, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

মেয়ে হত্যার মামলা না নিয়ে বাবাকে ডাকাতি মামলায় ফাঁসালেন ওসি

প্রকাশ: ২০১৯-১২-০৫ ১৩:১৮:২৪ || আপডেট: ২০১৯-১২-০৫ ১৩:১৮:২৪

Spread the love

পাবনা জেলার ফরিদপুর থানার ওসি আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে ‘শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনে আশা খাতুন নামে এক গৃহবধূ নিহতের’ ঘটনায় মামলা নথিভুক্ত না করে উল্টো নিহত গৃহবধূর বাবা জাহিদুল ইসলাম বাবুকে ডাকাতি মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আন্দোলনে নেমেছে। এর অংশ হিসেবে ওই গৃহবধূ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার এবং ওসি আবুল কাশেমের অপসারণ দাবিতে বুধবার উপজেলার গোপালনগর গ্রামের কয়েক’শ বাসিন্দা রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

মানববন্ধনে অংশ নেয়া গৃহবধূর স্বজনদের ভাষ্য, ৪ বছর আগে পার্শ্ববর্তী গোলকাটা গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছফর আলীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় গোপালনগর গ্রামের আশা খাতুনের। স¤প্রতি শ্বশুরবাড়িতে থাকা অবস্থায় ননদের স্বামী সাইফুল ইসলামের সঙ্গে তার জা আঙ্গুরি ও জাহানারা খাতুনের অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়টি জেনে ফেলে সে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২ সেপ্টেম্বর রাতে পরিকল্পিতভাবে আশাকে মারপিটের পর জোর করে মুখে বিষ ঢেলে দেয় তারা। খবর পেয়ে বাবার বাড়ির লোকজন ওই বাড়িতে গিয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় আশাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

আশার বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, আশার ৩বছরের কন্যা আরিকা জানায়, তার মাকে বড় মা জাহানারা ও আঙ্গুরি মারপিটের পর গলাটিপে শ্বাসরোধ করে। এরপর তারষ মুখে বিষ ঢেলে দেয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে উৎকোচের বিনিময়ে উল্টো আশার বাবা জাহিদুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ ২টি মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। পরে জামিনে বের হয়ে আশা হত্যার ঘটনায় ২৮ নভেম্বর জাহিদুল ইসলাম বাবু বাদী হয়ে পাবনার আমলি আদালতে ৫জনকে আসামি করে হত্যামামলা দায়ের করেন।

আশার বাবা জাহিদুল বলেন, আমার মেয়ে হত্যার পর থানা মামলা নেয়নি। উল্টো ডাকাতির মামলা দিয়ে আমাকে জেল খাটিয়েছে। কোর্টে মামলা করায় এখন নানা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। মামলা তুলে নিতেও ওসি চাপ দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফরিদপুর থানার ওসি আবুল কাশেম বলেন, আমি কোনো ধরনের উৎকোচ গ্রহণ করিনি। আর আশা নামে কোনো নারী হত্যাকার শিকার হয়নি। আমার বিরুদ্ধে স্থানীয়দের এই অভিযোগ পুরোপুরি ষড়যন্ত্র।

তবে এ ব্যাপারে পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে ঘটনা তদন্তে ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগও খতিয়ে দেখা হবে।

সুত্রঃ আমাদের সময়.কম।

Logo-orginal