, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

আলোচিত ডাঃ শাহ আলম খুনের মূল হোতা কালু ডাকাত ক্রস ফায়ারে নিহত

প্রকাশ: ২০১৯-১০-২৩ ০৯:৫০:১১ || আপডেট: ২০১৯-১০-২৩ ০৯:৫০:১১

Spread the love

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় র‍্যাব ৭ এর টহল দলের সাথে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ে চাঞ্চল্যকর ডা, শাহ আলম হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ডাকাত দলের প্রধান নজির আহমেদ সুমন প্রকাশ কালু (২৬) নিহত হয়েছেন।

আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) ভোরে সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে এ বন্দুকযুদ্ধে ঘটনা ঘটেছে।

র‍্যাব ৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. মাহমুদুল হাসান মামুন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল সহ দুটি অস্ত্র ও ২৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার উদ্ধার করে র‍্যাব ৭।

উল্লেখ্য যে, গতকাল ২২ অক্টবর র‍্যাব ৭ ডা. শাহআলম হত্যার সাথে জড়িত লেগুনা চালক ওমর ফারুক (১৯)কে আটক করে। পরে সে আদালত ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রধান করে এবং হত্যার সাথে জড়িতদের সকলে নাম পরিচয় প্রকাশ করে।

র‍্যাব ৭ এর একজন কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারকৃত ওমর ফারুকে দেয়া তথ্যের ভিক্তিতে এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ডাকাত দলের মূল হোতা নজির আহমেদ সুমন প্রকাশ কালু আটকের জন্য সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালাতে গেলে র‍্যাবের উপস্থিতি দেখে কালু ডাকাত তার সহযোগীরাদের নিয়ের‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব পাল্টা গুলি চালালে ডাকাত দল পিছু হঠে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে কালু ডাকাতের গুলিবিদ্ধ লাশ এবং অস্ত্র পাওয়া যায়।

র‌্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী তারেক আজিজ।তিনি বলেন, গত ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে কর্মস্থল সীতাকুণ্ড থেকে নগরীর  চান্দগাঁও এলাকার বাসায় ফিরতে একটি লেগুনায় (জীপ) উঠেন সৌদি আরবের মদিনা ফেরৎ চিকিৎসক ডা. শাহ আলম।

ছিনতাইকারী চক্র লেগুনাটি রয়েল গেট এলাকায় পৌঁছালে ডাক্তার মোঃ শাহ আলমের কাছ থেকে টাকা পয়সা এবং মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় শাহ আলম বাধা দিলে ছিনতাইকারীদের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা মোঃ শাহ আলমকে ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে হত্যা করে। হত্যা করার পর তার লাশ রাস্তায় ফেলে দেয়। এর পর তারা লেগুনা নিয়ে সাগর পাড়ে চলে যায়। ওই লেগুনায় আগে থেকেই দুজন ছিনতাইকারী ছিলেন।

কাজী তারেক আজিজ বলেন, খুনের পর মরদেহের পরিচয় যাতে শনাক্ত করা না যায় সেজন্য ডা. শাহ আলমের মুখ বিকৃত করে দেন ছিনতাইকারীরা। পরে কুুুমিরাস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মরদেহটি ফেলে পালিয়ে যান তারা। তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই র‌্যাব ছায়াতদন্ত শুরু করে। গ্রেফতারকৃত ফারুককে ২২ (শে অক্টোবর) চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় এবং সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

উল্লেখ্য যে, ডা.শাহ আলম দীর্ঘ ৩০ বছর সৌদি আরবের একটি স্বনামধন্য হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে নিজের গ্রামের গরীব-অসহায় মানুষের চিকিৎসা দেবার মনোবাসনা নিয়ে চলতি বছর ১৭ জানুয়ারি সীতাকুণ্ডে নিজ গ্রামে শিশুদের জন্য ‘চাইল্ড কেয়ার’ নামে মানসম্পন্ন একটি ক্লিনিক চালু করেন। কিন্তু তার মনোবাসনা বেশিদিন স্থায়ী হতে দেয়নি ঘাতকরা। নিহত ডা. শাহ আলম সীতাকুণ্ড কুমিরা ইউনিয়নের ছোট কুমিরার মরহুম মাস্টার আজিজুল হকের ছেলে।

Logo-orginal