, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

জিওনের স্বীকারোক্তি, শিবির কর্মীদের নাম না বলায় স্টাম্প দিয়ে পিটাই তাকে

প্রকাশ: ২০১৯-১০-১৪ ১২:৫৮:৪৭ || আপডেট: ২০১৯-১০-১৪ ১২:৫৮:৪৭

Spread the love

বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মেফতাহুল ইসলাম জিওন নামের আরেক আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

স্বীকারোক্তিতে জিওন বলেন, অন্যান্যদের সাথে আমিও কিছু কিল-ঘুষি মারি। পরে স্টাম্প দিয়ে হাঁটুতে পেটাই।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। আগের দিন বৃহস্পতিবার জবানবন্দি দেন বুয়েট ছাত্রলীগের উপসমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল।

গতকাল জবানবন্দিতে জিওন আদালতকে জানিয়েছেন, বুয়েট শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদি হাসান রবিনের নির্দেশে আবরারকে ৬ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে কয়েকজন ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে আনেন।

কক্ষটি ছিল ইফতির, মোস্তফা রাফিদ ও তানভীরের। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল শিবির শনাক্ত করা। প্রথম দিকে আবরার নামগুলো বলছিলেন না। এরপর আবরারের রুম থেকে দুটি মোবাইল ফোনসেট ও তাঁর ব্যবহার করা ল্যাপটপ নিয়ে আসা হয়। ওই সময় তিনি এবং মেহেদি হাসান রবিন ওই রুমে যান। শিবির কারা করে তা জানতে তাঁরা আবরারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। এর পরও আবরার মুখ খোলেননি। একপর্যায়ে সামসুল আরেফিন ক্রিকেট স্টাম্প নিয়ে আসেন। তিনি ও মেহেদি হাসান তাঁকে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। পরে ইফতি স্টাম্প দিয়ে মারধর শুরু করেন। তিনি অনেকগুলো বাড়ি মারেন। এ সময় অনিক সরকার স্টাম্প দিয়ে তাঁকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। পায়ের পাতা, হাঁটু, হাতেও পেটান।

এরপর ধাপে ধাপে অন্যরা ভেতরে এসে তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে আবরার নিস্তেজ হয়ে পড়ে। কয়েকবার বমি করে। এরপর কোলে করে সিঁড়িঘরের পাশে নিয়ে যাই। তারপর পুলিশ ও চিকিৎসকদের খবর দেওয়া হয়। এরপর চিকিৎসক এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি নিজেও আবরারকে কিল-ঘুষি মেরেছেন এবং ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে হাঁটুতে পিটিয়েছেন। এরপর ধাপে ধাপে অন্যরা ভেতরে এসে তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে আবরার নিস্তেজ হয়ে পড়ে। কয়েকবার বমি করে। এরপর কোলে করে সিঁড়িঘরের পাশে নিয়ে যাই। তারপর পুলিশ ও চিকিৎসকদের খবর দেওয়া হয়। এরপর চিকিৎসক এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গতকাল শুক্রবার সিলেট ও সাতক্ষীরা থেকে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। তাঁরা দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। এ ছাড়া আসামি অমিত সাহা ও মোহাম্মদ তোহাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি।

Logo-orginal