admin
প্রকাশ: ২০১৯-১১-১৮ ১০:২২:২৯ || আপডেট: ২০১৯-১১-১৮ ১০:২২:২৯
কুয়েত সিটিঃ কুয়েতের হাসাবিয়ায় আতংক নিয়ে বসবাসরত বাংলাদশি ও অন্য নাগরিকরা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র শিফট হচ্ছে।
দেশটির বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নেওয়ার চেষ্টা এবং কুয়েতি এলাকার আশে পাশে বাসা ভাড়া নিলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে ভুক্তভোগিদের।
ফারওয়ানিয়া,খাইতান,হাওয়ালী,সালমিয়া ফাহাহিল,মানগাফ, মাহবুল্লাহ ইত্যাদি এলাকায় শিফট হওয়ার চেষ্টা করছে ব্যাচেলর খ্যাত বিদেশীরা।
অন্যদিকে সোমবার (১৮ নভেম্বর) আরবি দৈনিক আল-রাইয়ের বরাত দিয়ে দেশটির ইংরেজি দৈনিক আরব টাইমস জানিয়েছে, কুয়েত পৌরসভা জেলিব আল-শুয়ুখ (হাসাবিয়া) আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী অনেক ব্যাচেলর স্থানান্তর হয়ে সালমিয়ার ১২ নং ব্লকে বাসা ভাড়া নিলে স্থানীয় কুয়েতিরা পরিবেশ বিনষ্টের অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগ পেয়ে সালমিয়া পৌরসভা আবাসন পরিচর্যা টীম তদন্তে নামে।
এরআগে হাসাবিয়া ছেড়ে যাওয়ার জন্য ১৭ নভেম্বর ২০১৯ শেষ সময় নির্ধারণ করে প্রচারণা চালায় ফারওয়ানিয়া জেলা পৌরসভা কতৃপক্ষ।
কুয়েতের পরিবেশ বিনষ্ট, বসবাসের অযোগ্য, অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি, ইত্যাদি কারণে এলাকাটি পুর্নগঠনের সিদ্ধান্ত নেয় কুয়েত সরকার।
হাসাবিয়া এলাকা ভাঙনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তের সম্মুখীন হবে বাংলাদেশীরা। এলাকাটিতে ৭০% ব্যবসায়ী বাংলাদেশী নাগরিকরা এবং বেকার হবে হাজার হাজার প্রবাসীরা।
প্রসঙ্গত, একযুগ আগে থেকে প্রচার ছিল, হাসাবিয়া ভেঙে দেওয়ার কথা, কারণ হিসাবে এলাকাটির পাশে আন্তর্জাতিক মানের শেখ জাবের বিশ্ববিদ্যালয় ও স্টেডিয়াম স্থাপন হওয়া কতৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে বসবাস অযোগ্য ও পরিবেশ বিনষ্টতা নিয়ে দেশী-বিদেশী মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর দেশটির সরকার এলাকাটি পুর্নগঠনের সিদ্ধান্ত নেয় বলে যোগ উর্ধতন কতৃপক্ষ।