, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

কাতারে স্থায়ী আবাসনের অনুমতি পেল বাংলাদেশী জালাল আহমেদ

প্রকাশ: ২০১৯-১০-০৯ ১৯:৪৫:২২ || আপডেট: ২০১৯-১০-০৯ ১৯:৪৫:২২

Spread the love

চাঁদপুরের কৃতী সন্তান জালাল আহমেদকে (স্থায়ী রেসিডেন্সি পারমিট) স্থায়ী আবাসনের অনুমতি দিয়েছে কাতার সরকার।

স্থায়ী আবাসনের সুবিধাগুলো হল, এ জাতীয় অনুমতিধারীরা তার অনুমতি স্থগিত বা বাতিল না করে ছয় মাসের বেশি সময় কাতারের বাইরে থাকতে পারেন। অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারকে বিনামূল্যে সরকারি ও সরকারি অনুদানযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা-শিক্ষা প্রদান করা হবে। স্বামী বা স্ত্রী এবং ১৮ বছরের কম বয়সী বা ২৫ বছরের কম বয়সী সন্তানরা যদি অধ্যয়নরত হয়, তবে তারা স্থায়ী আবাসন হতে পারে। সবচেয়ে আগ্রহের বিষয়, স্থায়ী আবাসনের মালিকরা স্থানীয় কাতারি যৌথ উদ্যোগের অংশীদার ছাড়াই বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতে ব্যবসা নিবন্ধন করতে সক্ষম হবেন। তদুপরি, কাতারি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে এই জাতীয় ব্যক্তিরা রিয়েল এস্টেট এবং অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে সক্ষম হবে যা কেবল কাতারি নাগরিকদের জন্য সংরক্ষিত।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা পৌর এলাকার মিয়াজি বাড়ির সিআইপি জালাল আহমেদ কাতারে গোল্ডেন মার্বেল ইন্ডাস্ট্রির প্রধান নির্বাহী এবং কাতার সাংবাদিক ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা।

গত ২৩ বছর ধরে কাতারে ব্যবসায়ী হিসেবে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছেন জালাল আহমেদ। সেখানে তিনি চারটি মার্বেল পাথরের কারখানা স্থাপন করেছেন। যেখানে প্রায় সহস্রাধিক বাংলাদেশি কর্মরত। এছাড়া বাংলাদেশে মোংলায় তার একটি মার্বেল ফ্যাক্টরি রয়েছে। তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার হাজী আব্দুর রশিদ মিয়াজির বড় ছেলে। তিনি ব্যবসায়ী হিসেবে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সিআইপি হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছেন।

জালাল আহমেদ সর্বদা সাদামাটা জীবনযাপন করেন। এলাকায় নিজস্ব অর্থে এতিম খানা ও মাদরাসা তৈরি করেছেন। সমাজের অসহায় ও দরিদ্র লোকজনের পাশে দাঁড়াচ্ছেন নিয়মিত। এছাড়া দরিদ্র মানুষকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করছেন।

তারা সাত ভাই দুই বোন। এর মধ্যে এক বোন মাজেদা বেগম বর্তমানে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। তিন মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে জালাল আহমেদ সস্ত্রীক কাতারেই বসবাস করছেন। উৎসঃ জাগো নিউজ ।

Logo-orginal