, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় উত্তাল ঢাবি ও বুয়েট ক্যাম্পাস

প্রকাশ: ২০১৯-১০-০৭ ১৭:০৮:৪৬ || আপডেট: ২০১৯-১০-০৭ ১৭:০৮:৪৬

Spread the love

ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও বুয়েট ক্যাম্পাস।

আবরার হত্যায় দায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তার সহপাঠী ও শিক্ষকরা।

তাদের অনেকেই ফেসবুকে আবরারের ছবি দিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আরবারকে পিটিয়ে হত্যার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন তারা।

আবরারের সহপাঠীদের দাবি— ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক চুক্তি নিয়ে দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসই কাল হয়েছে আবরারের। এ কারণেই ছাত্রলীগ তাকে হত্যা করেছে। তাদের দাবি এ হত্যার বিচার করতে হবে।’

এদিকে এ ঘটনায় সকাল থেকেই সিসিটিভির ফুটেজ উদ্ধারের দাবিতে প্রভোস্টের অফিস ঘেরাও করেন শিক্ষার্থীরা।

সিসিটিভির ফুটেজ চেক করতে গিয়ে দেখা যায় রাত ২টা ৬ মিনিটের পর থেকে সিসিটিভির ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ফুটেজ উদ্ধারে সাত ঘণ্টার মতো সময় লাগবে এরপর জানা যাবে ঘটনার মূল কারণ।

আবরার হত্যায় জড়িতদের বাঁচাতে সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করে দেয়া হয়েছে দাবি তুলে উত্তাল হয়ে উঠেছে বুয়েট।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়।

‘বিজেপির দালালরা ; হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই; আবরার হত্যার ফাঁসি চাই’, ‘ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হুঁশিয়ার সাবধান,’ ‘হলে হলে দখলদারিত্ব; বন্ধ কর, করতে হবে’, ‘সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব কেন? প্রশাসন জবাব চাই’ বিক্ষোভে প্রতিবাদী প্লাকার্ড নিয়ে হাজারো শিক্ষার্থী।

বিক্ষোভে কয়েকজন শিক্ষকও উপস্থিত ছিলেন।

বিক্ষোভকারীদের অনেকেই বলছেন, ‘আবরার হত্যার পেছনে ছাত্রলীগের অতিমাত্রায় ভারতপ্রেম প্রেরণা জুগিয়েছে। দেশপ্রেমিক আবরারের ভারতবিদ্বেষী স্ট্যাটাস দেয়ার কারণে তাকে খুন করা হয়েছে।’

তারা প্রশ্ন ছুড়েন, যতদূর জানি আবরারের কোনো শত্রু ছিল না। কোনোরকম রাজনৈতিক কোন্দলে তিনি জড়িত ছিলেন না। তাহলে কেন তাকে এভাবে নৃশংসভাবে খুন হতে হলো?

এ বিষয়ে মামাতো ভাই জহিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ফাহাদের সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা ছিল না। সে কুষ্টিয়ায় গিয়েছিল। গতকালকেই বিকালে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় এসে হলে ওঠে। তার পর মধ্যরাতে খবর পাই ভাই মারা গেছে।

জানা গেছে, কেন আবরারকে এভাবে মারা হলো তার কারণ বুঝে উঠতে পারছেন না তার অভিভাবকরা।

প্রসঙ্গ রোববার দিনগত রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলা থেকে আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ময়নাতদন্তের পর পুলিশ বলছে, ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। শরীরের পেছনে, বাম হাতে ও কোমর থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত আঘাতের কালো দাগ ছিল।

আবরার ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের লেভেল-২ এর টার্ম ১-এর ছাত্র ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে।

গত ৫ অক্টোবর একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে কবি কামিনী রায়ের পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি’ কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে লেখেন, যেখানে গ্যাসের অভাবে নিজেদের কারখানা বন্ধ করা লাগে সেখানে নিজের সম্পদ দিয়ে বন্ধুর (ভারত) বাতি জ্বালাব। সুত্রঃ দৈনিক যুগান্তর ।

Logo-orginal