, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

রাঙ্গুনিয়ার পৃথক অভিযানে ইয়াবাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২০১৯-১০-১৯ ১৯:১৫:১৩ || আপডেট: ২০১৯-১০-১৯ ১৯:১৫:১৩

Spread the love

ইসমাঈল হোসেন নয়ন, রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধিঃ
রাঙ্গুনিয়ায় পৃথক অভিযানে তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের শনিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার পূর্ব সরফভাটা জুইন্না বাপের বাড়ির ইউসুফ সওদাগরের পুত্র মো. সাইফুল ইসলাম (৩২) , সরফভাটা মধ্যমভূমিরখীল এলাকার মৃত নূর মোহাম্মদের পুত্র রেজাউল করিম ওরপে ভাসাইন্যা (৫০), চন্দ্রঘোনা হাফেজ পাড়া এলাকার নুরুল আলমের পুত্র মোহাম্মদ সাগর (২২)। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পৃথক মাদক মামলা দায়ের করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

রাঙ্গুনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইসমাঈল হোসেন জুয়েল বলেন, শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে উপজেলার সরফভাটা গোডাউন এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ী ভাসাইন্যাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে গোডাউন ব্রীজ দিয়ে পালিয়ে অপর পাড়ের একটি ডোবায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। পুলিশও তাকে ধাওয়া করে ওই ডোবা থেকেই গ্রেপ্তার করে। এসময় তার কাছে ৩০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। ইতিপূর্বেও তার বিরুদ্ধে দুটি মাদক মামলা ছিল। অন্যদিকে একই দিন রাত আড়াইটার দিকে পূর্ব সরফভাটা সিকদার পাড়া এলাকা অভিযান চালিয়ে ২০ পিস ইয়াবা সহ সাইফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধেও এরআগে একটি মাদক মামলা ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে চন্দ্রঘোনা কুষ্ঠু হাসপাতাল এলাকা থেকে মাদক বিক্রি কালে সাগরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছে ৩০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।’
এদিকে চুনোপুটি মাদক ব্যবসায়ীর পাশাপাশি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের ধরার দাবী জানিয়েছেন সাধারণ জনসাধারণ।
পৌরসভার মো. আজিজুল হক নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘প্রায় সময় দেখা যায় মাদক ব্যবসায়ী ধরা পড়েছে। কিন্তু এরপরও মাদকের ভয়াবহতা কমে না। কারণ যাদের ধরা হয় তারা খুচরা মাদক ব্যবসায়ী। পাইকারী ও মূল হুতারা বরাবরই ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তাই মাদক নির্মূলে এদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।’

চন্দ্রঘোনা এলাকার রফিক উদ্দিন বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়ায় স্বরাষ্টমন্ত্রীর তালিকাভুক্ত ৯ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তারের পরও তারা আবার আইনের ফাঁকে বেরিয়ে গিয়ে আবারও এই ব্যবসায় চালাচ্ছে। মাদক বিরুধী অভিযানের সময় এদের কেউ কেউ এলাকা থেকে পালিয়ে অন্যত্র চলে গেলেও এখন আবার এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে এবং নিজেদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এদের পৃষ্টপোষকতাই রয়েছে স্থানীয় বিভিন্ন নেতা। তাই এদেরও চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা গেলে মাদকের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।’

Logo-orginal