিয়া – লোহাগাড়াবাসীর উচিত প্রতিবাদ করা”

প্রকাশ: ২০১৯-০৯-১৬ ১৭:২৩:২০ || আপডেট: ২০১৯-০৯-১৬ ১৭:২৩:২০

Spread the love

লোহাগাড়াঃ চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া সাতকানিয়া সীমান্তে অসাধু বালু ব্যবসায়ীর কারণে হুমকির মুখে হাঙ্গরখালের উপর নির্মিত এই ব্রিজ।

বেশ কিছুদিন ব্রিজের আশেপাশে বালু উত্তোলন বন্ধ বিভিন্ন প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করছে এলাকাবাসী।

লোহাগাড়ার পদুয়া ইউনিয়নের উত্তর পদুয়ার ছহির পাড়া, সাতকানিয়ার ছদাহার খোর্দ কেওচিয়ার জনগণের চলাচলের ব্রিজটি নির্মিতি হয়েছিল ৯ বছর পুর্বে।

১০০ বছর স্থায়িত্বের কথা বলেছিল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, কিন্তু আইন ও জনগণের প্রতি বৃদ্ধাআঙুলি দেখিয়ে বালু উত্তোলন করে ব্রিজটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে একটি চিন্হিত অসাধু মহল।

এলাকার সচেতন যুবকরা ব্রিজটি বাঁচাতে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষনে প্রতিদিন প্রচারণা অব্যহত রেখেছে।

জনস্বার্থে তেমনি একটি প্রচরণা হুবুহু আরটিএমে তুলে ধরা হল।

#মাননীয়_জেলাপ্রশাসক_মহোদয়_আপনার_সহযোগিতা_কামনা_করছে_সাতকানিয়া_লোহাগড়াবাসী🤲🤲

৮০লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মিত সেতু কি এভাবেই মাটির সাথে মিশে যাবে? ইন্জিনিয়াররা ১০০বছর স্থায়ীত্বের কথা বল্লেও মাত্র ০৯বছর পূর্ণ না হতেই সেতু হুমকির মুখে 😭 সকলের প্রতি অনুরোধ🙏🙏🙏 #বিষয়টি_ভজাইল_করুন।

৯জন ব্যাক্তি জনগণের এতবড় ক্ষতি করতে পারে না।
সাতকানিয়া এবং লোহাগড়া উপজেলার প্রতিটি নাগরিকের উচিত এই বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করা।

সম্মানিত জনপ্রতিনিধিগণ Moshad Chy,Md Sabuj এবং লোহাগাড়া পদুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান Johir Uddin আপনাদের প্রতি আমাদের বিনীত অনুরোধ অন্ততপক্ষে ছহির পাড়া সংলগ্ন হাঙ্গর খালের(হাঙ্গর সেতু)এবং সাতকানিয়া লোহাগড়ার জনবসতি রক্ষার্থে হলেও একটু প্রতিবাদ করুন।

লোহাগাড়ায় হাঙ্গর খাল থেকে বালু উত্তোলন : ঝুঁকিতে ৩ গ্রাম। আরফাত বিপ্লব, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম): ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯।

লোহাগাড়া উপজেলায় হাঙ্গর খালে বালু ব্যবসায়ীদের বেপরোয়া অত্যাচারে ভাঙছে খালের উপর নির্মিত ব্রিজ, কালভার্ট, খালপাড়, মানুষের ঘরবাড়ি।
বিলীন হচ্ছে ধানি জমি।
বালু ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে সরকারের অনুমোদন ছাড়া ড্রেজার মেশিন দিয়ে লেয়ারের নিচের বালু উত্তোলনের কারণে খালের আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অনতিবিলম্বে বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে হাঙ্গর খালের ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হতে পারে অন্তত তিনটি গ্রাম।
উপজেলার উত্তর পদুয়া গ্রামের আকাম উদ্দিন সওদাগর পাড়া, ঘোনা পাড়া ও মনির আহমদ পাড়ার অন্তত ১০ থেকে ১৫টি বাড়ি খালে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ ছাড়া পাশের সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের ছহির পাড়ার সাথে লোহাগাড়ার সংযোগ রক্ষাকারী ব্রিজটিও ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
ব্রিজের ৫০০ মিটারের মধ্যে খাল থেকে প্রতিদিন ট্রাকে ট্রাকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অথচ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (১৯৯৫ সনের ১ নম্বর আইন) অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারেজ, বাঁধ, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা থাকলে অথবা আবাসিক এলাকা থেকে সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এখানকার প্রভাবশালী কয়েকজন লোক সেই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করে তা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে। প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু বিক্রি চলে এখানে। প্রতি গাড়ি থেকে তারা নেয় ৭০০ টাকা করে। আর এতে প্রতিদিন আয় করছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা করে।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন নয়া দিগন্তকে বলেন, সর্বনাশা বালু উত্তোলন বন্ধ করতে আমি প্রশাসনকে লিখিতভাবেও জানিয়েছি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তবে বালু ব্যবসায়ীদের নাম উল্লেখ করে আসলেই তারা জড়িত কি না জানতে চাইলে তিনি কারো নাম বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, বেপরোয়া বালু উত্তোলনের কারণে জঙ্গল পদুয়া ও পেঠান শাহের পুরনো বাড়িও ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল ক্ষতিগ্রস্তরা। একই সাথে বালুখেকোদের বিরুদ্ধে ঝাড়– মিছিলও হয়েছে। কিন্তু তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিজনূর রহমান কোনো ব্যবস্থা নেননি।

জানা গেছে, বর্তমানে বালু ব্যবসায়ীরা আরো প্রভাবশালী হয়ে ওঠায় স্থানীয়রা মুখ খুলতে পারছে না। অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে ঘোনাপাড়া মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরাসা খালে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুসল্লিরা।

জানা গেছে, এ অঞ্চলের পাঁচটি পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন করা হয়। আর এসবের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শোয়েবুল হক, ফিরোজ কামাল, শাহজাহান, ফাকা সেলিম, আলী, দেলোয়ার হোসেন, জাহেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ জাকারিয়া ও মোহাম্মদ হোবাইরদের একটি সিন্ডিকেট।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বালু ব্যবসায়ী ফিরোজ কামাল নয়া দিগন্তের কাছে বালু সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি সরকারি নিয়ম মেনে আবাসিক এলাকা থেকে অনেক দূরে গিয়ে একটি পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন করি।

ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকা স্থানীয়রা জানান, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন থেকে ইতোমধ্যে লোকদেখানো ব্যবস্থা গ্রহণের কথা শোনা যায়। কিন্তু জোরালো কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে বালু ব্যবসায়ীরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ক্রমান্বয়ে ভূমিহীন হয়ে পড়বে তিন গ্রামের মানুষ।

Logo-orginal