, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

চাকুরী দেওয়ার কথা বলে লাখ টাকা হাতিয়ে নিল লোহাগাড়ার ওলামালীগ নেতা জসিম…

প্রকাশ: ২০১৯-১১-০৭ ০৭:৫৫:০১ || আপডেট: ২০১৯-১১-০৭ ০৭:৫৫:০১

Spread the love

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পশ্চিম কলাউজান মিয়াজী পাড়ার ফরিদুল আলমের পুত্র মাওলানা জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যাংকে চাকুরী দেয়ার নামে টাকার আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন। আভিযোগকারী লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ৩নং ওয়ার্ডের মৃত আবদুল মালেকের পুত্র সেলিম উদ্দিন।

তিনি টাকা উদ্ধারের আবেদন জানিয়ে গত ৩০ অক্টোবর লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারীর পিতার মৃত্যুর পর পরিবারের দুরবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ২০১৭ সনের ২৯ অক্টোবর এস. আলম গ্রুপের পরিচালনাধীন ব্যাংকের চাকুরীর জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীর ডিও লেটার (সুপারিশপত্র) নেন। উক্ত সুপারিশপত্র নিয়ে ২০১৭ সনের ৫ নভেম্বর চট্টগ্রামস্থ এস. আলম গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে স্বশরীরে আবেদনপত্র জমা দিতে গেলে অভিযুক্ত মাওলানা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের সাথে দেখা হয়।

কথাবার্তার এক পর্যায়ে অভিযুক্তের বাড়ি ও অভিযোগকারীর মামীর বাপের বাড়ি একই পাড়ায় বলে জানায় এবং আবেদনপত্র জমা দিতে নিষেধ করেন। অভিযুক্ত তার মোবাইল নাম্বার অভিযোগকারীকে দেয় ও মোবাইলে যোগাযোগ করতে বলে। ৪/৫ দিন পরে অভিযোগকারী ও তার মামীর সাথে দেখা করে অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন। কথাবার্তার এক পর্যায়ে অভিযুক্ত বলেন, আপনা-আপনি কোন চাকুরী পাওয়া যায় না। চাকুরী পেতে হলে অফিসের স্টাফকে এক/দেড় মাসের মধ্যে ৪ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হবে।
অভিযোগকারী গরীব অসহায় পরিবারের সন্তানের পক্ষে এতো টাকা যোগাড় করা সম্ভব নই বিধায় চাকুরীর আশা ছেড়ে দিয়েছিল। এরপর অভিযুক্ত প্রায় ৬/৭ মাস পর অভিযোগকারী ও তার মামীকে মোবাইল করে টাকা যোগাড় হয়েছে কিনা জানতে চান।

শেষ পর্যন্ত অভিযুক্ত মাওলানা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, তার বাড়ি ও অভিযোগকারীর মামীর বাপের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘুষে চাকুরীর ব্যবস্থা করতে পারবেন। বাকী ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাকুরী হবার পর অভিযুক্তকে পরিশোধ করতে হবে। অভিযোগকারী সরল বিশ্বাসে নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকে ধার-দেনা করে ও মুনাফা দিয়ে টাকা সংগ্রহ করে গত ৯ জানুয়ারী এস. আলম গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ের পাশে একটি চায়ের দোকানে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা অভিযুক্তকে প্রদান করেন। যার ভিডিও রেকর্ড প্রমাণ স্বরূপ অভিযোগকারীর কাছে সংরক্ষিত আছে। অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন টাকা পাবার পর অভিযোগকারীকে ৩ মাসের মধ্যে চাকুরীর ব্যবস্থা করে দিবে বলে জানান। অন্যথায় নির্দিষ্ট সময়ের ১৫ দিন পর অভিযোগকারীকে টাকা ফেরত দিবে। নির্দিষ্ট সময় পার হবার পর অভিযুক্তের সাথে যোগাযোগ করলে বার বার সময় চান এবং চাকুরী দিবে বলে প্রতারণা করতে থাকে। অনেকদিন অপেক্ষার পর চাকুরী দিতে না পারায় টাকা ফেরত চাইলে এক সময় অভিযোগকারীর সাথে সরাসরি এমনকি মোবাইলে যোগাযোগও বন্ধ করে দেয় এবং বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে।

অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, গত ২ জুলাই লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন আক্তার ও তাঁর প্রয়াত স্বামী মাওলানা নুরুল আবছার চৌধুরীর মধ্যস্থতায় এক বৈঠক হয়। বৈঠকে ৫ আগষ্টের মধ্যে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করবে মর্মে অঙ্গীকারনামা করেন অভিযুক্ত মাওলানা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। যার ভিডিও রেকর্ড প্রমাণ স্বরূপ অভিযোগকারীর কাছে সংরক্ষিত আছে। কিন্তু নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও অভিযুক্ত টাকা পরিশোধ করতে অস্বীকার করেন। এমনকি টাকা চাইলে অভিযোগকারী ও তার মামীকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোসহ নানা হুমকী-ধমকী দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাওলানা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করেও তাঁর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সুত্রঃ সি-প্লাস।

Logo-orginal