, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

ট্র্যাম্প-পুতিনের আহবানকে পাত্তা দিচ্ছেনা এরদোগান, হুঁশিয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের

প্রকাশ: ২০১৯-১০-১৬ ১৬:৩৮:২৬ || আপডেট: ২০১৯-১০-১৬ ১৬:৩৮:২৬

Spread the love

যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে চলমান অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। এজন্য তুরস্ককে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এদিকে, সিরিয়ায় তুর্কি অভিযান স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া।

আঙ্কারায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরও বুধবার সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে অভিযান চালায় তুর্কি বাহিনী। দফায় দফায় বিমান হামলা চালানো হয় সিরিয়ার রাস আল ইন শহরে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান বলেছেন, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের ক্ষেত্রে কারও হুমকি তোয়াক্কা করবে না আঙ্কারা।

এরদোয়ান বলেন, এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মানবিজ থেকে ইরাক সীমান্ত পর্যন্ত নিরাপদ এলাকা নিশ্চিত করবো আমরা। যাতে কোরে কয়েক লাখ সিরীয় শরণার্থী নিরাপদে দেশে ফিরতে পারে।

এদিন, সিরিয়ার ইন ইসা শহরে তুর্কি বাহিনীর অগ্রসর ঠেকাতে যুদ্ধ বিমান নিয়ে মহড়া চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। এক বিবৃতিতে পেন্টাগন জানায়, তুর্কি বাহিনী মার্কিন সেনাদের কাছাকাছি চলে আসায় সর্তকতা স্বরূপ বিমান পাঠানো হয় সেখানে।

এদিকে, হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে তুর্কি অভিযানের তীব্র সমালোচনা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, সিরিয়ায় সামরিক অভিযান বন্ধ না করলে আঙ্কারার বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবে ওয়াশিংটন।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তাদের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। এরপরও তারা যদি আগ্রাসন চালিয়ে যায় তাহলে আরও বিকল্প পরিকল্পনা আমাদের মাথায় আছে। যুক্তরাষ্ট্রে তারা যে ইস্পাত রপ্তানি করে তা বন্ধের বিষয়টিও ভেবে দেখা হবে।

এদিকে, আগে শত্রু থাকলেও, বন্ধু হিসেবে কুর্দিদের পাশে দাঁড়িয়েছে সিরীয় সরকারি বাহিনী। এরই মধ্যে তারা কুর্দি নিয়ন্ত্রিত মানবিজ শহরে প্রবেশ করেছে। শহরটিতে তুর্কি বাহিনীর অগ্রসর ঠেকাতেই এই ব্যবস্থা বলে জানায় বিভিন্ন গণমাধ্যম। আসাদ বাহিনীর এমন উদ্যোগে স্বস্তি জানিয়েছেন শহরের অধিবাসীরা।

স্থানীয়রা বলছেন, আমরা সত্যিই তুর্কি আগ্রাসনে কারণে ভয়ে ছিলাম। তবে, এখন নিজেদেরকে অনেকটা নিরাপদ মনে হচ্ছে। কারণ তুর্কি বাহিনী এখানে আর আসতে পারবে না।

এদিকে, সিরীয় সেনা ও তুর্কি বাহিনী পরস্পরবিরোধী অবস্থানে গেলেও তাদের মধ্যে যে কোনো সংঘর্ষ প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। এমনকি সংঘর্ষ এড়াতে রুশ বাহিনীকে ঐ এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানায় রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সুত্রঃ সময় নিউজ ।

Logo-orginal