admin
প্রকাশ: ২০১৯-১১-১৩ ১৬:৫৩:৪২ || আপডেট: ২০১৯-১১-১৩ ১৬:৫৬:৩১
ইসমাঈল হোসেন নয়ন, রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধিঃ
চট্রগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে জুলি আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ড লোহারপুল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত জুলি আক্তার ওই এলাকার বাবুল সওদাগরের মেয়ে এবং পদুয়া ইউনিয়নের খুরুশিয়া গ্রামের প্রবাসী মো. ইদ্রিছের স্ত্রী। তার সংসারে ২ বছর বয়সের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। পরকীয়ার জেরে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য।
আত্মহত্যার পূর্বে সে তার ভাই ও এক পরকীয়া প্রেমিকের উদ্দেশ্যে দুটি চিরকুট লিখে গেছে বলে জানা যায়। তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম টুনু বলেন, ঘটনা শুনার পর আমি নিজে ঘটনাস্থলে এসে তাঁর বাবা ও পরিবারের সাথে কথা বলে জেনেছি, গত ২ বছর আগে সামাজিকভাবে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের এক বছর পর সে অজ্ঞাত যুবকের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে স্বামীর পরামর্শে বাপের বাড়ির লোকজন তাকে সরফভাটায় তার বড় বোনের কাছে নিয়ে আসে। এরপর থেকে গত ৬ মাস ধরে জুলি সেখানেই থাকতো। সম্প্রতি তাঁর শ্বশুর বাড়িতে একটা অনুষ্ঠানে গিয়ে ফিরে আসার সময় সে বাড়িতে না এসে তাঁর কথিত পরকীয়া প্রেমিকের উদ্দেশ্যে কাউকে কিছু না বলে চট্টগ্রাম শহরের পতেঙ্গা এলাকায় চলে যায়। এদিকে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করেন তার পিতা। পরে খবর পেয়ে পতেঙ্গা এলাকা থেকে গত তিনদিন আগে তাকে বাড়ি নিয়ে আসেন তার পিতা।
ঘটনার দিন সকালে তার বাবা বাবুল সওদাগর তার নিজ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে চলে আসে এবং তার ভাবি সাংসারিক কাজে ব্যস্ত ছিল। এই সুযোগে সে সবার অগোচরে তার ভাই ও হৃদয় নামে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির উদ্দেশ্যে দুটি পৃথক চিরকুট লিখে ঘরের সিলিংয়ের সাথে ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করে। চিরকুট দুটির একটিতে সে ভাইয়ের কাছ থেকে তার দেওয়া সমস্ত কষ্ট মাফ চেয়ে তাকে ছাড়া ভাল থাকার জন্য লেখেন এবং অন্যটিতে হৃদয় নামে এক ছেলে তার সাথে প্রতারণা করাই তাকে দায়ী করে সে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিয়েছে বলে সে লেখে।
রাঙ্গুনিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এস.আই) সুব্রত চৌধুরী জানান, আমরা লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। এটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হবে। এই ব্যাপারে থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’