admin
প্রকাশ: ২০১৯-১০-২৬ ০৬:২২:২৭ || আপডেট: ২০১৯-১০-২৬ ০৬:২৩:১৫
গত বুধবার লন্ডনের এসেক্সে ৩৯টি মৃতদেহসহ একটি ট্রাক উ’দ্ধার করে দেশটির স্থানীয় পুলিশ। উল্লাস মুখর শহরটি কার্যত স্ত’ব্ধ হয়ে যায় আ’তঙ্কে। বন্ধ কন্টেনারে কাদের লা’শ? তার এল কোথা থেকে? কেনই এই ধরনের না’রকীয় পরিস্থিতিতে প্রাণ দিতে হল হ’তভাগ্যদের? উঠছে এমন প্রশ্নই।
গতকাল বৃহস্পতিবার লন্ডনের বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে উ’দ্ধার হওয়া ৩৯ মরদেহ চীনা নাগরিকদের। এদিকে আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, কেউ কেউ দাবি করছেন নিহ’তরা সবাই চীনের উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের লোক।
লন্ডন পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হয়েছি যে, মৃ’তদের আটজন নারী এবং ৩১ জন পুরুষ। তারা সবাই চীনের নাগরিক বলে মনে করা হচ্ছে। চীনের সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ খবর নিশ্চিত করেছে। চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এখন আর কিছু জানা যায়নি।
পুলিশের বিবৃতি থেকে এ ধারণা প্রবল হয়েছে যে, মৃ’তরা উইঘুর মুসলিম, যারা চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাস করে এবং রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অবর্ণনীয় নি’পীড়নের শি’কার হয়। প্রচুর সংখ্যক উইঘুর শরণার্থী বসবাস করে তুরস্কে, যেখান থেকে ইউরোপে প্রবেশের অনেক পথ রয়েছে। এ ব্যাপারে আলজাজিরার অনুরোধেও কোনো মন্তব্য করেনি লন্ডনের চীনা দূতাবাস।
লন্ডনের পূর্বাঞ্চলের গ্রেইস শহরে পরিত্যক্ত একটি লরি থেকে বুধবার স্থানীয় সময় দুপুরে ৩৯ জনের লা’শ উ’দ্ধার করা হয়। বুধবার নৌকায় বেলজিয়াম থেকে লন্ডনের গ্রেতে পৌঁছেছিলেন ওই চীনারা। এসেক্সের পুলিশ বলছে, তাদের তদন্তের প্রাথমিকভাবে জোর দেয়া হয়েছিল লরি থেকে উ’দ্ধারকৃতদের পরিচয় শনা’ক্ত করা। লরি থেকে লা’শ শনা’ক্তের জন্য টিলবুরির কাছে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়।
এর আগে ২০০০ সালে লন্ডনের দক্ষিণাঞ্চলের দোভার বন্দর থেকে চীনের ৫৮ অভিবাসন প্রত্যাশীর লা’শ উ’দ্ধার করা হয়। সে সময় চীনা এই নাগরিকরা নেদারল্যান্ডের একটি ট্রাক ভাড়া করে যাত্রা শুরু করেছিলেন। পরে ওই ট্রাক থেকে দু’জনকে জী’বিত এবং বাকিদের মৃ’ত অবস্থায় উ’দ্ধার করা হয়।