, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

বিক্ষোভের আগুন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ছড়িয়ে পড়বে” ভাবেনি অমিত শাহ,রা

প্রকাশ: ২০১৯-১২-১৫ ১১:৪৫:৪৯ || আপডেট: ২০১৯-১২-১৫ ১১:৪৫:৪৯

Spread the love

অশান্তি হবে জানা ছিল। কিন্তু এ ভাবে বিক্ষোভের আগুন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে গোটা অসমে ছড়িয়ে যাবে তা সম্ভবত ভাবতে পারেননি অমিত শাহেরা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যতক্ষণে পূর্ণ উদ্যমে নামলেন ততক্ষণে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ জানিয়ে মারা গিয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। অসমে বিজেপিরই সরকার থাকায় সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে কেন্দ্র।

সংবাদ কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার।

বিশেষ করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পরে রক্তপাতের আশঙ্কা ছিল গোটা উপত্যকায়। তলে তলে চিন্তায় ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও। কিন্তু প্রায় চার মাসের পরে সেখানে কোনও নাগরিকের মৃত্য হয়নি বলে অমিত শাহ সংসদে দাবি করেন, তখন বিল ঘিরে তুমুল অশান্তি চলছে অসমে। স্বরাষ্ট্রসূত্র বলছে, গোয়েন্দা তথ্য ছিল অসমের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে বিক্ষোভ হতে পারে। তাই কেন্দ্র বিলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, ষষ্ঠ তফশিলভুক্ত এলাকাগুলিতে ওই আইন প্রযোজ্য হবে না। জনজাতিদের জমি কেড়ে নেওয়া বা সেই এলাকায় কাউকে অন্যদের বসবাস করতে দেওয়ার প্রশ্নই নেই। তা ছাড়া বাঙালি হিন্দুরা মূলত বসবাস করেন বরাক এলাকায়। যা জনজাতিদের এলাকা থেকে অনেকটাই দূরে। তাই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্থানীয় ভাবেও প্রচার চালানো হয় যে ওই আইন প্রযোজ্য হলে স্থানীয় জনজাতিদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তার পরেও অশান্তির পরেও মূলত দু’টি কারণকে দায়ী করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। প্রথমত-ওই প্রচার অনেক আগে থেকেই শুরু করা উচিত ছিল। যাতে তা সর্বস্তরের পৌঁছতে সক্ষমহত। তড়িঘড়ি বিলটি আনায় স্থানীয় পর্যায়ে সেই প্রস্তুতির সময় পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয়ত-আইন পাশ হলে বাঙালিরা (হিন্দু ও মুসলিম) অসমে সংখ্যাগুরু হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে ভূমিপুত্রদের। সেই আশঙ্কা মেটাতে কোনও বার্তা দেওয়া বা পদক্ষেপ করা-কোনওটাই করেনি সরকার। এই আবহে অসমবাসীকে বার্তা দিতে পরশু ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনী সভায় মুখ খুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আজ গিরিডির জনসভা থেকে অসমবাসীকে আশ্বস্ত করে অমিত শাহ বলেন, ‘‘আমি অসম ও উত্তর-পূর্বের বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে বলছি তাদের সংস্কৃতি, ভাষা, সামাজিক পরিচয় এবং রাজনৈতিক অধিকার কোনটাই ওই আইনের ফলে ক্ষুণ্ণ হবে না।’’ 

বাংলাদেশের মন্ত্রীদের ও জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সফর বাতিলের পরে আজ ফের ওই বিলের কারণে আন্তর্জাতিক স্তরে অস্বস্তির মুখে ভারত। দেশের নাগরিকদের ভারত সফর করা নিয়ে আজ সতর্ক করে নির্দেশিকা জারি করে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ইজরায়েলের মতো বন্ধু দেশগুলি।

Logo-orginal