, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

jamil Ahamed jamil Ahamed

সবাই সাবধান, আমার ঘরেও বাংলাদেশীঃ বিজেপি নেতা কৈলাস

প্রকাশ: ২০২০-০১-২৪ ১৩:৩৪:২০ || আপডেট: ২০২০-০১-২৪ ১৩:৩৪:২০

Spread the love

বাংলদেশীদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে একের পর পর বিতর্ক তৈরি করছে ভারতীয় বিজেপি নেতারা, এবার সেই বিতর্কের নায়ক কট্টর হিন্দু নেতা হিসেবে পরিচিত মিঃ কৈলাস ।

তিনি নাকি নিজের বাড়িতেই বাংলাদেশি খুঁজে পেয়েছেন! তাও আবার তাঁদের খাদ্যাভ্যাস দেখে সন্দেহ জেগেছে বিজেপি নেতার মনে। বিষয়টি তাঁর অদ্ভূত লেগেছে বলেই একটি সম্মেলনে মন্তব্য করেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তার জেরেই সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কের। এর আগে ঝাড়খণ্ড নির্বাচনের সময় জনসভা থেকে বিক্ষোভকারীদের পোশাক দেখে চেনা যায় বলে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার সেই পথেই হেঁটে খাবার দেখে বাংলাদেশি দেগে দিলেন বিজেপি নেতা।

কলকাতার সংবাদ প্রতিদিনে প্রকাশিত সংবাদে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় ।

ঘটনাটা ঠিক কী? CAA সমর্থনে একটি সম্মেলনে বৃহস্পতিবার কৈলাস বলেন, সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে একটি অতিরিক্ত ঘর তৈরির কাজ হচ্ছিল। তখন কিছু শ্রমিক তাঁর বাড়িতে কাজ করছিলেন। তাঁদের খাবার দেখে সন্দেহ জাগে কৈলাসের। তাঁরা নাকি চিঁড়ে খাচ্ছিলেন। শ্রমিকদের চিঁড়ে খেতে দেখেই তাঁদের বাংলাদেশি বলে সন্দেহ জেগেছে কৈলাসের। সেকথাই তিনি সম্মেলনে বলেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার সন্দেহ ওঁরা বাংলাদেশি ছিল। দুদিন দেখার পর আমি বাড়ির কাজ বন্ধ করে দিই। আমি পুলিশের কাছে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের করিনি। কিন্তু সবাইকে সাবধান থাকার জন্য জানালাম।’

[আরও পড়ুন: ‘রাজ্যে NRC হচ্ছে না, কারও নাম বাদ যাবে না’, দাবি বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের]
প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতার এই মন্তব্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। মূলত চিঁড়ে বাংলাভাষীরাই খায় এমনটা নয়। দেশের বহু রাজ্যে এর ভিন্ন ভিন্ন নাম। চাল থেকে তৈরি হওয়া এই খাবার কখনও ভেজে, আবার জলে বা দুধে ভিজিয়ে খাওয়া যায়। কেউ কেউ আবার শুকনোও খান। সুলভ মূল্যের এই খাদ্য ভআরতবর্ষের বহু রাজ্যের মানুষ খান। পুষ্টিগুণে পূর্ণ এই খাবার ধনী-গরিব সব শ্রেণির মানুষের কাছেই গ্রহণযোগ্য খাবার। কিন্তু বিজেপি নেতা খাবারের মধ্যেও বিভাজনের নীতি প্রয়োগ করছেন বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। আর চিঁড়ে শুধুমাত্র বাংলাভাষীদের খাবার নয় বা বাংলায় কথা বললেই যে তাঁকে বাংলাদেশি দাগিয়ে দিতে হবে এমনটাও কারণ নয় বলে মত বিরোধীদের।

বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, গত দেড় বছর ধরে তাঁর উপর নাকি নজর রেখেছে এক বাংলাদেশি জঙ্গি। সেই জন্যই নাকি যখনই বাড়ির বাইরে বেরোন, তাঁর সঙ্গে থাকে ছয় সশস্ত্র জওয়ান। অনুপ্রবেশকারীদের জন্য আতঙ্ক বেড়ে যাওয়ার কারণেই নাকি এই ব্যবস্থা। তিনি সিএএ নিয়ে গুজবে কান দিতে সাবধান করেছেন। দেশের মানুষের স্বার্থেই এই আইন, আশ্বস্ত করেছেন বিজেপি নেতা। এই আইনের দ্বারা প্রকৃত শরণার্থীরা আশ্রয় পাবেন এবং অনুপ্রবেশকারীরা দেশের সুরক্ষার খাতিরে বিতাড়িত হবেন বলে দাবি করেছেন কৈলাস।

Logo-orginal