, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

ম্যাচ না পাতিয়েও ফেঁসে গেছেন সাকিব” হাত রয়েছে ভারতের……

প্রকাশ: ২০১৯-১০-৩১ ০৯:৩২:২১ || আপডেট: ২০১৯-১০-৩১ ০৯:৩২:২১

Spread the love

ক্রীড়া ডেস্কঃ ম্যাচ না পাতিয়েও ফেঁসে গেছেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের অপরাধ, জুয়াড়িদের কাছ থেকে অনৈতিক প্রস্তাব পাওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাননি তিনি, জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের বড়সাব জনাব মিঃ পাপনকে ।

তবে দুর্নীতি না করা সাকিব কেন আইসিসিকে বিষয়টি সাথে সাথে জানাননি, তা নিয়ে চলছে তোলপাড় ।
দেশের বিভিন্ন সংবাদে প্রকাশ, বোর্ড ক্ররতা পাপনের পরামর্শে আইসিসিকে জানায়নি সাকিব আল হাসান ।

আইসিসি কতৃক সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ার পর এক বছর কমিয়ে দেওয়া হয়েছে শ্ররত সাপেক্ষে, সে শ্ররতে রাজি হয়েছেন সাকিব ।

তবে প্রশ্নবিদ্ধ তিন ম্যাচের একটি যেহেতু আইপিএলের তাই স্বাভাবিকভাবেই সাকিবের বিরুদ্ধে তদন্তে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) আদৌ কোনো ভূমিকা আছে কিনা, সে প্রশ্ন উঠছে। তবে বিসিসিআই জানিয়েছেন, সাকিবের বিরুদ্ধে গোটা তদন্তটাই আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (এসিইউ) স্বাধীনভাবে করেছে।

এসিইউ সাকিবের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ নিজেদের মতো করে তদন্ত করেছে বলেছে জানিয়েছেন অজিত সিং, ‘আইপিএলের যে মৌসুমের ম্যাচ নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে, সে মৌসুমের সকল দুর্নীতিবিরোধী বিষয়গুলো আইসিসি-ই দেখভাল করেছে। কোনো অভিযোগ উঠলে তা নিয়ে আইসিসি-ই কাজ করেছে, তদন্ত করেছে। এর সঙ্গে বিসিসিআইয়ের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড যাই ব্যাখ্যা দিক, বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমিদের বিশ্বাস সাকিবের ক্যারিয়ার ধ্বংসে হাত আছে ভারতের ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষ্যটি নিয়ে সরব বাংলাদেশীরা ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সাকিবকে নিয়ে বাক যুদ্ধে লিপ্ত এপার আর ওপার বাংলার মানুষরা ।

অন্যদিকে বিসিসিআই ব্লছে, মৌসুমগুলোর মতো ২০১৮ মৌসুমেও দুর্নীতিবিষয়ক বিভিন্ন অভিযোগের ক্ষেত্রে আইসিসিকে সব রকম তথ্যপ্রমাণ দিয়ে সহায়তা করেছে বিসিসিআই, ‘হ্যাঁ, আমরা আমাদের তরফ থেকে তথ্যপ্রমাণ দিয়ে যথাসাধ্য সাহায্য করেছি আইসিসিকে, কিন্তু এ বিষয়ে পুরো তদন্তটাই আইসিসি করেছে। বিসিসিআই না।’

আইসিসির অভিযোগ, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজ ও ২০১৮ সালে আইপিএলের সময় জুয়াড়িদের কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাবের কথা এসিইউয়ের কাছে জানাননি সাকিব। এরপর ২০১৮ সালের ত্রিদেশীয় সিরিজেই তাঁর সঙ্গে জুয়াড়িরা দ্বিতীয়বার যোগাযোগ করলেও সেটি দ্বিতীয়বার এসিইউর কাছে বিস্তারিত জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব। সর্বশেষ, ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের একটি ম্যাচের আগে সাকিবকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেটিও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।

একে/৩১১০১৯

Logo-orginal