, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

jamil Ahamed jamil Ahamed

এতিমখানা ও বৃদ্ধাশ্রমটি নানা সমস্যায়, শীতের পোশাক চায় এতিম শি’শুরা!

প্রকাশ: ২০২০-০১-০৭ ২০:০৭:১৯ || আপডেট: ২০২০-০১-০৭ ২০:০৭:১৯

Spread the love

এতিমখানা ও বৃদ্ধাশ্রমটির ঘরের টিন দোকান থেকে বাকিতে নিতে হয়েছে! বারান্দার কাজও এখনও শেষ হয়নি।

তাছাড়া এখনও সেখানে পৌঁছায়নি বিদ্যুতের আলো! তাই রাতে ভ’য় পেলেও ঘোর অন্ধকারে ঘুমাতে হয় এতিম শি’শু ও বৃদ্ধদের! স্বরনকালের ভ’য়াবহ ঠান্ডা চললেও এতিম’দের নেই তেমন কোন গরম কাপড় বা জ্যাকেট!

সবচেয়ে ক’ষ্টের ব্যাপার হচ্ছে এতিমখানা ও বৃদ্ধাশ্রমটিতে থাকা পবিত্র কোরআন শরীফ গুলো রাখার জন্য একটি আলমা’রি পযন্ত নেই!

বলছি সারা বাংলাদেশে সবচেয়ে দরিদ্রতম জে’লা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজে’লার নওদাবস মাদ্রাসা,এতিমখানা ও বৃদ্ধাশ্রমের কথা। এখানে ৮৬ জন শি’শু থেকে খেয়ে না খেয়ে পবিত্র কোরআনের শিায় শিা নিচ্ছেন। মাদ্রাসা ও এতিমখানার তিনটি ঘরে এই এতিম’রা গাদাগাদি করে থেকে পবিত্র কোরআনে হাফেজ হচ্ছে।

এছাড়া এই এতিমখানা মাদ্রাসার একটি কক্ষেই চালু করা হয়েছে বৃদ্ধাশ্রম। যেখানে অসহায় ৪ জন বৃদ্ধাও বসবাস করেন। যেখানে এতিম ও বৃদ্ধদের প্রতিদিন ৩ বেলা ডাল আর ভাত দেয়াই চরম ক’ষ্টের, সেখানে এতিমখানা সংস্কার ও এতিম’দের শীতের পোশাক দেয়া সে তো আরও ক’ষ্ট সাধ্য ব্যাপার।

এতিমখানায় থাকা এতিম শি’শু সোহাগ বলেন, প্রচন্ড শীত আমাদের কোনো শীতের কাপড় নেই, আম’রা সবাই ১ টা করি জ্যাকেট চাই। আর এক এতিম শি’শু আতিকুর বলেন, আম’রা তো এতিমখানাই থাকি। খাবারটা ৩ বেলা কোনো রকমে পেলেও আমাদের খুব ক’ষ্ট করে থাকতে হয়। শীতের পোশাকের দাবী তারও। এতিমখানার শি’শু মানিক মিয়া বলেন, আমাদের মা- বাবা কেউ নেই তাই আম’রা শীতের নতুন কাপড় চোখে দেখি না।

স্থানীয় মুরুব্বি নাল্টু মিয়া,দুলামিয়া,জব্বার আলী,মজিদুল বলেন এতিমখানার ছোটো বাচ্চাদের ক’ষ্ট সহ্য করার মত না। তাদের নানা সমস্যার মধ্যে বর্তমানে বড় সমস্যা তাদের শীতের ১ টা করে জ্যাকেট দরকার। এছাড়া লিল্লাহ বোডিংটা যদি কোন রকমে চালু করা যেতো তাহলে বাচ্চাদের খুব উপকার হতো।

এতিমখানা ও বৃদ্ধাশ্রমটির মহতামিম হাফেজ শেখ সাদী সমাজের হৃদয়বান বৃত্তবানদের কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে বলেন, আপনারা সকলে এতিমখানা ও বৃদ্ধাশ্রমটির জন্য সহযোগিতা করুন। দয়া করে বাপ মা হারা বাচ্চাদের শীত নিবারণের জন্য একটি করে জ্যাকেট দান করুন। তাছাড়া বারান্দাটার খুবই দরকার। এবং এতিমখানাটিতে টিনের নিচে বাঁশের ছাদ ও পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার জন্য কোন ব্যাবস্থা নেই।

প্রতিবেদকের বক্তব্য: আমি এই এতিমখানা, মাদ্রাসা ও বৃদ্ধাশ্রমটির সভাপতি ও পরিচালক। আমি নিজে এতিমখানাটির দেখাশুনা করি ও সব ব্যাবস্থাপনা করি। এখন এতিমখানায় যেটি জরুরি প্রয়োজন তা বারান্দা করা, এতিম ছোট ছোট শি’শুদের শীতের কাপড় ও ১ টি করে জ্যাকে’টের ব্যাবস্থা করা, টিনের নিচে ছাদ দেওয়া ও পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার জন্য ১ টি আলমা’রি ও সোলারের ব্যাবস্থা করা। এতিম শি’শুরা অন্ধকারে রাতে ভ’য়ে ঘুমাতে পারে না। এছাড়া লিল্লাহ বোডিং চালু করতে প্রতি মাসে ৫২০ কেজি করে চালের প্রয়োজন। তাই আমি সমাজের হৃদয়বান বৃত্তবানদের অনুরোধ জানাচ্ছি আপনারা ক’ষ্ট করে হলেও এতিমখানা বৃদ্ধাশ্রমটিতে এসে সতত্যা যাচাই করে এতিমখানাটি সকল সমস্যা সমাধানে দয়া করে জন্য এগিয়ে আসুন।

সহযোগিতা পাঠাতে এতিখানা ও বৃদ্ধাশ্রমের একাউন্ট নম্বর: ২০৫০১৯৫০২০২৫৫১৫০২ হিসাবের নাম: নওদাবস মাদ্রাসা, এতিমখানা ও বৃদ্ধাশ্রম। ব্যাংকের নাম: ইস’লামি ব্যাংক লি: শাখার নাম কুড়িগ্রাম শাখা,কুড়িগ্রাম।

আরও তথ্যের জন্য ও ভিডিও কলে এতিম ও বৃদ্ধদের সাথে কথা বলতে এতিমখানা ও বৃদ্ধাশ্রমের সভাপতি ও পরিচালক, প্রভাষক ফয়সাল শামীম-০১৭১৩২০০০৯১। #সংগৃহীত ।

Logo-orginal