jamil Ahamed
প্রকাশ: ২০১৯-১২-১৫ ১৮:৫২:৫৫ || আপডেট: ২০১৯-১২-১৫ ১৮:৫২:৫৫
ভারতে সুস্পষ্টভাবে গণহত্যার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন জেনোসাইড ওয়াচের প্রতিষ্ঠাতা ডা. গ্রেগরি স্টানটন।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ভারতের কাশ্মীর ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে সরেজমিন প্রতিবেদন শিরোনামে ব্রিফিংয়ে তিনি এমন দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, আসাম ও কাশ্মীরে যে নিপীড়ন চলছে, তা গণহত্যার পূর্ববর্তী স্তর। পরবর্তী পর্যায়টি হচ্ছে, সম্পূর্ণ ধ্বংস সাধন। যেটাকে গণহত্যা বলা হয়ে থাকে। -খবর সিয়াসাত ডেইলি
১৯৯৬ সালে তিনি যখন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজ করতেন, তখন উপস্থাপনার জন্য গণহত্যার বিশ্ববিখ্যাত ১০টি স্তর বানিয়েছিলেন তিনি।
তার মতে, সেই ১০টি স্তর হচ্ছে–
প্রথম ধাপ : সমাজে বিভাজন তৈরি করা। এই বিভাজন ‘আমরা’ বনাম ‘তারা’।
দ্বিতীয় ধাপ : একটি প্রতীক দাঁড় করানো, ভুক্তভোগীদের ‘বিদেশি’ হিসেবে ডাকা।
তৃতীয় ধাপ : বৈষম্য। একটি শ্রেণিকে নাগরিকত্বের বাইরে রাখা। বৈষ্যমের আইনি বৈধতা তৈরি করা; যাতে ওই শ্রেণির মানুষের কোন নাগরিক বা মানবিক অধিকার না থাকে।
চতুর্থ ধাপ : অমানবিকীকরণ করা; যখন গণহত্যার প্রক্রিয়াটি সামনে এগুতো থাকে। যেকোনোভাবে ভুক্তভোগীকে জঘন্য হিসেবে তুলে ধরা। তাদেরকে সন্ত্রাসী কিংবা অন্য কোনো জানোয়ারের সঙ্গে তুলনা করা। অথবা ক্যান্সারের মতো রোগের সঙ্গে টার্গেট জনগোষ্ঠীকে তুলনা করা; যাতে তাদেরকে সমাজের কাছে বালাই হিসেবে উপস্থাপন করা যায় এবং এর চিকিৎসা জরুরি।
পঞ্চম ধাপ : গণহত্যা সংঘটনের জন্য একটি সংস্থা তৈরি করা। কাশ্মীরে এই ভূমিকা পালন করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। অন্যদিক আসামে এনআরসি বাস্তবায়নকারীরা।
ষষ্ঠ ধাপ : মেরুকরণ; যা প্রচারণার মাধ্যমে করা হয়।
সপ্তম ধাপ : প্রস্তুতি।
অষ্টম ধাপ : নিপীড়ন। বর্তমানে আসাম এবং কাশ্মীর এই ধাপে রয়েছে।
নবম ধাপ : নির্মূলকরণ।
দশম ধাপ : অস্বীকার করা।
সূত্রঃ পুর্বপশ্চিম বিডী ।