, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

আবরারের মুখে কাপড় ঢুকিয়ে নির্মম নির্যাতন করার কথা স্বীকার করল আরেক আসামী সাদত

প্রকাশ: ২০১৯-১০-১৭ ১৬:১২:৫৭ || আপডেট: ২০১৯-১০-১৭ ১৬:১২:৫৭

Spread the love

বড় ভাইয়ের নির্দেশে মুখে কাপড় গুঁড়ে বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নি’র্যাতন করা হয়েছে। বুয়েট ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান রবিন, অনিক সরকার, মনিরুজ্জামান মনির, মোজাহিদুল রহমান ও ইফতি মোশাররফ সকালের নির্দেশেই ফাহাদকে তার রুম থেকে ডেকে আনা হয়।

বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আ’দালতে ফাহাদ হ’ত্যা মা’মলার এজাহারভুক্ত আ’সামি এএসএম নাজমু’স সাদাত রি’মান্ড শুনানিকালে এসব তথ্য দেন।শুনানি শেষে সাদাতের পাঁচ দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর করেন আ’দালত।এর আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পু’লিশের (ডিবি) জিজ্ঞাসাবাদেও একই ধরনের তথ্য দিয়েছেন সাদাত।আ’সামিকে আ’দালতে হাজির করে ১০ দিনের রি’মান্ড আবেদন করা হয়। মা’মলার ত’দন্তকারী কর্মক’র্তা ডিবি পু’লিশের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান এ আবেদন করেন।আবেদনে বলা হয়, গত ৬ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরারকে শেরে বাংলা হলের তার রুম (নম্বর ১০১১) থেকে হ’ত্যার উদ্দেশ্যে ডেকে নিয়ে যায়।

৭ অক্টোবর রাত আড়াইটা পর্যন্ত ওই হলের ২০১১ ও ২০০৫ নম্বর রুমে আ’সামিরা পূর্বপরিক’ল্পিতভাবে ক্রিকেট স্টাম্প ও লা’ঠিসোটা এবং রশি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নি’র্মম নি’র্যাতন চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই আবরার মা’রা যায়।পরে আ’সামিরা ওই ভবনের দ্বিতীয় তলার সিঁড়িতে ফাহাদের মৃ’তদেহ ফেলে রাখে। কিছু ছাত্র তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃ’ত ঘোষণা করেন।ত’দন্তকালে সাক্ষ্য-প্রমাণে, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য-প্রমাণে আ’সামি নাজমু’স সাদাতের প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

ইতিপূর্বে আ’দালতে দোষ স্বীকারোক্তি দেয়া আ’সামিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আ’সামি নাজমু’স সাদাতের নাম প্রকাশ করেছে। মা’মলা’টি একটি চাঞ্চল্যকর হ’ত্যা মা’মলা। এজন্য আ’সামিদের ব্যাপক ও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত জরুরি।মা’মলার মূল র’হস্য উদ্ঘাটন, এজাহারভুক্ত পলাতক আ’সামিদের গ্রে’ফতার ও অ’জ্ঞাতনামা আ’সামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে তাদের গ্রে’ফতারের লক্ষ্যে আ’সামিকে রি’মান্ডে নেয়া প্রয়োজন।

বিকাল ৩টার দিকে নাজমু’স সাদাতকে আ’দালতে উপস্থাপন করা হয়। তাকে হাতকড়া পরিয়ে এজলাসের ডকে রাখা হয়। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীসহ কয়েক সাংবাদিক আ’সামির সঙ্গে কথা বলেন।
নাজমু’স সাদাত বলেন, আমি ফাদকেকে ডেকে আনি। কয়েকজন বড়ভাই আমাদের ডেকে আনতে বলেন।ফাহাদকে যখন তার রুম থেকে ডেকে ২০১১ নম্বর কক্ষে নেয়া হয় তখন আমা’র সঙ্গে ছাত্রলীগের আরও কয়েকজন ছিল। আমাদের নি’র্যাতনের কারণেই তার মৃ’ত্যু হয়। মা’রধরের এক পর্যায়ে ফাহাদ পানি খেতে চায়।বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে এজলাসে বিচারক এলে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েদ উদ্দিন খান হিরণ আ’সামির রি’মান্ড চেয়ে শুনানি করেন।

শুনানিতে তিনি বলেন, এ মা’মলায় ছয় আ’সামি আ’দালতে দোষ স্বীকার করে জবানব’ন্দি দিয়েছে। ওই ছয় জনই এ আ’সামির নাম বলেছে। আ’সামিরা আবরারকে মুখে কাপড় দিয়ে মে’রেছে।পানি পর্যন্ত খেতে দেয়নি। সঠিক সময়ে ডাক্তারও দেখায়নি। এমনকি পু’লিশও ঢুকতে দেয়নি আ’সামিরা। মা’মলার সুষ্ঠু ত’দন্তের স্বার্থে আসমির সর্বোচ্চ রি’মান্ড মঞ্জুর করা হোক।আ’দালতে আ’সামিপক্ষের কোনো আইনজীবী না থাকায় বিচারক সাদাতের কাছে তার কিছু বলার আছে কিনা তা জানতে চান। জবাবে সাদাত আ’দালতকে বলেন, আমি আবরারকে মা’রিনি। আমি বড়ভাইদের কথায় ফাহাদকে তার রুম থেকে ডেকে নিয়ে আসি।

এ পর্যায়ে বিচারক আ’সামির কাছে জানতে চান, ‘বড়ভাই’ কারা? জবাবে সাদাত বলেন, অনিক, সকাল, মুজাহিদ, রবিন ও মনির। ওরাই ফাহাদকে মে’রেছে। আমি রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেখান থেকে চলে আসি। এরপর কী’ হয়েছে তা আমি জানি না।

Logo-orginal