admin
প্রকাশ: ২০১৯-১২-০২ ০৭:০৪:২৭ || আপডেট: ২০১৯-১২-০২ ০৭:০৪:২৭
ওদের সবার বয়স ৮ থেকে ১২ বছরের মধ্যেই। তারা অভিভাবকহীন, পরিবারহীন। তারা চট্টগ্রাম নগরীর দুই নম্বর গেইট, শপিং কমপ্লেক্স, মুরাদপুরসহ আশেপাশের এলাকায় গাম সেবন করে নেশা করতো, অপ্রকৃতিস্থম ভারসাম্যহীন অবস্থায় নগরীরেত ঘুরাফেরার পাশাপাশি নগররবাসী পথচারীদের নানাভাবে বিরক্তি সৃষ্টি করতো।
সদ্য চালু হওয়া চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনারের সামাজিক উদ্যোগ ‘হ্যালো কমিশনার’ পেইজে এই বিষয়ে অভিযোগ করেন কয়েকজন নগরবাসী। বিষয়টি সাথে সাথেই পুলিশ কমিশনারের নজরে আসে। পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমানের তাৎক্ষনিক নির্দেশে নগরীর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এই ধরনের ১৩ জন কিশোরকে আটক করে তাদেরকে সংশোধনাগারে প্রেরণের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পিআর এন্ড আইসিটি) আবু বকর সিদ্দিক রাইজিংবিডিকে জানান, হ্যালো কমিশনার পেইজের মাধ্যমে পুলিশ কমিশনারের নজরে আসার সাথে সাথেই গত ২৯ নভেম্বর নগরীতে পথচারী ও সাধারন মানুষকে বিরক্তি সৃষ্টিকারী নেশাসক্ত ১৩ কিশোরকে আটক করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। পাঁচলাইশ থানা হেফাজতে এনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের নিরাপদ হেফাজত এবং সংশোধনের লক্ষ্যে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে প্রেরণের জন্য আদালতে আবেদন করে পুলিশ।
পরবর্তিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ খায়রুল আমিনের আদালত শুনানি শেষে এই শিশু-কিশোরদের সংশোধন ও পুনর্বাসন এবং নিরাপদ হেফাজতের নিমিত্তে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ফরহাদাবাদে অবস্থিত শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে উক্ত শিশুদের হস্তান্তর করার আদেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমানের বিশেষ উদ্যোগে নগরবাসীকে আরো বেশি সেবা দেয়ার লক্ষ্যে ‘হ্যালো কমিশনার’ পেইজ চালু করেন। এই মাধ্যমে পুলিশ কমিশনার নগরবাসীর কাছ থেকে তাদের অভিযোগ সরাসরি গ্রহন করেন এবং প্রতিকারের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন সংশ্লিষ্ট থানাসমূহকে। পুলিশ কমিশনারের এই উদ্যোগ ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। সুত্রঃ
রাইজিংবিডি.কম।