, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

আব্দুল হামিদের যুগান্তকারী অবিষ্কার, সূর্যের আলো ও পানি থেকে তৈরি গ্যাসে জ্বলছে চুলা”

প্রকাশ: ২০১৯-১০-২২ ২০:২২:৩৮ || আপডেট: ২০১৯-১০-২২ ২০:২২:৩৮

Spread the love

পড়াশুনার গন্ডি দশম শ্রেণী পর্যন্ত হলেও উদধাবনী প্রতিভা আর অদম্য ইচ্ছা তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি, আর তাই দীর্ঘ দশ বছরের চেষ্টায় সূর্যের আলো আর পানি থেকে তৈরি করেছেন গ্যাস, আর সেই গ্যাসে ঘন্টার পর ঘন্টা চলছ রান্নার চুলা। এখানেই শেষ নয়, বাড়তি গ্যাস মজুদ করে রাখছেন পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য। 

খুলনার কয়রা উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ, অর্থিক স্বচ্ছলতার কারনে পড়াশুন বেশিদিন চালিয়ে যেতে পারেননি, দশম শ্রেণী পাস করে ঢাকায় এসে একটি সোলার বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠানে কাজ নেন তিনি। আর এরপর সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় নিজের উদ্ভাবনী প্রতিভায় তৈরি করেছেন সূর্যের আলো ও পানি থেকে জ্বালানি গ্যস, তার মতে বাড়ির ছাদেই তৈরি হওয়া এই গ্যাস বিকল্প জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার হতে পারে। যা দেশের গ্যাসের চাহিদা কমাবে। 

আব্দুল হামিদ বলেন, বইতে পড়েছিলাম হাইড্রোজেন নিজে জ্বলে, অক্সিজেন অপরকে জ্বলতে সাহায্য করে। পানির ভিতরে হাইড্রোজেন থাকে আর অক্সিজেন থাকে। তখন থেকে একটা ধারনা হয়েছিল যে হাইড্রোজেন যেহেতু নিজে জ্বলে তাহলে এটা দিয়ে রান্না করা যায় কী করে! পানিতে তো আগুন দিলে জ্বলার কথা তাহলে আগুন জ্বলে না কেন- এর কারণটা খুঁজে বের করলাম আগে। যেহেতু সূর্যই মূল শক্তির উৎস… সব শক্তি তো আমরা সূর্য থেকে পাই সে কিরণটা যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি এটাকে সঞ্চয় করে অন্য শক্তিতে তাহলে ভালো একটা ব্যাপার হবে।

সেই চিন্তা থেকেই আব্দুল হামিদ সোলার প্যানেল, পানি ও প্লাস্টিকের বোতল, বালতি ও লোহার ব্যারেল জোড়া দিয়ে উদ্ভাবন করেছেন প্রাকৃতিক গ্যাস। ১০ বছরের এ গবেষণায় তার মোট খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকার মতো। এখনো দিনের বড় একটা সময় তিনি এটি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। এ প্রযুক্তি নিয়ে আরও বড় পরিসরে গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করেন আব্দুল হামিদ। তিনি বলেন, একটা ল্যাব দরকার যেখানে এটি নিয়ে আরও কাজ করা হবে। আর আর্থিক সহায়তাও প্রয়োজন যাতে গবেষণা এগিয়ে নেয়া যায়। 

Logo-orginal