admin
প্রকাশ: ২০১৯-১০-২০ ১২:১৩:৫৪ || আপডেট: ২০১৯-১০-২০ ১২:১৩:৫৪
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার উদয়সাগর এলাকার দাদন ব্যবসায়ী শাহারুলের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নেন।
৮ মাস আগে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
কিছুদিন আগে সেই টাকা পরিশোধও করেন।
কিন্তু পরবর্তীতে জানতে পারেন তাকে ওই টাকার সুদ দিতে হবে।
গত বুধবার সুদের টাকার জন্য তাদের বাড়িতে ব্যবসায়ী শাহারুল তার সহযোগী শরিফুল ও মিলনসহ আসেন। তারা সুদের টাকা প্রদানের জন্য আবুল কালামকে চাপ দেন। কিন্তু তিনি সুদের টাকা দিতে অপারগতা জানান।
এতে দাদন ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যান।
এরপরই শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবুল কালাম আজাদের ঝুলন্ত লাশ খুঁজে পাওয়া যায়। উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের গোবিন্দরায় দেবত্তর গ্রামের একটি আম গাছ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ একই ইউনিয়নের মহিপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত. ইসমাইল হোসেনের ছেলে ও পার্শ্ববর্তী পলাশবাড়ী উপজেলার দুর্গাপুর গাবেরদিঘি এলাকার জামে মসজিদের পেশ ইমাম ছিলেন।
নিহত ইমামের বড় মেয়ে ফতেমা বেগম ও তার স্ত্রী লাবনী বেগম জানান, দুর্গাপুর গাবেরদীঘি এলাকায় জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়াতে যাবার জন্য ইমাম আবুল কালাম শুক্রবার বেলা ১১টায় বাড়ি থেকে রওনা হন। কিন্তু সেখান থেকে বিকাল পযর্ন্ত বাড়িতে ফিরে না আসায় তারা খোঁজ নিয়ে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পান। এরপর খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন জামে মসজিদে যাবার পথে ওই দাদন ব্যবসায়ীরা তাকে তুলে নিয়ে গেছে। বিষয়টি ওই রাতেই পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম মণ্ডলকে জানানো হয়।
বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম মণ্ডল জানান, বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিকভাবে পলাশবাড়ী থানার ওসিকে মোবইল ফোনে জানান।
পলাশবাড়ী থানার ওসি মাসুদুর রহমান জানান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম মণ্ডলের নিকট মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানতে পেরে রাতেই সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিয়ে দাদন ব্যবসায়ী শাহারুলের কোন সন্ধান পাননি।
#সূত্র দৈনিক ইত্তেফাক।