, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

jamil Ahamed jamil Ahamed

ভারতে সুস্পষ্টভাবে গণহত্যার প্রস্তুতি চলছেঃ জেনোসাইড ওয়াচ

প্রকাশ: ২০১৯-১২-১৫ ১৮:৫২:৫৫ || আপডেট: ২০১৯-১২-১৫ ১৮:৫২:৫৫

Spread the love

ভারতে সুস্পষ্টভাবে গণহত্যার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন জেনোসাইড ওয়াচের প্রতিষ্ঠাতা ডা. গ্রেগরি স্টানটন।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ভারতের কাশ্মীর ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে সরেজমিন প্রতিবেদন শিরোনামে ব্রিফিংয়ে তিনি এমন দাবি করেছেন।

তিনি বলেন, আসাম ও কাশ্মীরে যে নিপীড়ন চলছে, তা গণহত্যার পূর্ববর্তী স্তর। পরবর্তী পর্যায়টি হচ্ছে, সম্পূর্ণ ধ্বংস সাধন। যেটাকে গণহত্যা বলা হয়ে থাকে। -খবর সিয়াসাত ডেইলি

১৯৯৬ সালে তিনি যখন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজ করতেন, তখন উপস্থাপনার জন্য গণহত্যার বিশ্ববিখ্যাত ১০টি স্তর বানিয়েছিলেন তিনি।

তার মতে, সেই ১০টি স্তর হচ্ছে–

প্রথম ধাপ : সমাজে বিভাজন তৈরি করা। এই বিভাজন ‘আমরা’ বনাম ‘তারা’।

দ্বিতীয় ধাপ : একটি প্রতীক দাঁড় করানো, ভুক্তভোগীদের ‘বিদেশি’ হিসেবে ডাকা।

তৃতীয় ধাপ : বৈষম্য। একটি শ্রেণিকে নাগরিকত্বের বাইরে রাখা। বৈষ্যমের আইনি বৈধতা তৈরি করা; যাতে ওই শ্রেণির মানুষের কোন নাগরিক বা মানবিক অধিকার না থাকে।

চতুর্থ ধাপ : অমানবিকীকরণ করা; যখন গণহত্যার প্রক্রিয়াটি সামনে এগুতো থাকে। যেকোনোভাবে ভুক্তভোগীকে জঘন্য হিসেবে তুলে ধরা। তাদেরকে সন্ত্রাসী কিংবা অন্য কোনো জানোয়ারের সঙ্গে তুলনা করা। অথবা ক্যান্সারের মতো রোগের সঙ্গে টার্গেট জনগোষ্ঠীকে তুলনা করা; যাতে তাদেরকে সমাজের কাছে বালাই হিসেবে উপস্থাপন করা যায় এবং এর চিকিৎসা জরুরি।

পঞ্চম ধাপ : গণহত্যা সংঘটনের জন্য একটি সংস্থা তৈরি করা। কাশ্মীরে এই ভূমিকা পালন করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। অন্যদিক আসামে এনআরসি বাস্তবায়নকারীরা।

ষষ্ঠ ধাপ : মেরুকরণ; যা প্রচারণার মাধ্যমে করা হয়।

সপ্তম ধাপ : প্রস্তুতি।

অষ্টম ধাপ : নিপীড়ন। বর্তমানে আসাম এবং কাশ্মীর এই ধাপে রয়েছে।

নবম ধাপ : নির্মূলকরণ।

দশম ধাপ : অস্বীকার করা।

সূত্রঃ পুর্বপশ্চিম বিডী ।

Logo-orginal