, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

চরম নিরাপত্তাহীনতায় আবরারের মা-বাবা ও স্বজনরা

প্রকাশ: ২০১৯-১০-১২ ১৮:০৬:৫৫ || আপডেট: ২০১৯-১০-১২ ১৮:০৬:৫৫

Spread the love

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নিহতের বাবা-মা, একমাত্র ভাইসহ স্বজনরা। বড় ছেলেকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে যাওয়া আবরারের মা রোকেয়া বেগম শুক্রবার রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আবরার নিহত হওয়ার পর থেকেই আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি। এক ছেলেকে হারিয়েছি, আরেক ছেলেকে হারাতে চাই না। আমি আমার ছোট ছেলের নিরাপত্তা চাই।’

ছাত্রলীগের নৃশংসতার শিকার হয়ে গত ৬ অক্টোবর দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ (২১) নিহত হন।

এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় এ পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এদিকে আবরার নিহত হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন তার ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ। ভয়ে এবং আতঙ্কে তিনি গণমাধ্যমের সাথে আর কোন কথা বলতে চাচ্ছেন না।

আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ বলেন, ছোট ছেলে ঢাকা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। এখন সে ঢাকায় পড়তে যেতে ভয় পাচ্ছে। সে ঢাকায় আর পড়তে যেতে চাচ্ছে না।

এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বুয়েট ক্যাম্পাসে স্থায়ীভাবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ও হত্যার সাথে জড়িত ১৯ আসামিকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বুয়েট ক্যাম্পাসে ভিসির সাথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে শুক্রবার রাতে আবরার ফাহাদের বাবা বরকতুল্লাহ বলেন, ‘আমার ছেলে হত্যায় জড়িতদের যেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।’

তিনি দাবি জানান, আবরার হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে নিয়ে দ্রুত শেষ করতে হবে এবং খুনিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

নিজের পুরো পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় মধ্যে রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ক্ষতিপূরণ দেয়ারও দাবি জানান। সূত্র : ইউএনবি।

Logo-orginal