jamil Ahamed
প্রকাশ: ২০২০-০১-১২ ১৯:৩২:০৩ || আপডেট: ২০২০-০১-১২ ১৯:৩২:০৩
আরটিএম ডেস্কঃ তেহরানে বিমান দুর্ঘটনা নিজেদের ক্ষেপানাস্ত্রের আঘাতে ঘটেছে” ইরান সরকার তা স্বীকার করার পর পর বিক্ষোব্ধ হয়ে উঠে সরকার বিরোধীরা, এবং রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ইমাম খামেনির পদত্যাগের দাবী তুলে ।
গত বুধবার সকালে ইউক্রেনীয় আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৭৫২ বিধ্বংসের ঘটনায় বিমানটির ১৭৬ জন যাত্রী মারা যায় ।
প্রথম দিকে হামলা নিয়ে ধুম্রজাল তৈরি হলেও, পরে বিভিন্ন তদন্তে স্পষ্ট হয়ে যায়, ইরানী ফাইটার বিমানের ছোড়া মিসাইলের আঘাতে তথা ইরানের ভাষায় মানবীয় ভুলে এমন দুর্ঘটনা ঘটে ।
মিডল ইষ্ট আই ও মেট্রো নিউজে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, হাজার হাজার বিক্ষোব্ধ ইরানী নাগরিক শনিবার রাস্তায় নেমে বিমান যাত্রীদের হত্যার দায়ী করেছে ইরানের সর্বোচ্চ পরিষদকে এবং ইমাম আয়াতুল্লাহ খামেনির পদত্যাগ দাবী করে শ্লোগান দিতে থাকে মিছিলকারীরা ।
বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ৮২ জ ইরানী যাত্রীর জন্য মোমবাতি জ্বালিয়ে সমবেদনার কর্মসুচী হঠাত সহিংস প্রতিবাদের দিকে এগিয়ে যায়, এতে অংশগ্রহণকারীরা ‘মিথ্যাবাদীদের কাছে মৃত্যু’ এবং ‘ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের মৃত্যু’ শ্লোগান দেয়। সশস্ত্র আধাসামরিক ও পুলিশ বাহিনী টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে ।
এর আগে গত শুক্রবার কানাডা, ইউক্রেন, যুক্তরাজ্যে, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি প্রমুখ দেশ বিমান দুর্ঘটনার কারণ প্রকাশ করতে ইরানকে চাপ প্র্যোগ করতে থাকে ।
মার্কিন সেনাদের হামলার করার সময় ভুলবশতঃ মিসাইল আঘাত হানে তেহরান থেকে ইউক্রেনের পথে থাকা ১৭৬ জন যাত্রীকে বহনকারী বিমানটি । মারা যায় পাইলট ও ক্রুসহ সব যাত্রী ।
ইরানের ৮২, কানাডার ৬৩, ইউক্রেনের ১১ জন যাত্রী ছিল ছিন্ন বিছিন্ন হওয়া বিমানে ।
আরটিএম/একে